cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
২০১৫ থেকে ২০২১ সাল। সময়টা মাত্র ৬ বছর। আর এই সময়ে একজন পু’লিশ কর্মক’র্তা হা’রানো ও ছিনতাই হওয়া তিন হাজার মোবাইল ফোন উ’দ্ধারের রেকর্ড করেছেন। ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ১৬ বার পু’লিশ কমিশনার পুরস্কার। একবার পেয়েছেন আইজিপি ব্যাচ। শুধু পুরস্কার আর ব্যাচ নয় উ’দ্ধারের রেকর্ড করে নিজের নামের পাশে যু’ক্ত করেছেন নানা বিশেষণ। এখন কেউ তাকে ডাকে মোবাইল যাদুকর। কেউ ডাকে মোবাইল দরবেশ হিসেবে।
কেউবা মোবাইল কাদের। পু’লিশ বাহিনীর পাশাপাশি দেশজুড়ে অর্জন করেছেন সুনাম। তিনি শুধু তার কর্মস্থলের আওতাধীন এলাকার মোবাইল উ’দ্ধার করেন না। দেশের বিভিন্ন স্থানে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উ’দ্ধারের জন্য তার দ্বারস্থ হন অনেকে। কাউকে হতাশ হতে হয়নি। সাধ্যমতো চেষ্টা করে নিজের অ’ভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তাদের মোবাইল উ’দ্ধার করে দিয়েছেন। মানবিক এই পু’লিশ কর্মক’র্তার নাম আব্দুল কাদের। তিনি ডিএমপির গুলশান থা’নায় এএসআই হিসেবে কর্ম’রত আছেন।
এএসআই আবদুল কাদের সিরাজগঞ্জ জে’লার বেলকুচি থা’নার বড় বেড়াখারুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন। লেখাপড়া করেছেন বেলকুচি ডিগ্রি কলেজ থেকে। ২০০৫ সালে কনস্টেবল হিসেবে পু’লিশে যোগদান করেন। ২০১৩ সালে ডিএমপিতে বদলি হন। ২০১৫ সালে পদোন্নতি পেয়ে এএসআই হন। তখন তার পোস্টিং হয় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থা’নায়। এরপর তিনি গুলশান থা’নায় বদলি হয়ে এখন পর্যন্ত সেখানেই আছেন। পু’লিশের গুলশান বিভাগে কর্ম’রত অনেকের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, মোবাইল ফোন উ’দ্ধার করা কাদেরের একটা নে’শা। মোবাইল হা’রানোর জিডি হলেই তার ডাক পড়ে। তিনিও একটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে উ’দ্ধারে নেমে পড়েন। উ’দ্ধার না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকেন। কর্মজীবনের প্রায় অর্ধেকটা সময় তিনি মোবাইল ফোন উ’দ্ধারের পেছনে কাটিয়েছেন। উ’দ্ধারের ক্ষেত্রে কোনটিতে তিনি দু’দিন থেকে শুরু করে দুই বছর পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। শুধু মোবাইল ফোন উ’দ্ধারই নয়। কর্মস্থলের অন্য কাজগুলোও তিনি গুরুত্বসহকারে করেন।
আবদুল কাদের বলেন, মোবাইল ফোন উ’দ্ধারের ক্ষেত্রে আমি মোবাইলের দাম বা ব্যক্তির মূল্যায়ন করি না। যত কম দামের মোবাইল হোক বা গরিব রিকশাচালক বা শ্রমিকের হোক সমান গুরুত্ব দিয়ে উ’দ্ধার করি। কারণ মানুষের অনেক মূল্যবান জিনিস হারিয়ে গেলে সে ততটা ক’ষ্ট পায় না। যতটা ক’ষ্ট পায় একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে। কারণ মোবাইলে অনেকের অনেক স্মৃ’তি, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে। যা হারিয়ে গেলে তার অনেক ক্ষতি ও ক’ষ্ট হয়। জিডি করার পর ফোন উ’দ্ধার করে ভুক্তভোগীকে ফোন দিয়ে যখন বলি আপনি একটা জিডি করেছিলেন আপনার ফোনটি উ’দ্ধার হয়েছে। তখন তারা অনেকে বিশ্বা’সই করতে চায় না। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার হা’রানো মোবাইল উ’দ্ধার করেছি। গত আড়াই বছরে শুধু গুলশান থা’নার জিডির বিপরীতেই ৬০০ মোবাইল উ’দ্ধার করে গ্রাহককে ফিরিয়ে দিয়েছি। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঁচ শতাধিক অ’ভিযোগ আসে। নিজ থা’না ছাড়াও নানা স্থান থেকে হা’রানো মোবাইল খুঁজে পেতে ভুক্তভোগীরা আসেন গুলশান থা’নায়। অনেকে আমাকে ফোন দেয়। ব্যস্ততার কারণে ধরতে পারি না। কয়েক ঘণ্টা পরে নিজেই ফোন করে জানতে চাই সমস্যার কথা। সবারই একই সমস্যা ফোন হারিয়েছে। আমা’র কাছে যারাই ফোন দেয় তারা শুধু মোবাইল ফোন উ’দ্ধারের জন্য দেয়।
