সর্বশেষ আপডেট : ১ মিনিট ২৯ সেকেন্ড আগে
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

যেভাবে সফল নাসুম

ইনিংসের প্রথম চার বল খেলে ফেলেছে নিউ জিল্যান্ড। তখনও রানের খাতা খুলত পারেনি। শেষ পর্যন্ত নাসুম আহমেদের এই ওভারে কোনো রানই নিতে পারেনি নিউ জিল্যান্ড। উল্টো পঞ্চম বলে সুইপ করতে গিয়ে ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ধরা পড়েছেন সাইফউদ্দিনের হাতে। মেডেন ওভার, সঙ্গে ১ উইকেট; সেই যে শুরু করলেন নাসুম; থেমেছেন আরও ৩ উইকেট নিয়ে।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) ম্যাচ শেষে নাসুম জানালেন তার চেষ্টা ছিল একটা জায়গায় বলে করে যাওয়া, ‘অ্যাডজাস্টমেন্ট বলতে সিমে একটু হিট করেছি বেশি। মাঝেমধ্যে দু একটা ক্রস সিমেও বল করেছি। একটু টার্নিং উইকেট ছিল, চেষ্টা ছিল একটা জায়গায় বল করা।’

বাংলাদেশের বোলিংয়ের শুরুটা করেছিলেন এই স্পিনার। পাওয়ার প্লেতে করেছেন আরও ১ ওভার। টি-টোয়েন্টিতে এ সময়ে বল করা যে কোনো বোলারের জন্যই চ্যালেঞ্জিং। নাসুম দলীয় তৃতীয় ওভারে এসে নিয়েছেন ফিন অ্যালেনের উইকেট। পাওয়ার প্লেতে ২ ওভার বোলিং করে মাত্র ৬ রান দিয়ে ২ উইকেট।

নাসুমের মতে, তিনি পাওয়ার প্লেতে বল করায় অভ্যস্ত হয়ে গেছেন, ‘পাওয়ার প্লেতে বল করে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। ওই সময় বল দিয়ে আমাকে বলা হয় না যে, তুমি আমাকে একটা উইকেট বের করে দাও বা এরকম। জাস্ট আমার মতো বোলিং করার জন্য বলা হয়। আমিও চেষ্টা করি যত কম রান দেওয়া যায় বা পাওয়ার প্লেতে যত কম রান দিতে পারি সেটা মাথায় রেখে ওই রকম ডট বল করে যাওয়ার চেষ্টা থাকে আমার।’

পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশ মাত্র ২২ রান দেয়। সঙ্গে তুলে নেয় ২ উইকেট। নিউ জিল্যান্ডকে ৯৩ রানে আটকে দেওয়ার বড় কারণ ছিল এটিই। মিরপুরের উইকেট নিয়ে নাসুমের মন্তব্যে ছিল পরিপক্বতার ছাপ, ‘আসলে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমাকে যে কোনো উইকেটেই বল করতে হবে। ফ্ল্যাট হোক বা টার্নিং হোক বা যাই হোক আমাকে ভালো করতে হবে এবং পরিস্থিতি অুনযায়ী আমাকে বল করে যেতে হবে। কোন জায়গায় কেমন উইকেট তা তো আমি আগে থেকে জানি না, আমার চেষ্টা থাকবে যতটুক ভালো করা যায়।’

পাওয়ার প্লের দুই ওভারের পর দশম ওভার করেছেন এই স্পিনার। ওই ওভারে কোনো উইকেটের দেখা পাননি। রান দিয়েছেন মাত্র ৪টি। এরপর দলীয় ১২তম ও নিজের শেষ ওভার করতে এসে জোড়া আঘাত হানেন। পরপর দুই বলে ফেরান হেনরি নিকোলস ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে। জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। শেষ পর্যন্ত ক্ষান্ত হন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে। ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট। তার মধ্যে মেডেনই ছিল ২টি!

চার উইকেটের মধ্যে নাসুমের কাছে সবচেয়ে সেরা উইকেট ফিন অ্যালেনেরটি। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে ফিন অ্যালেনের উইকেটটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। আর গ্র্যান্ডহোমকে তো আমি এই নিয়ে তিনবার আউট করলাম। অ্যালেনের উইকেটটাই আমার কাছে বেশি ভালো লাগছে। ও রিভার্স সুইপ করতে চাচ্ছিল, আমি ওই ডেলিভারিটা খুব জোরে বল করেছি আর ও মিস টাইম করেছে। আর এর আগের ম্যাচেও আমার লক্ষ্য ছিল যেন ওর উইকেটটা পাই আমি। আমার অভিষেক উইকেট ও (অ্যালেন)।’

নিউ জিল্যান্ডের দেওয়া ৯৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ জিতেছে ৬ উইকেটে। নাসুমের হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। নিজেকে দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মনে হয় কী না এমন প্রশ্নে নাসুম বলেন, ‘আসলে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়েছি কি না জানি না। তবে দল থেকে অনেক সমর্থন পাচ্ছি। বিশেষ করে অধিনায়ক ও অভিজ্ঞরা আমাকে অনেক সমর্থন করছেন। আর এতে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে। আর কোচও আমার সঙ্গে ব্যাক্তিগতভাবে কাজ করেন। তার সঙ্গে আমি অনেক কিছু শেয়ার করি, তিনিও আমার সঙ্গে অনেক কিছু শেয়ার করেন।’

আরেক সতীর্থর মেহেদী হাসানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বল করে যান নাসুম। দুজনের আলাপ আলোচনার কথাও বলেছেন। একজন আরেকজনের জন্য এগিয়ে আসেন খারাপ ওভার হলে। এ প্রসঙ্গে নাসুম বলেন, ‘মেহেদী যখন বোলিং করে, আমি যখন বোলিং করি আমাদের মধ্যে কথা হয় যে তুমি একটা ওভার খারাপ করলে আমি এসে কভার করে দিব বা আমি খারাপ করলে ও কাভার করবে। কিন্তু মোস্তাফিজ বা সাইফউদ্দিনের সঙ্গে এমন কোনো কথা হয়নি। আমি আর মেহেদী প্রায় সময়ই এ ব্যাপারে কথা বলি। আমি ওকে উৎসাহ দেই আর ও আমাকে উৎসাহ দেয়।’

নাসুমের অভিষেক হয় নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে। অভিষেকটা ভালো হলেও বাংলাদেশ কোনো ম্যাচে জিততে পারেনি। এবার নিজেদের মাটিতে তাদেরই বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়। কেমন লাগছে? নাসুমের উত্তর, ‘নিউজিল্যান্ডে যখন খেলতে গিয়েছি তখন আমার টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়। প্রথম ম্যাচে ২ উইকেট পেয়েছিলাম। একটা আক্ষেপ ছিল ওদের সঙ্গে জিততে পারিনি। তো আলহামদুলিল্লাহ হোম কন্ডিশনে আমরা সিরিজ জিতছি। প্রথম দুটা জেতার পর আজ চার নম্বর ম্যাচে এসে সিরিজ জিতলাম। অনুভূতি বলতে খুব ভালো লাগছে আর খুব খুশিও লাগছে নিজে পারফর্ম করেছি এ জন্য।’ সূত্র : রাইজিংবিডি

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: