cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
কমিটি দ্বন্দ্বসহ নানা কারণে সিলেটে গেল কয়েক বছরে বিএনপি ছাড়ছেন কয়েক’শ নেতাকর্মী। তবে- সবচেয়ে আ’লোচিত-সমালোচিত হয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, ইনাম আহম’দ চৌধুরীর পদত্যাগে। সম্প্রতি ক্ষোভে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সামসুজ্জামান জামান। জামানের পদত্যাগ সিলেটে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে জামানের পদত্যাগ ট’ক অব দ্যা কান্ট্রি’। সব জায়গাতেই পদত্যাগ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
অবশ্য সামসুজ্জামান জামান প্রেস কনফারেন্স করে নিজে পদত্যাগের কারণ জানিয়েছেন। ইনাম আহম’দ চৌধুরীও দল থেকে মূল্যায়ন না পাওয়া কে কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে- শমসের মবিন চৌধুরী নিজের অ’সুস্থতাকে সামনে রেখে দলত্যাগে পদত্যাগ করলেও এর ভেতরে ছিল অন্য কারণও ছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির ভুলের জন্য তারা দল ছেড়েছেন। নেতাদের বিএনপি ছাড়ার পেছনে দুটি কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, দলে গণতন্ত্রের চর্চা নেই আর রাজনীতি ঘরেই সীমাবদ্ধ। এছাড়াও রয়েছে সাংগঠনিক দুর্বলতা। অদক্ষ, অযোগ্যদের দিয়ে কমিটি গঠন, ত্যাগীদের অবমূল্যায়ন, রাজপথে যারা র’ক্ত ঝরিয়েছে তাদেরকে হেয় করাসহ নানা কারণে দল ছাড়ছেন বিএনপি নেতারা।
২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি ছাড়েন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। রাজনীতি করবেন না জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিঠিও দেন তিনি।
পদত্যাগের কারণ স’ম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, স্বাস্থ্যগত কারণে আমি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছি। আপনারা জানেন আমি একজন যু’দ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। শারীরিকভাবে এখন আর রাজনীতি করার মতো অবস্থায় নেই। এ কারণে বিএনপির সব পদ থেকে সরে গিয়ে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন থেকেই তা কার্যকর হবে। তবে- এটা বাহ্যিক কারণ হলেও মূলত কারণ ছিল- দলের অবমূল্যায়ন। দলীয় সভা, সমাবেশ তাকে আহ্বান না করা।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০১-২০০৫ সাল পর্যন্ত শমসের মবিন চৌধুরী ছিলেন পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্বে। নির্বাচনে অংশ না নিলেও গত কয়েকবছর ধরে তিনি বিএনপির মূল ক্ষমতাকেন্দ্রের খুব কাছাকাছিই ছিলেন। যু’ক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দুই বছর চাকরি মেয়াদ শেষে করে ২০০৮ সালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে বিএনপিতে যোগ দেন শমসের মবিন চৌধুরী। সে সময় চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পান তিনি। ২০০৯ সালে বিএনপির কাউন্সিল হলে শমসের মবিনকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়।
ওই বছরের শুরুতে বিএনপি ও শরিকদের টানা অবরোধ-হরতা’লের মধ্যে নাশকতার মা’মলায় গ্রে’প্তার হয়েছিলেন সে’নাবাহিনী থেকে কূটনীতিক বনে যাওয়া শমসের মবিন। পরে আ’দালত তাকে জামিনে মুক্তি দেয়। জামিনে মুক্ত হয়েই তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেন।
২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহম’দ চৌধুরী। সিলেট-১ আসনে এবারের একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ইনাম আহমেদ চৌধুরী। ওই আসনে ধানের শীষের প্রতীক পান খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। এরপরই তিনি দল ছাড়েন। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছি- দল থেকে মূল্যায়ন পাইনি। বিএনপি এখন ব্যক্তি স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে। আম’রা তো রাজনীতি ব্যক্তি স্বার্থে করি না, দেশের স্বার্থে করি। তাই দল থেকে পদত্যাগ করেছি। ইনাম আহমেদ চৌধুরী বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গত ১৮ জুলাই পদত্যাগ করেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক সামসুজ্জামান জামান। পদত্যাগপত্রে জামান উল্লেখ করেন, ‘১৯৮৫ সাল থেকে ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে বিএনপিতে যু’ক্ত হই। বিএনপির দুর্দিনে এই দলকে প্রতিষ্ঠা করতে জীবনের সোনালি সময় ও অর্থ ব্যয় করেছি। সীমাহীন প্রতিকূলতার মাঝে দলকে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করেছি। আমি কখনোই হালুয়া-রুটির ভাগিদার হইনি। কিংবা অ’নৈতিক সুবিধা গ্রহণ করিনি।’
তিনি বলেন, ‘বিগত আ’ন্দোলন সংগ্রামে আমা’র ও আমা’র সহযোদ্ধাদের ভূমিকা আপনার মনে থাকার কথা। কিন্তু অ’ত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো- মঙ্গলবার সিলেট জে’লা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষিত হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক হওয়া সত্ত্বেও সেখানে আমা’র মতামত ও পরাম’র্শ উপেক্ষা করা হয়েছে। যেসব সহযোদ্ধা জীবন বাজি রেখে আ’ন্দোলন করেছিলেন, গু’লিবিদ্ধ হয়েছিলেন, সংসার ছাড়া হয়েছিলেন তাদেরকে চরমভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে দলটাকে ভালোবেসে তিল তিল করে বিনির্মাণ করেছিলাম আজকে সেই দলে আম’রাই অনাহুত। আপনারা প্রায়শই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেন, রাষ্ট্রের কাছে ন্যায় ইনসাফের দাবি তুলেন। কিন্তু নিজেদের অন্তর-আত্মাকে একবার জিজ্ঞেস করে দেখবেন কি-আপনারা নিজ দলে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন কিনা?
তবে- সামসুজ্জামান জামানের পদত্যাগের পর থেকে সিলেট বিএনপি নড়ছড়ে হয়ে পড়েছে। শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। বিএনপির নেতারা বলছেন- সিলেট বিএনপি টিকিয়ে রাখতে জামানের কোন বিকল্প নেই। জামানের এই পদত্যাগ সিলেট বিএনপির জন্য অশনি সংকেত। কারণ- এই পদত্যাগের সঙ্গে সিলেটে অবস্থান করা অনেক কেন্দ্রীয় নেতার সম’র্থন রয়েছে। তাদেরকে ডিঙিয়ে সিলেট বিএনপিতে নানা সময় নানা ঘটনা ঘটছে। এতে দল বিতর্কিত হওয়া ছাড়াও শক্তিহীন হয়ে পড়ছে। এজন্য তারা সিলেট বিএনপির ভাঙন ঠেকাতে অবিলম্বে এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে। এজন্য কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় নেতাদের নিরপেক্ষ হস্তক্ষেপ দাবি করেন স্থানীয় বিএনপি নেতারা।