cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
তা’লেবানদের ক্ষমতা দখলের পর দলে দলে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন আ’ফগা’ন নাগরিকরা। এই শরণার্থীদের কারণে আগামী কয়েক বছর আ’মেরিকা ও ইউরোপে বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থীদের বাড়তি ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোতে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী বাংলাদেশিদের আবেদন গ্রহণের সংখ্যা হ্রাস পেতে পারে।
কাবুল পতনের পর দলে দলে দেশ ত্যাগ করছে আ’ফগা’নরা। আ’মেরিকার ও ইউরোপের দেশগুলোর সহায়তায় বিমানবন্দর দিয়ে অনেক আ’ফগা’ন নাগরিক কাবুল ছেড়েছে। তাদের প্রায় সবাই সহায়তাকারী দেশে আশ্রয় পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেউ কেউ আবার ই’রান ও পা’কিস্তান হয়ে ইউরোপ বা আ’মেরিকায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আ’ফগা’নিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে শরণার্থী হিসাবে এদের আবেদন আশ্রয়দানকারী দেশগুলোর কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউরোপে কাজ করার অ’ভিজ্ঞতাসম্পন্ন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মক’র্তা বলেন, ‘২০১৯ সালে ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে যেসকল বাংলাদেশি আবেদন করেছিলেন তাদের ৬ শতাংশের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছিল। ২০২০ সালে সেটা কমে হয়েছিল ৫ শতাংশ। চলমান আ’ফগা’ন পরিস্থিতির কারণে এ বছর সে হার আরও কমে যাওয়ার আশংকা আছে।’
তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বের নজর এখন আ’ফগা’নিস্তানের ওপর এবং স্বাভাবিকভাবে সেখানকার শরণার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে।’
পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশ রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন গ্রহণ করে থাকে। ইউরোপের দেশগুলোর ক্ষেত্রে বিবেচনার বিষয়টি তাদের শ্রম বাজারের সঙ্গে স’ম্পর্কিত। অর্থাৎ তাদের শ্রমবাজারে কত শ্রমিক লাগবে- এ হিসাবটি তারা করে। এই কাজের জন্য তাদের নিজস্ব নাগরিক কত আছে ও বাইরে থেকে কতজন লাগবে- এই দুই হিসাবের ওপরই নির্ভর করে কত লোককে তারা রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে সেই বিষয়টি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আর একজন কর্মক’র্তা বলেন, ‘২০১৫ সালে সিরিয়া সমস্যার পরে লাখ লাখ সিরিয়ান ইউরোপে পাড়ি জমায়। ইউরোপের একটি দেশে ওই বছর সাধারণত যে পরিমাণ রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন পড়ে তার থেকে ১০ গুন (প্রায় দুই লাখ) বেশি আবেদন পড়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমি ওই দেশের একজন কর্মক’র্তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এর মধ্যে কতজনের আবেদন গ্রহণ করা হতে পারে? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন ৮০ হাজারের কিছু বেশি। কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছিলেন, তাদের শ্রমবাজারের হিসাব অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছরে যত বিদেশী শ্রমিক লাগবে, সেটি তারা একবছরেই নিয়ে নেবে। আর এই কারণে পরের কয়েক বছরে তারা শরণার্থী আবেদন গ্রহণের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কমিয়ে দেবে।’
বাংলাদেশ থেকে অনেকে ভাগ্যান্বেষণের জন্য ইউরোপে পাড়ি জমায়। সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য অনেক কাগজপত্রও নিয়ে যায়। যারা সঙ্গে কাগজপত্র নিতে না পারে, তারা বাংলাদেশে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র পাঠাতে বলে, যাতে তাদের আবেদন দৃঢ় হয়।
এ বিষয়ে আরেকজন কর্মক’র্তা বলেন, ‘ইউরোপের অনেক দেশের দূতাবাস বাংলাদেশে আছে। যাদের নেই তারা বিভিন্ন সূত্র থেকে বাংলাদেশ স’ম্পর্কে খবর জোগাড় করে। শরণার্থী হিসাবে তাদের গ্রহণ করার পরিস্থিতি যে বর্তমানে বাংলাদেশে নেই, তা ওইসব দেশের সরকারগুলো জানে।’
এই অবস্থায় বাংলাদেশিদের আবেদন কেন গ্রহণ করা হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শ্রমবাজার একটি কারণ। এ ছাড়া ওই ব্যক্তির নির্দিষ্ট কোনও দক্ষতা এবং মা’মলা চলাকালীন তার আয় করার ক্ষমতাসহ অন্যান্য বিষয়কে বিবেচনা করা হয়।’