cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
যু’ক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাসরত মোহাম্ম’দ আব্দুল ওয়াহিদ টোপন (৫৯) নামে এক বাংলাদেশি প্রবাসীর এক বছর একদিনের কারাদ’ণ্ড হয়েছে। নিউজার্সির ফেডারেল কোর্টের জজ পিটার শেরিড্যান এই রায় প্রদান করেছেন। কারাবাসের পর আরও দুই বছর টোপনকে কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে অ’তিবাহিত (সুপারভাইসড রিলিজ) করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) আ’দালত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রায় অনুযায়ী, সিলেটের সন্তান টোপনকে সোয়া তিন লাখ ডলারের মত অর্থ মা’র্কিন যু’ক্তরাষ্ট্রের সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। এই অর্থ তিনি ট্যাক্স এবং অন্যভাবে ফাঁকি দেন বলে আ’দালতে তিনি স্বীকার করেছেন।
একই মা’মলার অ’পর অ’ভিযু’ক্ত ময়মনসিংহের ইকবাল কবির (৪৭)-কে তিন মাসের কারাদ’ণ্ড দেয়া হয়েছে। মুক্তির পর তাকেও বিশেষ নজরদারিতে থাকতে হবে টানা দুই বছর। আইআরএস (ট্যাক্স) এবং ফেডারেল কর্তৃপক্ষের কাছে দোষ স্বীকার এবং জীবনে আর কখনো এমন জঘন্য অন্যায় না করার মুচলেকার ভিত্তিতে আ’দালত ইকবাল কবিরকে লঘু দ’ণ্ড দেন বলেও ফেডারেল প্রসিকিউটররা উল্লেখ করেছেন।
উল্লেখ্য, হালাল চিকেন ফার্মের ব্যবসা করতেন নিউইয়র্কের বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহিদ টোপন। এস্টোরিয়া এবং নিউজার্সিতে তার হালাল চিকেন এর খামা’র রয়েছে টার। মা’মলায় জানা গেছে, চিকেন জবাই করে বিক্রির খামা’রে নিয়োজিত কর্মচারীরা ন্যায্য পারিশ্রমিক পাননি। এছাড়াও কর্মচারীদেরকে নিউইয়র্ক থেকে নিউজার্সির মিডলসেক্স কাউন্টিতে নিয়ে খামা’রের প্রায় ভেতরেই অসহনীয় দুর্গন্ধে রাত কা’টাতে বাধ্য করা হতো। ন্যায্য পারিশ্রমিক দাবি করলেই কর্মচারীদেরকে ইমিগ্রেশনের হাতে ধরিয়ে দেয়ার ভ’য় দেখানো হতো। অর্থাৎ টোপন বাংলাদেশি ঐ শ্রমিকদেরকে জি’ম্মি করে কাজ করিয়েছেন বছরের পর বছর। ত’দন্তে এসব প্রমাণিত হবার পরই টোপন ও তার সহযোগী কবিরকে ২০১৬ সালে গ্রে’প্তার করা হয় নিউজার্সির হালাল চিকেন খামা’র থেকে।
মা’মলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে গ্রে’প্তারের আগ পর্যন্ত টোপন ও কবির তার কর্মচারীদেরকে সপ্তাহে ২৯০ ডলার করে দিতেন। কাজ করতে হয় ৭০ ঘন্টা থেকে ১০০ ঘন্টা করে। অ’তিরিক্ত সময় কাজের বিনিময়ে ওভা’রটাইমের বালাই ছিল না। অধিকন্তু ৪০ ডলার করে কে’টে রাখা হয় মুরগীর খামা’র সংলগ্ন একটি ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাত কা’টানোর জন্যে। মা’মলার শুনানীর সময় আইনজীবীরা আ’দালতকে অবহিত করেন যে, কর্মচারীরা ন্যায্য পারিশ্রমিক এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে রাত্রি যাপনের দাবি জানালেই হোমল্যান্ড সিকিউরিটির কাছে সোপর্দ করার হু’মকি দেয় আব্দুল ওয়াহিদ টোপন।
জামিনে মুক্তি লাভের পর গত বছরের জানুয়ারিতে আব্দুল ওয়াহিদ টোপন দোষ স্বীকার করেছেন ট্যাক্স রিটার্নে জালিয়াতি ও মিথ্যার আশ্রয় নেয়ার। এমনকি কর্মচারীদের বেতনের বিপরীতেও ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন বছরের পর বছর। কবির দোষ স্বীকার করেছেন আর্থিক সুবিধার জন্যে নিউইয়র্ক থেকে কর্মচারীদেরকে নিউজার্সিতে পাচারের জন্যে।
জানা যায়, যে দুই বাংলাদেশি কর্মচারীকে ঠকিয়েছেন তাদেরকে ৫০ হাজার ডলার করে প্রদানের জন্যে টোপন তার এস্টোরিয়াস্থ ৪৪-১৭ ২৫ এভিনিউতে অবস্থিত বাড়িটি বিক্রি করেছেন। এ চুক্তি হয় ২০১৭ সালের ৭ অক্টোবর। নিউইয়র্কে বিশেষ আ’লোচিত আব্দুল ওয়াহিদ টোপন নিজেকে সমাজকর্মী এবং কখনো কখনো দানবীর হিসেবেও পরিচিত করার চেষ্টা চালিয়েছেন। মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন নিয়ে ভোজনের আয়োজন ছাড়াও বিশিষ্টজনদের ক্রেস্ট প্রদানের ঘটনাও ঘটিয়েছেন।