cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
কোরবানির গরু কিনতে যাওয়ার পথে যশোরে সড়ক দুর্ঘ’টনায় নি’হতদের একজন চট্টগ্রামের রাসাম চৌধুরী সাদমান। রবিবার (২৭ জুন) দুপুরে যশোর সদর উপজে’লায় সড়ক দুর্ঘ’টনায় মা’রা যান সাদমানসহ চার জন। তবে দুর্ঘ’টনায় নি’হত সাদমান ও গুরুতর আ’হত তার ফুফাতো ভাই সাহাব উদ্দিনের সঙ্গে থাকা গরু কেনার ৩৫ লাখ টাকার হদিস মেলেনি বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
সাদমানের বড় চাচা রফিক চৌধুরী বলেন, কোরবানির গরু কেনার জন্য তারা ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে গিয়েছিল। দুর্ঘ’টনার পর ওই টাকার কোনও হদিস মেলেনি। পু’লিশ বলেছে তারা ঘটনাস্থলে একটি মোবাইলফোন ছাড়া আর কোনও কিছু পায়নি। ঘটনার পর স্থানীয়রা হতাহতদের উ’দ্ধার করে, এরপর পু’লিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তারা।
এদিকে সোমবার (২৮ জুন) দুপুরে দিকে মিরসরাই পৌঁছেছে সাদমানের লা’শ। বাদ মাগরিব জানাজার পর স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
সাদমানের বাবা ইকবাল চৌধুরী বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে রাত ২টায় সাদমানের ম’রদেহ নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। মিরসরাই পৌঁছেছি। বাদ মাগরিব স্থানীয় জামে ম’সজিদ মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
তবে বড়ভাইয়ের অকাল মৃ’ত্যু কোনোভাবে মেনে নিতে পারছেন না ছোটভাই আহনাফ।বাকরুদ্ধ আহনাফ বার বার একটা কথাই বলছেন, ‘ভাই তুই কেন চলে গেলি। ভাই তুই কেন চলে গেলি।’
বড়ভাই সাদমান সর্ম্পকে জানতে চাইলে আহনাফ বলেন, ‘সাধারণত পরিবারে দুই ভাই থাকলে অনেক সময় পারিবারিক কাজ ভাগাভাগি করে করা হয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে এটি কখনও ছিল না। সবকাজ সে একা করতো। পরিবারের কোনও চাপ সে আমাকে বুঝতে দেয়নি। এমনও হতো, সকাল ৮টায় আমা’র একটা কাজ করার কথা ছিল, কিন্তু আমি ঘুম থেকে দেরিতে উঠেছি। দুপুর ১২টায় ঘুম থেকে উঠে দেখি কাজটি সে করে ফেলেছে। ছোট ভাই হিসেবে সে সব সময় আমাকে যথেষ্ট আদর-স্নেহ করতো। আমা’র ক্যারিয়ার নিয়েও সে খুব চিহ্নিত ছিল।’
অ’পর এক প্রশ্নের জবাবে আহনাফ বলেন, আমা’র ফুফাতো ভাই সাহাব উদ্দিনের সঙ্গে গরু কিনতে সাতক্ষীরা যাচ্ছিলো বড়ভাই। দুপুর ১২টার দিকে যশোর সদর এলাকায় তাদের বহনকারী প্রাইভেট’কারটি দুর্ঘ’টনার শিকার হয়। এতে ঘটনাস্থলে আমা’র ভাইসহ চার জন মা’রা যান। ঘটনার পরপরই একজন মোবাইলফোনে কল করে আমাদের সড়ক দুর্ঘ’টনার বিষয়টি জানান। পরে আম’রা কল করে খবর নিয়ে মৃ’ত্যু নিশ্চিত হই।
তিন ভাই-বোনের মধ্যে সাদমান সবার বড় ছিলেন। তার ছোট ভাই ইসমাম চৌধুরী আহনাফ নগরীর প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পড়ছেন। সবার ছোট বোন, সেও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। সাদমান ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুল থেকে এসএসসি, পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি এবং প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং এলএলএম পাশ করেন। ২০১৮ সাল থেকে শিক্ষানবিস আইনজীবী হিসেবে চট্টগ্রাম আ’দালতে কাজ করছেন।
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সাদমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আত্মীয় স্বজন, এলাকাবাসী জড়ো হয়েছেন। সাদমানের ম’রদেহের অ’পেক্ষায় ঘরের সামনে রাখা চেয়ারে বসে তারা সাদমানের স্মৃ’তি রোমন্থন করছেন। সাদমানের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে একে অ’পরের সঙ্গে কথা বলছেন বড় আব্বু রফিক চৌধুরী, প্রতিবেশী চাচা হাজী আনোয়ার হোসেন, মেহেদি হাসান। তাদের আলোচনার ইস্যুও সাদমান।
ঘরের সামনের ভিড় ঠেলে বাসায় ঢুকতে শোনা যায় সাদমানের মায়ের আহাজারি। সন্তান হারা এই মা, কিছুক্ষণ পর পর ডুকরে কেঁদে উঠেন। প্রতিবেশী মহিলারা এলেই তাদের জড়িয়ে ছে’লের শোকে হাউ মাউ করে কাঁদছিলেন তিনি। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন