cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির থেকে রোহিঙ্গাদের পলায়ন ঠেকানো যাচ্ছে না। এভাবে পালাতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ধরা পড়ছে রোহিঙ্গারা।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে ৬৪ জন ও আগের দিন বুধবার (০৪ আগস্ট) ৩৩ জনসহ দুই দিনে ৯৭ জন রোহিঙ্গা রামু উপজেলা প্রশাসনের হাতে ধরা পড়েছে। এরমধ্যে ইয়াবা পাওয়ায় একজনকে কারাগারে পাঠায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইভাবে গত একমাসে ৪৩৪ জন রোহিঙ্গাকে আটকের পর রোহিঙ্গা শিবিরে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
রামু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রণয় চাকমা বলেন, ক্যাম্প ছেড়ে পালানোর সময় প্রায় প্রতিদিন রোহিঙ্গা ধরা পড়ছে। এভাবে গত ৪ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩০ দিনে ৪৩৪ জন রোহিঙ্গা ধরা পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার যারা ধরা পড়েছে এদের মধ্যে মো. আমিন (৩৮) নামে এক যুবকের কাছে তিন পিস পাওয়ায় তাকে তিন মাসের জেল দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার কাছে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয় পত্রও পাওয়া গেছে।
কঠোর ‘লকডাউন’ বাস্তবায়নে রামু উপজেলার বেশকিছু পয়েন্টে বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ওই চেক পোস্টগুলোতেই প্রায় প্রতিদিনই রোহিঙ্গারা ধরা পড়ছে। যারা ধরা পড়ছে সবাই উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের রোহিঙ্গা।
রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে চলে আসার বিষয়টি স্থানীয়দের জন্য খুবই উদ্বেগজনক জানিয়ে প্রণয় চাকমা বলেন, মূলত কাজের সন্ধানে এসব রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের বাইরে চলে আসছে বলা হলেও নানা অজুহাতে কিন্তু তারা দেশের বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। এটা স্থানীয়দের জন্য হুমকি।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রামু শাখার সভাপতি মাস্টার মো. আলম বলেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বা তাদের ম্যানেজ করে রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের বাইরে চলে আসছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, এরা আমাদের জন্য বিরাট হুমকি।
এসব রোহিঙ্গারাই নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের বাইরে আসা রোধ করা না গেলে ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও হুমকির মুখে পড়বে।
কক্সাবজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ্ রেজওয়ান হায়াত বলেন, ক্যাম্পগুলোতে এপিবিএন নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। শিবিরগুলোতে একাধিক নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকার পরও কিভাবে তারা বের হচ্ছেন সেটা বুঝতে পারছি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের আগে পরে প্রায় সাড়ে আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এছাড়া নতুন পুরনো মিলে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি শিবিরের ঘিঞ্জি পরিবেশে ঝুঁপড়ি ঘরে এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে বসবাস করছে।
সূত্র : বাংলানিউজ