মোবাইল ফোন উ’দ্ধারের প্রতি কেন কাদেরের এত মনোযোগ? কেন তিনি উ’দ্ধারে এত সফল। এর পেছনের র’হস্যই বা কি? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বিস্তারিত। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থা’নায় থাকালীন সময়ে রাতের বেলা এক নারী কাঁদতে কাঁদতে থা’নায় প্রবেশ করেন। তখন কাদের থা’নায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। কর্তব্যরত পু’লিশ কর্মক’র্তাকে ওই নারী জানান, মহাখালী থেকে ফেরার সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তার মূল্যবান মোবাইল ফোনটি হারিয়েছে। ওই নারী তার মোবাইল ফোনটি উ’দ্ধার করে দেয়ার জন্য বেশ কা’ন্নাকাটি ও আকুতি-মিনতি করছিলেন। ওই নারীর কাছে তখন কাদের জানতে চান তার মোবাইলে গুরুত্বপূর্ণ এমন কি আছে যার জন্য তিনি এমন মিনতি করছেন। তখন ওই নারী বলেন, হারিয়ে যাওয়া মোবাইলটি শুধু একটি মোবাইল নয়। সাধারণ কোনো মোবাইল হলে তিনি এমন করতেন না। আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, ফোনটি তার বাবার দেয়া শেষ স্মৃ’তি। তার বাবা ওই ফোনটি কিনে দিয়েছেন। বাবার সঙ্গে অনেক ছবিও রয়েছে ফোনে। কিন্তু কিছুদিন আগে তার বাবা মা’রা গেছেন। বাবার শেষ স্মৃ’তিগুলো তিনি মোবাইলে বার বার দেখতেন। মোবাইলটি না পেলে তার বাবার সব স্মৃ’তি শেষ হয়ে যাবে। এসব কথা বলতে বলতে আবার কা’ন্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কাদের ওই নারীর সেই রাতের কা’ন্না সহ্য করতে পারেননি। মানবিক দিক বিবেচনায় আর এক সন্তানের বাবার স্মৃ’তি ফিরিয়ে দিতে তিনি সিদ্ধান্ত নেন মোবাইল ফোনটি উ’দ্ধার করবেন। পরে তিনি জিডির কপি ও অন্যান্য ডকুমেন্টসহ যোগাযোগ করেন ডিবির সঙ্গে। তিন মাস চেষ্টা করার পর ওই নারীর হারিয়ে যাওয়া মোবাইলটি উ’দ্ধার করেছিলেন বরিশাল থেকে। তারপর ওই নারীকে ফোন করে জানান তার মোবাইলটি উ’দ্ধার হয়েছে। মোবাইল নিতে এসে অঝোর ধারায় কা’ন্না করেছিলেন ওই নারী। ওই রাতে একটি মোবাইল ফোনের জন্য কা’ন্নাকাটি দেখেই কাদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উ’দ্ধার করবেন।
ডিএমপির গুলশান জোনের সহকারী পু’লিশ সুপার নিউটন দাস মানবজমিনকে বলেন, এএসআই কাদের অসংখ্য হা’রানো বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল উ’দ্ধার করে দিয়েছে। এটা একটা পজেটিভ বিষয়। তার এ কাজে মানুষ উপকৃত হচ্ছে। সে শুধু তার কর্মস্থলের আওতাধীন এলাকার মোবাইল উ’দ্ধার করছে না। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ ফোন করে মোবাইল উ’দ্ধারের বিষয়ে তার সাহায্য নেয়। তিনি বলেন, মোবাইল উ’দ্ধারে তার একটা দক্ষতা আছে। তবে গুলশান থা’নায় এএসআই হিসেবে তার অন্য কাজও আছে। সেই কাজগুলো ঠিক রেখে মানুষের উপকার করতে হবে। কী’ভাবে এতগুলো মোবাইল উ’দ্ধার করা সম্ভব হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সে হয়তো প্রথম’দিকে কিছু মোবাইল উ’দ্ধার করতে গিয়ে কিছু টেকনিক শিখে গেছে। হা’রানো মোবাইল স্ট্রেচ করতে পারে।
আবদুল কাদেরের এমন কর্মকা’ণ্ডে তার সহকর্মীরাও তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সম্মান জানিয়েছেন তার কর্মের প্রতি ভালোবাসা, একাগ্রতা ও নিষ্ঠাকে। তার অনেক সহকর্মী বা তাদের আত্মীয়-স্বজনের মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলেও তারা কাদেরের সহযোগিতা নেন। হাসিমুখে কাদের তাদের ফোনও উ’দ্ধার করে দেন।
ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পু’লিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, একজন অফিসার যখন এরকম অর্জন করে তখন অবশ্যই আম’রা আনন্দিত, গর্বিত হই। পু’লিশ সদস্যরা যখন ভালো কিছু করে সেটা পুরো বাহিনীর সুনাম হয়। কাদেরের একাগ্রতা, নিষ্ঠা, চেষ্টা বা কাজের প্রতি যে ভালোবাসা এগুলো এই সময়ে সত্যিই বিরল। সেই দিক দিয়ে নিঃস’ন্দেহে কাদের একজন ভালো অফিসার। ভালো কাজ করেছে। তার ওপর সকল অর্পিত দায়িত্ব পালন করেই এই কাজগুলো করছে।