cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
মাত্র ১১ মাসের ব্যবধানে তিন শীর্ষ নেতাকে হারিয়েছে দেশের কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইস’লাম বাংলাদেশ। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে মা’রা যান হেফাজতের আমির ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার শাইখুল হাদিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। তবে এ শোক সংবাদের অর্ধদিন না পেরোতেই বাবুনগরীর স্থলাভিষিক্ত হিসেবে নতুন আমির হিসেবে মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীর নাম ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে হাটহাজারী মাদরাসায় সদ্য প্রয়াত আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর জানাজায় আমির পদে তার নাম ঘোষণা করেন হেফাজত মহাসচিব নুরুল ইস’লাম জিহাদী। আগামী কাউন্সিল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন।
কে এই মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী?
ভা’রপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পাওয়া মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী সদ্য প্রয়াত জুনাইদ বাবুনগরীর মামা হন। জুনাইদ বাবুনগরীর নেতৃত্বাধীন কমিটিতে তিনি হেফাজতের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। এছাড়া আল্লামা শাহ আহম’দ শফীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতের কমিটিতেও তিনি ছিলেন সিনিয়র নায়েবে আমির।
মা’ওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর বয়স প্রায় ৯০ বছর। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির আল জামিয়াতুল ইস’লামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগরের মহাপরিচালকের দায়িত্বে আছেন। চট্টগ্রামের বাইরে তার তেমন প্রভাব না থাকলেও হাটহাজারী মাদরাসা বলয়ের আস্থাভাজন হওয়ায় তিনি ভা’রপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পেয়েছেন।
মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী এর আগেও বিভিন্ন সময় আ’লোচিত হন। তিনি মুফতি ফজলুল হক আমিনীর নেতৃত্বাধীন ইস’লামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে ইস’লামী ঐক্যজোট বিএনপি জোট থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর তিনি পদত্যাগ করেন। এছাড়া মানবতাবিরোধী অ’প’রাধে মৃ’ত্যুদ’ণ্ড পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর জানাজার নামাজে ই’মামতি করেও তিনি আলোচনায় আসেন।
মা’ওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী হেফাজতে ইস’লামের তৃতীয় আমির। প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহম’দ শফীর ই’ন্তেকালের কয়েক মাস আগে থেকে শফীপন্থীদের সঙ্গে জুনাইদ বাবুনগরীপন্থীদের বিরোধ বাড়তে থাকে। তখন মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী আল্লামা শফীর বিরোধী বলয়ে নেতৃত্ব দেন। আল্লামা শফীর পরে তিনিই আমির হবেন এমন গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত তার ভাগিনা জুনাইদ বাবুনগরী আমির নির্বাচিত হন। আর তাকে করা হয় প্রধান উপদেষ্টা। গত মা’র্চে নরেন্দ্র মোদির সফরের বি’রুদ্ধে আ’ন্দোলন করে চাপে পড়া হেফাজত এক পর্যায়ে কমিটি বিলুপ্ত করতে বাধ্য হয়। পরে পাঁচ সদস্যের যে আহ্বায়ক কমিটি করা হয় সেখানেও মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ছিলেন।
কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে হেফাজত?
নতুন এই কা’ন্ডারির নেতৃত্বে নানামুখী চাপে পড়ে অস্তিত্ব হারাতে বসা হেফাজতে ইস’লাম কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে সেটা নিয়ে এখন সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা আলোচনা ও বিশ্লেষণ চলছে। মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী হেফাজতের মাঝে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি ঠিক আছে, কিন্তু তার বয়স প্রায় ৯০ বছর। তিনি থাকেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সেই প্রত্যন্ত অঞ্চলে। তিনি সংগঠনকে খুব বেশি কিছু দিতে পারবেন কি-না সেটা নিয়ে স’ন্দেহের অবকাশ রয়েছে।
হেফাজতে ইস’লাম প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে। সেই সময় নারী নীতিমালার বি’রুদ্ধে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে সংগঠনটির যাত্রা। তবে সংগঠনটি জাতীয় পর্যায়ে পরিচিতি লাভ করে ২০১৩ সালে। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ইস’লাম স’ম্পর্কে কটূক্তি হচ্ছে এমন অ’ভিযোগ তুলে ওই বছরের ৬ এপ্রিল সংগঠনটি ঢাকা অ’ভিমুখে লংমা’র্চ করে। তাদের এই শোডাউন ব্যাপক নজর কাড়ে বিভিন্ন মহলের। তবে এর ঠিক এক মাস পর ৫ মে ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচিতে শাপলা চত্বরে অবস্থানকালে মধ্যরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অ’ভিযানে পালাতে বাধ্য হন হেফাজতের নেতাকর্মীরা। এরপর সংগঠনটি অনেকটা চুপসে যায়।
হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির ছিলেন আল্লামা শাহ আহম’দ শফী। তার ব্যক্তিত্বের কারণে সারাদেশের মানুষ তাকে সমীহ করতো। পরবর্তী সময়ে সরকারের সঙ্গেও দেশের শীর্ষ এই আলেমের সুস’ম্পর্ক গড়ে উঠে। তার নেতৃত্বেই কওমি মাদ্রাসা দাওরায়ে হাদিসের সনদের সরকারি স্বীকৃতি পায়। এমনকি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শোকরিয়া মাহফিলে প্রধানমন্ত্রীকে ‘কওমি জননী’ উপাধিও দেন আলেম-উলামা’রা। মূলত আল্লামা শফীর ই’ন্তেকালের পর হেফাজতে রাজনৈতিক আলেম’দের নিয়ন্ত্রণ চলে আসায় সংগঠনটি সরকারবিরোধী অবস্থানে চলে যায়।