cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তা লাবিব তাজওয়ার রহমান। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলভিত্তিক কোম্পানি ‘নিউবিলিটি’র সহপ্রতিষ্ঠাতা। সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় খাবার পৌঁছে দিতে দুই সহযোগী মিলে রোবট তৈরি করে তিনি তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
রোবটটি অর্ডার করা খাবার রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার সংগ্রহ করে হোম ডেলিভা’রি দেবে। ডেলিভ্যারিম্যান যা করে এবার থেকে রোবটটি তাই করবে। এ ব্যাপারে লাবিব বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, নিউবিলিটি মূলত রোবট তৈরি করে। আমাদের রোবটগুলো ডেলিভা’রি দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হবে।
যারা ভিশন-বেইজড লোকালাইজেশন ও পথ-পরিকল্পনা প্রযু’ক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় ফুড-ডেলিভা’রি রোবট তৈরি করবে। অর্থাৎ মানুষ নয়, তাদের তৈরি রোবটই সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় তার অর্ডারকৃত খাদ্য পৌঁছে দেবে। এরই মধ্যে হুন্দাই মোটরসের মতো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করেছে নিউবিলিটি।
২০১৫ সালে লাবিব দশম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় পরিচয় হয় অ্যান্ড্রু লি ও চিউংহো চো’র (নিউবিলিটি’র বাকি দুই সহপ্রতিষ্ঠাতা) সঙ্গে। তারা তিনজনই নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে অনুষ্ঠিত কনরাড অ্যাওয়ার্ডে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনজনেই ছিলেন ফাইনালিস্ট, আর এখান থেকেই তাদের বন্ধুত্বের যাত্রা শুরু হয়।
লাবিব বললেন, প্রতিযোগিতার পরেও বহুদিন পর্যন্ত আম’রা একে অ’পরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলাম। সবসময় ভাবতাম তিনজন মিলে কিছু একটা উদ্ভাবন করা যায় কিনা! শেষ পর্যন্ত আম’রা ‘নিউবিলিটি’ গড়ে তুললাম।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আম’রা গেমিংয়ে আনুষঙ্গিক বানানোর পরিকল্পনা করেছিলাম। এই আইডিয়া নিয়ে আম’রা দুয়েক বছর কাজও করেছি। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার বড় প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষ দ্বারা পণ্য ডেলিভা’রি দেওয়ার বিকল্প খুঁজছিল। সেই থেকে আম’রা ডেলিভা’রি রোবট বানানোর সিদ্ধান্তে আসি।
দক্ষিণ কোরীয়রা প্রচুর পরিমাণে ই-কমা’র্স সাইট ব্যবহার করে। তাদের এই উচ্চ চাহিদার কারণে এবং দেশের ই-কমা’র্স বাজারের ব্যাপক বিস্তৃতির কারণে পণ্য ডেলিভা’রি দেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের খুব ক’ষ্ট হচ্ছিল। এরপর তারা বিকল্প পদ্ধতি খুঁজতে থাকে।
লাবিব আরও বলেন, পরিকল্পনাটি এই মুহূর্তে শুধু সিউলের মতো নিখুঁত পরিক’ল্পিত শহরেই বাস্তবায়ন সম্ভব। এমনকি আ’মেরিকার অনেক শহরেও এর বাস্তবায়ন সম্ভব না। তবে আম’রা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাই হাতে রেখেছি। ধীরে ধীরে সিউলের বাইরে আম’রা রোবট বানানোর কাজ শুরু করব। এখন শুধু হুন্দাইয়ের মতো কোম্পানিগুলোর অভ্যন্তরীণ কাজে ব্যবহারের জন্য বানানো হচ্ছে।
লাবিব ও তার বন্ধুরা মিলে নতুন একটি সফটওয়্যার তৈরি করছেন, যাতে করে রোবটগুলো মানুষের দোরগোড়ায় খাবার পৌঁছে দিতে পারে। এই সফটওয়্যার সারা শহরের মধ্যে চিহ্নিত পথ তৈরি করবে। এসব পথ অনেকটা গুগল ম্যাপের মতো। এগুলো ব্যবহার করেই রোবটেরা গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দেবে।
এ ছাড়াও রোবটগুলোতে এমন প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হবে যে এরা রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলতে পারবে। এর বাইরেও একজন মানুষ খাবার ডেলিভা’রি দিতে গেলে সম্ভাব্য যেসব সমস্যায় পড়তে পারে, রোবটগুলোকে সেসব প্রতিকূলতা এড়িয়ে যাওয়ার মত সক্ষম করে বানানো হবে।
লাবিব বলেন, এটা খুব কঠিন একটা কাজ, আম’রা জানি। কিন্তু আমাদের পার্টনাররা সময় বেঁধে দিয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটা ধাপ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে আম’রা আরও টাকা বরাদ্দ পাবো। একটা স্টার্টআপ টিকিয়ে রাখা যেমন চ্যালেঞ্জিং, তেমনি উত্তে’জনাকরও! প্রতিটা ধাপ, প্রতিটা চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে এলে যে আনন্দ হয়; তা আমাদের আরও অনুপ্রা’ণিত করে তোলে।
লাবিবের সাফল্যের মধ্যে আরও রয়েছে, তিনি ‘ইনক্লুশনএক্স’ নামে বাংলাদেশে একটি মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড ডিজ্যাবিলিটি ইনক্লুশন সার্ভিস চালু করেছেন। এ ছাড়া লাবিব স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ফিজিক্স সোসাইটির সহসভাপতি। ‘স্ট্যানফোর্ড ডিজ্যাবিলিটি ল্যাঙ্গুয়েজ গাইড’ নামক একটি বইও লিখেছেন তিনি। তার চেয়ে বড় ব্যাপার হলো, লাবিবের লেখা এই বই এখন স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনে প্রদর্শিত রয়েছে এবং আ’মেরিকার বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বইটি তথ্যসূত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।