cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ফেনীর সোনাগাজী পৌর এলাকায় গত দেড় মাস ধরে সড়কে ও পাড়ার অলিগলিতে অ’জ্ঞাত পরিচয়ের মানসিক ভা’রসাম্যহীন এক নারীকে দেখতে পেতো স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেক সময় বিবস্ত্র অবস্থায় রাস্তায় চলাচল করতে দেখা যেত মধ্যবয়সী ওই নারীকে। নি’খোঁজের ১০ বছর পর সোনাগাজী বাজার এলাকায় ঘোরাফেরা করা মানসিক ভা’রসাম্যহীন নারীটিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌরসভা’র মেয়র রফিকুল ইস’লাম খোকন।
সোনাগাজীর ভা’রপ্রাপ্ত উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা লিখন বনিক ও সোনাগাজী পৌরসভা’র মেয়র রফিকুল ইস’লাম খোকন’র উপস্থিতিতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বড় ছে’লে শাওনের কাছে ভা’রসাম্যহীন সুফিয়াকে হস্তান্তর করে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন সহায়। এসময় সুফিয়ার চিকিৎসা খরচ বাবদ তার ছে’লের হাতে নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেন মেয়র খোকন। সহায় সংগঠনের নিজস্ব এম্বুলেন্সে করে রাতেই তাকে ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় নেওয়া হয়। ঢাকায় পৌঁছালে সেখানে সুফিয়ার বাবা মোহাম্ম’দ আলী তাকে গ্রহণ করেন। বুধবার সকালে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতা’লে ভর্তি করা হবে বলে স্বজনরা জানায়।
ফেনীর মানবিক ও সামাজিক সংগঠন সহায়’র প্রধান সমন্বয়ক মঞ্জিলা আক্তার মিমি জানান, ‘অ’জ্ঞাত এই নারীর বিষয়টি মেয়র খোকন আমাদের জানালে আমাদের সংগঠনের সদস্যরা গত ৩রা সেপ্টেম্বর বিকালে সোনাগাজী পৌরসভা’র বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি বিকল মিনি বাসের ভিতরে বিবস্ত্র ও জ্বরে আ’ক্রান্ত অবস্থায় নারীটিকে উ’দ্ধার করে। পরে তাকে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতা’লে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা ও পরিচর্যা শুরু করি।’
অনেকটা মানসিক ভা’রসাম্যহীন অবস্থায় ওই নারী মিমিকে বলেন, তার নাম সুফিয়া।
তবে তিনি নির্দিষ্ট করে তখন অন্য কোন পরিচয় দিতে পারছিল না। তার দেওয়া আংশিক তথ্য মতে তার পরিবারের খোঁজ নেওয়া শুরু করে সহায় টিম। ফেনী জে’লাসহ আশপাশের থা’নাগুলোতে পরিচয় শনাক্তের জন্য নারীটির ছবি ও তথ্য সরবরাহ করে সহায় টিম। গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে শাওন নামে এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে জানান, কুমিল্লা জে’লার হোমনা থা’না পু’লিশের ফেসবুক পেইজে পরিবারের খোঁজ পেতে যে মহিলার ছবি ও তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তিনি তার মা। তার মায়ের নাম সুফিয়া বেগম। তিনি গত ১০ বছর যাবৎ নি’খোঁজ ছিলেন।
বড় ছে’লে মোহাম্ম’দ শাওন বলেন, তার মা সুফিয় বেগম। বয়স অনুমান ৪০ বছর। স্বামী মোহাম্ম’দ আলম। বাড়ি নরসিংদী জে’লার মাধবদী উপজে’লার পুরান চর এলাকায়। গত দশ বছর আগে শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীর অমানবিক অ’ত্যাচারের এক পর্যায়ে মস্তিষ্কে বি’কৃতি দেখা দেয়। পরে মানসিক ভা’রসাম্যহীন অ’পবাদে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন স্বামী মোহাম্ম’দ আলম। পরে ২০১১ সালে সুফিয়াকে ঢাকার কমলাপুর এলাকায় দেখতে পান তার গ্রামের এক প্রতিবেশী। তারপর সুফিয়ার দুই ছে’লে সন্তান ও স্বজনরা নানা স্থানে খুঁজেও তার আর সন্ধান পায়নি।
সুফিয়ার পরিচয় শনাক্তের পরে গত ৬ই সেপ্টেম্বর দুপুরে তার বড় ছে’লে শাওন ও তার ফুফাতো ভাই সিফাত ফেনীতে আসেন এবং মোবাইল ফোনে ভিডিওকলের মাধ্যমে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সুফিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা। এসময় একজন অ’পরজনকে চিনতে সক্ষম হয়।
সুফিয়ার ১৬ বছর বয়সী বড় ছে’লে মোহাম্ম’দ শাওন আরও জানায়, ‘তার ১৪ বছর বয়সী মোহাম্ম’দ আরমান নামে আরেকটি ছোট ভাই আছে। সে অভাবের তাড়নায় গ্রামে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। শাওন ঢাকার আলরাজী হাসপাতা’লের ওয়ার্ড বয় পদে চাকরি করেন। বাবা মোহাম্ম’দ আলম ১০ বছর আগে তার মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর থেকে তারা দুই ভাই নানার বাড়ির পরিবারের সহযোগিতার মাধ্যমে বেড়ে উঠেন। মাকে হারিয়ে ফেলার পর ঢাকা শহরে সবসময়ই মাকে খুঁজে বেড়াতেন শাওন।’
মোহাম্ম’দ শাওন বলেন, ‘মাকে হারিয়ে আম’রা দুই ভাই খুব হতাশ হয়েছিলাম। এখন সেই হতাশা কাটিয়ে উঠেছি। তবে আমাদের অসচ্ছল পরিবার হওয়ায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে মায়ের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার জন্য বিত্তশালীদের কাছে সহযোগিতা চাই।’
ফেনী জেনারেল হাসপাতা’লের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ইকবাল হোসেন ভূইয়া জানান, সুফিয়ার মনোবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা ও পরিবারে সদস্যদের সঙ্গ পেলে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবেন।