সর্বশেষ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

ব্যারিস্টার সুমনকে যুবলীগ থেকে অব্যাহতি

ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় আইন সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’ নিয়ে কটাক্ষ করায় ও সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”

এর আগে, বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা’কে কটাক্ষ করে ফেসবুক লাইভে আসায় ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয় যুবলীগ। একইসঙ্গে সুমনের ফেসবুক লাইভের বক্তব্য খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যুবলীগকে নিদের্শনা দেয় আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। পরে বিষয়টি যুবলীগের ‘টাইব্যুনালে’ পর্যালোচনা করা হয়। এরপরই ব্যারিস্টার সুমনকে অব্যাহতির ঘোষণা এলো।

গত শুক্রবার সুমন ‘জয় বাংলা’ নিয়ে কটাক্ষ করলে সংগঠনের একাধিক নেতা জানিয়েছিলেন, ‘সংগঠনের কেউ অপরাধ করলে যুবলীগের টাইব্যুনালে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হয়।’ তখন ব্যারিস্টার সুমনকে বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো হবে জানিয়ে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান। এই স্লোগানের মাধ্যমেই বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা এনেছিল। জয় বাংলা স্লোগানকে কটাক্ষ করায় আমরা সংগঠনের আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেবো।
সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেনের সমালোচনা করতে গিয়ে আলোচিত-সমালোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন গত শুক্রবার নিজ ফেসবুক থেকে লাইভে আসেন। এসময় সুমন বলেন, ‘আপনারা জানেন যে গতকালকে (৫ আগস্ট) শেখ কামাল সাহেবের জন্মদিনে শরীয়তপুরের পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আক্তার হোসেনের আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগান দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এই জিনিসটা দেখার পর আমার কাছে মনে হয়েছে দু-একটা কথা বলা দরকার।’

সুমন বলেন, ‘আপনারা একটা জিনিস খেয়াল করে দেখেন যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্লোগান দেয়ার মানুষ কী এতই কম যে একজন ওসি সাহেবের এই স্লোগান দিতে হবে।’ যুবলীগের দায়িত্বে থাকা আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমনের এই লাইভ ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

অনেকেই এর প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ব্যাকগ্রাউ- না দেখে দলীয় নেতা বানালে যা হয়, সুমনের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। যুবলীগের মতো ঐতিহ্যবাহী একটি সংগঠনের আইন সম্পাদক হলেও দলের পক্ষে কোনদিন তাকে অবস্থান নিতে দেখা যায়নি। বরং বার বার আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন সরকার বিরোধী ফেসবুক লাইভে এসে।

তখন ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে কটাক্ষ করায় ফেসবুকে সুপর্না ফারজানা লিখেন, ‘আপনার অবস্থান পরিষ্কার করুন। জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে আপনার সমস্যা কেন?’ মাহমুদুল হক সৈকত নামের আরেকজন লিখেন, ‘আপনি আওয়ামী লীগের কোনো সংগঠনে থাকার অধিকার রাখেন না। আপনি দলে এসে, পদ নিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন।’

রনি কান্তি দে নামে একজন এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেন, ‘ব্যারিস্টার সুমন সাহেবের কোন রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড নেই।’ ইকবাল মোল্লা নামের আরেকজন লিখেন, ‘সুমন সাহেব আওয়ামী যুবলীগ করেন? কোনদিন তো একটা দলীয় পোস্ট করতে দেখলাম না। আপনাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হোক।’

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১০ মার্চ বিচারপতি নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান স্বীকৃতি দেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: