cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সোমবার (০২ আগস্ট) দুপুরে গঙ্গাচড়া মডেল থা’নায় গিয়ে দেখা হয় এসআই আব্দুস সালামের সঙ্গে। সেখানে ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপচারিতায় চিকিৎসক মে’য়ের সাফল্যের গল্প শোনান তিনি। এ সময় তার অশ্রুসিক্ত নয়নে ছিল অন্যরকম উচ্ছ্বাস। মে’য়ের সাফল্যে নিজে গর্বিত হলেও এর কৃতিত্ব তার স্ত্রী’ মনোয়ারা বেগমের বলে দাবি আব্দুস সালামের।
জানা গেছে, আব্দুস সালাম তিন সন্তানের জনক। তার তিন সন্তানই মে’য়ে। তবে ছে’লে সন্তানের অভাববোধ নেই পরিবারে। বড় মে’য়ে শাহনাজ পারভীন রংপুর মেডিকেল কলেজের ৪৩তম ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। সেশন ২০১৩-২০১৪। ইন্টার্ন শেষ করে সম্প্রতি ক্যাপ্টেন পদে চাকরি পেয়েছেন বাংলাদেশ সে’নাবাহিনীতে। মেজো মে’য়ে উম্মে সালমা একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি পড়ছেন তৃতীয় বর্ষে। সবার ছোট স্মৃ’তিমনি মীম এসএসসি পরীক্ষার্থী।
নিভৃত গ্রামের স্কুল থেকে উঠে আসা শাহনাজ পারভীন ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন। ফুলবাড়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর ভর্তি হন সেখানকার ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজে। ২০১২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়ও কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন। পরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৩-১৪ সেশনে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান শাহনাজ পারভীন।
আব্দুস সালাম ঢাকা পোস্ট’কে বলেন, বড় মে’য়ে শাহনাজ পারভীন ইন্টার্ন শেষ করে সে’নাবাহিনীতে ক্যাপ্টেন পদে চাকরি পেয়েছে। ছোট থেকেই সে পড়ালেখায় খুবই মনোযোগী ছিল। বেশিক্ষণ বইখাতা নিয়ে পড়ে থাকত না। যা পড়ত-দেখত খুব সহ’জেই তাই মুখস্ত হয়ে যেত। সারাদিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টা পড়ালেখা করত। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা বা অহেতুক ঘোরাফেরা ছিল না। সারাদিন নিজেকে কী’ভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে সেই চিন্তাটা ওর (শাহনাজের) মা’থায় ঘুরঘুর করত।
তিনি আরও বলেন, আমা’র সন্তানদের আমি সব সময় সাহস দিয়ে আসছি। ওদেরকে মনোবল বাড়ানোর জন্য উৎসাহিত করি। কোনো কাজ ও বিষয়কে কঠিন করে ভাবতে দেইনি। সকল পরিস্থিতিতে ধৈর্য, চেষ্টা ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হওয়ার পরাম’র্শ দিয়েছি। মা-বাবাই সন্তানের ভালো চায় সেটা সন্তান নিজে বাবা-মা হলে না বুঝতে পারবে না। কিন্তু মা-বাবার স্বপ্ন ও চেষ্টাটা তারা যদি উপলব্ধি করতে পারে, তাহলে প্রত্যেক মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ সম্ভব। আমি আমা’র বড় মে’য়ের মতো বাকি দুই মে’য়েকেও চিকিৎসক বানাতে চাই। তবে সব কিছুর কৃতিত্ব শাহনাজের মায়ের। সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকাও রয়েছে।
পু’লিশে চাকরির কারণে অনেক জে’লায় ঘুরেছেন আব্দুস সালাম। কখনো পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে। আবার কখনো একা। সন্তানদের প্রতি দায়িত্ববোধ কাজ করলেও তাদের জন্য আলাদা সময় হয়নি তার। এই ক’ষ্টটা এখনো তাঁকে তাড়া করে। তিন সন্তানকে দেখভাল ও পড়ালেখায় মনোযোগী করতে তাদের মা মনোয়ারা বেগমের ভূমিকা ছিল মুখ্য। স্বল্প শিক্ষিত হলেও মনোয়ারা সন্তানদের আদর্শবান মানুষ গড়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন। এ কারণে সংসার সামলানোর যু’দ্ধে সন্তানদেরও সমান তা’লে সামাল দিচ্ছেন।
আব্দুস সালাম ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ পু’লিশের গর্বিত সদস্য হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরির সুবাদে রাঙামাটি, খুলনা মেট্রো, ঢাকা মেট্রো, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও রংপুরে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে আড়াই বছর ধরে তিনি রংপুরে রয়েছেন।
বাবা-মে’য়ের সালাম বিনিময়ের ভাই’রাল ছবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আব্দুস সালামের স্ত্রী’ মনোয়ারা বেগম ঢাকা পোস্ট’কে বলেন, কিছু অনুভূতি মুখে প্রকাশ করার মতো না। আমা’র ভেতরে যে কি পরিমাণ আনন্দ বিরাজ করছে তা বোঝাতে পারব না। শুধু বলব আমা’র মে’য়েদের জন্য দোয়া করবেন।
তিনি বলেন, আমি নিজে বেশি দূর পড়ালেখা করতে পারিনি। কিন্তু সন্তানদের উচ্চশিক্ষিত করতে চাই। সব মা-বাবাকে অনুরোধ করব ছে’লে-মে’য়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেবেন না। সন্তানদের আশীর্বাদ ও উপহার দিতে চাইলে তাদের পড়ালেখার সুযোগ করে দিন।
এদিকে সহকর্মীর সন্তানের সে’নাবাহিনীতে উচ্চ পদে চাকরিপ্রাপ্তির সংবাদে আনন্দিত পু’লিশ সদস্যরাও। এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া মডেল থা’না পু’লিশের ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) সুশান্ত কুমা’র সরকার ঢাকা পোস্ট’কে বলেন, আম’রা সবাই আনন্দিত। সন্তানকে নিজের চেয়ে উচ্চ পদে চাকরিতে দেখতে পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করা খুবই ক’ষ্টের। এমন অর্জন সব বাবার জন্যই গর্বের। আমাদের সকলের উচিত সন্তানের প্রতি সময়োপযোগী আচরণ করা। বন্ধু সুলভ আচরণ বেশি প্রয়োজন। যেটা এসআই আব্দুস সালামের পরিবারে রয়েছে।
ফেসবুকে বাবা ও মে’য়ের ছবি ভাই’রাল প্রসঙ্গে রংপুর জে’লার পু’লিশ সুপার (এসপি) বিপ্লব কুমা’র সরকার ঢাকা পোস্ট’কে বলেন, বাবা এসআই আর মে’য়ে ক্যাপ্টেন। এটা বাবার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। সন্তানের কাছে ধৈর্য, ক’ষ্ট, সহিষ্ণু ও নৈতিক আদর্শের প্রতীক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারলেই কেবল এ ধরণের অসাধারণ মুহূর্তের উদ্ভব হয়। বাবা-মে’য়েকে আন্তরিক অ’ভিনন্দন। সৌজন্যঃ ঢাকাপোস্ট