cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থা’না পু’লিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস নি’র্মম হ’ত্যাকা’ণ্ডের র’হস্য উদঘাটন পূর্বক হ’ত্যাকারীদের গ্রে’প্তার করে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। শনিবার দুপুরে মধ্যনগর থা’না পু’লিশ এ হ’ত্যার র’হস্য প্রকাশ করে।
গত বুধবার রাত আড়াইটার দিকে মনাই নদী থেকে সুভাষ চন্দ্র সরকারের লা’শ উ’দ্ধার করে মধ্যনগর থা’না পু’লিশ। সুনামগঞ্জ জে’লার ধ’র্মপাশা উপজে’লার মধ্যনগর ইউনিয়নের ফারুকনগর গ্রামের উত্তরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ষাটোর্ধ সুভাষ রাতে বাড়ির সামনে নদীর ঘাটে তাদের নৌকায় ঘুমায়। কিন্তু হঠাৎ এক রাতে তাকে নৌকায় পাওয়া যাচ্ছিলো না। সুভাষের ছে’লে সুজিত চন্দ্র সরকার প্রতিবেশীদের নিয়ে তাকে খুঁজতে বের হয়। নৌকার অদূরে নদীর পানিতে গলায় ও পায়ে রশি বাঁ’ধা অবস্থায় পাওয়া যায় সুভাষের লা’শ। বাবার এমন ভ’য়নক পরিণতিতে সুজিতের কা’ন্না ও চি’ৎকার শুনে ছুটে আসে পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ স্থানীয়রা। সুজিত সাথে সাথে পু’লিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পু’লিশ রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুভাষের লা’শ উ’দ্ধার করে। পরদিন সুভাষের মে’য়ে নীভা রানী তালুকদার মা’মলা করেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুজিতসহ সুজিতের স্ত্রী’ খেলা রানী সরকার ও তার মা আরতী রানী সরকারকে থা’নায় নিয়ে যায় পু’লিশ। সেখানে পু’লিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী’, ছে’লে ও পুত্রবধূ সুভাষকে হ’ত্যার দায় স্বীকার করে। পরে তারা আ’দালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। আর এতেই বেরিয়ে আসে হ’ত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মধ্যনগর থা’নার ওসি নির্মল দেব জানান, বি’কৃত মানসিকতার অধিকারী ও নারী লো’ভী ব্যক্তি সুভাষ শারীরিকভাবে ছিল শক্তপোক্ত। সুযোগ পেলেই সে যেকোনো নারীকে যৌ’ন হয়’রানি ও ধ’র্ষণ করতো। যা তার পুত্রবধূ তাদের জানিয়েছে। সুভাষের বি’কৃত যৌ’নাচার থেকে রেহাই পায়নি পুত্রবধূ, ভাগনিসহ নারী প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনরা। বিষয়টি নিয়ে সুভাষের পরিবারের লোকজন অ’তিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। দিনদিন সুভাষের বি’কৃত আচরণ বেড়েই চলেছিল। পরিবারের লোকজন চেষ্টা করেও তাকে এ কাজ থেকে ফেরাতে পারেনি। ফলে তারা এসব নীরবে সহ্য করে যাচ্ছিল। এ অবস্থায় তারা কী’ করবে ভেবে পাচ্ছিল না। লোকলজ্জায় কাউকে কিছু বলতেও পারছিল না তারা। পরে বাধ্য হয়ে সুভাষের স্ত্রী’, ছে’লে ও পুত্রবধূ এ হ’ত্যাকা’ণ্ডের পরিকল্পনা করে।
তিনজনের জবানব’ন্দি অনুযায়ী- সুভাষ বাড়ির পূর্বপাশে নদীর ঘাটে প্রায় রাতেই নৌকায় ঘুমায়। ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় স্ত্রী’, ছে’লে ও পুত্রবধূ সুভাষকে হ’ত্যার পরিকল্পনা করে। হ’ত্যার উপকরণ হিসেবে নিজেদের গোয়াল ঘর থেকে সংগ্রহ করা হয় রশি। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তারা সুভাষের পা বাঁধে এবং শ্বা’সরোধে করে হ’ত্যা করে লা’শ নদীতে ফেলে দেয়। যাতে কেউ স’ন্দেহ না করে সেজন্য সুভাষের ছে’লে প্রতিবেশীদের জানায়, তার বাবাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
খবর পেয়ে রাত আড়াইটার ধ’র্মপাশা সার্কেলের সহকারী পু’লিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকারের উপস্থিতিতে সুভাষের লা’শ উ’দ্ধার করা হয়। লা’শ ময়নাত’দন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতা’লে পাঠানো হলেও পু’লিশ কৌশলে সুভাষের পরিবারের লোকজন, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। পরদিন সুভাষের স্ত্রী’, ছে’লে ও পুত্রবধূ পু’লিশের কাছে হ’ত্যার দায় স্বীকার করলে তাদের আ’দালতে পাঠানো হয়। শুক্রবার সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ’দালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
সুনামগঞ্জের পু’লিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, হ’ত্যাকা’ণ্ডের সাথে জ’ড়িতরা হ’ত্যাকা’ণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় হ’ত্যা মা’মলা করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ায় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।