cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ ও সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে ইচ্ছুক এমন নারীদের যোগ্যতা পরীক্ষায় ‘সতীত্বের প্রমাণ’ দেওয়ার নিয়ম বহুবারই আলোচনায় এসেছে। সমালোচনা ও বিতর্ক থাকা সত্ত্বেও দেশটিতে নারীদের ওপর এই পরীক্ষা ১৯৬৫ সাল থেকে চলে আসছিলো। অবশেষে সেনাবাহিনীতে যোগদানে ইচ্ছুক নারীদের সতীত্ব পরীক্ষা বাতিল করেছে ইন্দোনেশিয়া।
ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনী সূত্রে আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে। তবে দেশটির পুলিশ বিভাগের বিষয়ে সেখানে কিছুেই উল্লেখ করা হয়নি। রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীতে আর এই ধরনের পরীক্ষা হবে না।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই এই পরীক্ষা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছে। যে পদ্ধতিতে চিকিৎসকরা সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পেতে ইচ্ছুক নারীদের সতীত্ব পরীক্ষা করতেন, তা কৌশলগত নিপীড়ন ও নিষ্ঠুরতা বলে আখ্যা দিয়েছিল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এমনকি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই পরীক্ষার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
উল্লেখ্য, দেশটিতে নারীদের ওপর এই পরীক্ষা ১৯৬৫ সাল থেকে চলে আসছিলো। এ ক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ অফিসারদের যুক্তি ছিল, একজন নারী যিনি সেনা হিসাবে দেশের সেবা করতে চান তাকে মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে অত্যন্ত দৃঢ় হতে হবে। তাদের দাবি, ‘কুমারীত্বই নাকি কোনও নারীর দৃঢ় মানসিকতার পরিচয়।’
তবে ১৯৯৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার মানবাধিকার কমিশন এই নিয়মকে বেআইনি ঘোষণা করে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনও এই পরীক্ষায় নিষেধাজ্ঞা দাবি করে। কিন্তু এত কিছুর পরও চুপ ছিল ইন্দোনেশিয়া প্রশাসন। এমনকি, ২০১৪ সালে ইন্দোনেশিয়া পুলিশে নিয়োগের এটি বিজ্ঞপ্তি ফের ঝড় তোলে। তাতে পরিষ্কার লেখা ছিল, যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বে অন্যান্য পরীক্ষার পাশাপাশি নারীদের ‘কুমারীত্ব’-এর প্রমাণ দেওয়া বাধ্যতামূলক। সূত্র : বিডি-প্রতিদিন