ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সার্ভা’রের ধারণক্ষমতা শেষ। পাইপলাইনে জমে আছে হাজারও পাসপোর্ট। এ সংক্রান্ত কোনো সেবাই নিতে পারছেন না মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, লেবাননসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসী শ্রমিকরা।

পাসপোর্ট নবায়ন না হওয়ায় বিদেশ যেতে পারছেন না দেশে থাকা শ্রমিকও। শিগগিরই সার্ভা’র জটিলতা দূর না হলে বিদেশের শ্রমবাজারে মা’রাত্মক প্রভাব পড়ার আশ’ঙ্কা অ’ভিবাসন বিশেষজ্ঞদের। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জানালেন, শ্রমিকদের পাসপোর্ট নিশ্চিতে অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

১১ মাস ধরে আগারগাঁওএর পাসপোর্ট অফিসে চক্কর কে’টেও নিজের পাসপোর্টের মেয়াদ নবায়ন করতে পারেননি মালয়েশিয়া প্রবাসী শ্রমিক ইলিয়াস হোসেন। তার অ’ভিযোগ যতবারই তিনি যান বলা হয় কাজ চলছে।

ইলিয়াস হোসেন বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছি। এখন পর্যন্ত আমা’র পাসপোর্ট পেন্ডিং ও আপ্রোভাল দেখাচ্ছে। তো তাদের কাছে এ পর্যন্ত কম হলেও ৫০ বার গিয়েছি। ওরা শুধু বলে প্রসেসিং হচ্ছে আবার বলে সার্ভা’রে সমস্যা।

একই অ’ভিযোগ মালয়েশিয়া, লেবানন ও মালদ্বীপে অবস্থানকারী প্রবাসী শ্রমিকদের। পাসপোর্ট নবায়ন করতে না পারায় মালয়েশিয়ায় অনিবন্ধিত হাজারো শ্রমিক দেশটিতে চলমান বৈধকরণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারছেন না।

মালয়েশিয়া প্রবাসীরা বলেন, না পারছি বাইরে যাইতে, না পারছি কোথাও কাজ করতে। মালয়েশিয়ায় হাজার হাজার প্রবাসীরা আম’রা পাসপোর্টের কারণে অ’বৈধ হয়ে পড়ছি।

প্রবাসী শ্রমিকদের পাসপোর্ট সেবা না পাওয়া কারণ হিসেবে মালয়েশিয়া, লেবানন ও মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশন আলাদা চিঠি ইস্যু করে জানায়, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সার্ভা’রের ধারণক্ষমতা শেষ হওয়াতেই এমন অবস্থা।

সার্ভা’রের সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সেখানকার প্রবাসী শ্রমিকদের দেওয়া যাবে না কোন সেবা। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক স্বীকার করে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মক’র্তারা বলছেন, সার্ভা’রের এ সমস্যা সমাধান করতে পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে চিঠি দিয়েছেন তারা।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সঙ্গে আম’রা মৌখিকভাবে ও লিখিতভাবে যোগাযোগ করেছি। আবারও আম’রা যোগাযোগ করব। আম’রা বলব, আমাদের যেসব কর্মী দেশে ও দেশের বাইরে আছে তারা যেন কোনো সমস্যায় না পড়ে।

জটিলতা শিগগিরই সমাধান না হলে বিদেশে শ্রমবাজারে মা’রাত্মক প্রভাব পড়ার শ’ঙ্কা অ’ভিবাসন বিশেষজ্ঞদের।

ব্র্যাকের হেড অব মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম শরিফুল ইস’লাম হাসান বলেন, এই যে পাসপোর্ট না পাওয়ার কারণে যে সংকটে ভুগতে হচ্ছে এর দায়টা আসলে কে নেবে? কী’ কারণে এ সংকটটা হলো।

বিষয়টি নিয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, সংস্থাটির প্রধান কর্মক’র্তার কার্যালয় থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল