cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
প্রায় দেড় বছর পর অবশেষে শ্রেণিকক্ষে ফিরছে শিক্ষার্থীরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামীকাল থেকে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ’মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আবার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হবে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় সোয়া তিন কোটি ছাত্রছা’ত্রী আছে। সরাসরি পাঠদানের লক্ষ্যে বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে।
স্কুল-কলেজ খোলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও করো’না ভাই’রাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে আবারও বন্ধ হয়ে যেতে পারে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, করো’নাভাই’রাস সংক্রমণ বাড়লে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সুপারিশ করা হবে। তিনি বলেন, সংক্রমণ কমেছে বলেই স্কুল-কলেজ খুলেছে। সংক্রমণের হার আবার আশ’ঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ই নেবে। আম’রাও সেভাবেই পরাম’র্শ দেব। আম’রা চাইব না আমাদের ছে’লেমে’য়েরা সংক্রমিত হয়ে যাক।
শুক্রবার টিকার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের টিকা দেওয়ার সক্ষমতা অনেক। আপনারা জানেন যে প্রায় একদিনই আম’রা ৩৪ লাখ টিকা দিয়েছি। এছাড়া আম’রা বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) কোভ্যাক্সের আওতায় ১৮ লাখ টিকা পেয়েছি। এর আগে ১০ লাখ পেয়েছি। এ মাসে আম’রা আশা করছি যে চীন থেকে ২ কোটি টিকা পাব এবং এ বিষয়টি আপনাদের আগেই জানিয়েছি এবং টিকা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।
গণটিকা কার্যক্রম আবারও চালু করার কোনো পরিকল্পনা আছে কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া আম’রা প্রত্যেক সপ্তাহে টিকা পাওয়ার একটা শিডিউল পেয়েছি। এখন থেকে যেমন আজকে ১০ তারিখ চীন থেকে ৫০ লাখ টিকা পাওয়ার সিডিউল পেয়েছি। এভাবে এই মাসেই চারটা সিডিউল অনুযায়ী চলে আসলে আমাদের কার্যক্রম চলতে থাকবে এবং প্রত্যেক মাসেই প্রতি সপ্তাহে ৫০ লাখ টিকা আসবে আগামী নভেম্বর পর্যন্ত।
মন্ত্রী আরও বলেন, কোভাক্স থেকে টিকা আসছে সেটাও যোগ হয়ে যাবে। আপনারা জানেন আম’রা কোভ্যাক্সের সাড়ে ১০ কোটি টিকার অর্ডার দিয়েছি যেটা অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে আসার কথা। তারা যদি সিডিউল অনুযায়ী আমাদের টিকা দেয় তাহলে আমাদের ঠিকা দেওয়ার হার আরও বাড়বে। তাই এ বছরসহ আগামী বছরের কয়েক মাস টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে। অর্থাৎ আমাদের হাতে যতক্ষণ টিকা থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে, থামবে না।
ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ফাইজারের টিকা দেওয়া আম’রা শুরু করব। যেভাবে নরমালি অন্যান্য টিকা দেওয়া হচ্ছে ফাইজারের টিকাও সেভাবে দেওয়া হবে। যেখানে যেখানে দেওয়া সম্ভব সেখানেই দেব। কেননা ফাইজারের টিকার তাপমাত্রার একটা বিষয় আছে। মাইনাস ৭২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এই টিকা রাখতে হয়। তাই যেসব জায়গায় রাখা সম্ভব সেসব জায়গায় আম’রা রাখি এবং সেখান থেকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করব।
এরইমধ্যে শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দুই টার দিকে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে চীন থেকে কেনা সিনোফার্মের ৫৪ লাখ এক হাজার ৩৫০ ডোজ করো’নার টিকা।
দেশে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৯৯ হাজার ৭৭৩ ডোজ করো’না করো’না (কোভিড-১৯) টিকার প্রয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ কোটি ৪ লাখ ৩৭ হাজার ১১৪ এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৩২ লাখ ৬২ হাজার ৬৫৯ জন মানুষ।
এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ১ কোটি ১৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৪৬ আর নারী ৮৮ লাখ ১০ হাজার ৫৬৮ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৭৭ লাখ ২৮ হাজার ৮১০ আর নারী ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার ৮৪৯ জন।
এরমধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ ৪ হাজার ১৪৫ ডোজ।
ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ১ লাখ ৯১১ ডোজ। চীনের সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭৪ হাজার ৯৮৬ ডোজ। আর মডার্নার টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৪৬ লাখ ১৯ হাজার ৭৩১ জন।
করো’নাভাই’রাসের কারণে গত বছরের ১৭ মা’র্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকবার চেষ্টা করেও এই মহামা’রির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আর খোলা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দ্রুত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মা’র্চ দেশে করো’না সংক্রমণ দেখা দেয়। এরপর ১৭ মা’র্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ পর্যন্ত গত ১৭ মাসে দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়। করো’না সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় সবশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান সাধারণ ছুটি আগামী ১১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।