cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সমুদ্র পথে ইউরোপে প্রবেশের অ’পেক্ষায় হাজার হাজার বাংলাদেশি এখন লিবিয়ায়। দেশটির বিস্তীর্ণ ম’রুভূমির অর্ধশতাধিক ক্যাম্পে স্থানীয় দালালদের জিম্মায় তারা অবস্থান করছেন। চলতি বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক পাচারচক্র মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের অ’ভিবাসন প্রত্যাশীদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের লিবিয়ার বিভিন্ন উপকূলে জড়ো করে। ওই বাংলাদেশিদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে এপ্রিল এবং মে মাসে ইউরোপগামী নৌকায় তোলা হয়। এমনটাই জানিয়েছে ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস।
দূতাবাসের বরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মক’র্তারা গতকাল বলেন, এখন লিবিয়া-তিউনেশিয়া রুটে ইউরোপে লোক পাঠানোর পিক সিজন চলছে। ইউরোপযাত্রাকালে লিবিয়ান কোস্টগার্ড এবং অন্য বর্ডার এজেন্সির হাতে এক মাসে পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশি আ’ট’ক হয়েছেন। এখনো ক্যাম্পগুলোতে হাজারো বাংলাদেশি রয়েছেন বলে রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক অ’ভিবাসন সংস্থা আইওএম’র সহায়তায় উ’দ্ধারকৃতদের লিবিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শি’বিরে রাখা হয়েছে। লিবিয়া উপকূল থেকে এত বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি উ’দ্ধারের ঘটনা সম্ভবত এটাই প্রথম- এমন মন্তব্য করে ঢাকার এক কর্মক’র্তা বলেন, উ’দ্ধারকৃত বাংলাদেশিদের ফেরত নিয়ে আসা এবং অর্ধশতাধিক ক্যাম্পে দালালচক্রের হাতে জি’ম্মি হাজারো বাংলাদেশি অ’ভিবাসন প্রত্যাশীকে ভ’য়াল সমুদ্র যাত্রা থেকে ফেরানোর টার্গেটে কাজ করছে ত্রিপোলিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। এর মধ্যে প্রথম ধাপে উ’দ্ধার হওয়া ৮০ জনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। তাদের নাগরিকত্ব যাচাই এবং অন্যান্য কার্যক্রম শেষে দ্রুতই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র এক টুইট বার্তার বরাতে জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলেসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সাগর পথে অ’বৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টাকালে এক হাজারের বেশি অ’ভিবাসন প্রত্যাশীকে আ’ট’ক করে লিবিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। মোট ৫টি অ’ভিযান পরিচালনা করে তাদের সমুদ্র থেকে আ’ট’ক এবং উ’দ্ধার করে লিবিয়ায় পাঠানো হয়। জাউইয়া উপকূলে ২টি এবং ত্রিপোলি উপকূলে ৩টি অ’পারেশনের মাধ্যমে রেকর্ডসংখ্যক (হাজারেরও বেশি) অ’ভিবাসন প্রত্যাশীর উ’দ্ধার হওয়ার কথা রোববার টুইটবার্তায় জানায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা। তাদের বিবৃতি মতে, উ’দ্ধারকৃতদের ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানোর আগে ইউএনএইচসিআর এবং রেডক্রস খাবার, নিরাপদ পানি এবং চিকিৎসা প্রদান করেছে। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা, আইওএম এবং রেডক্রসের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে- গত পাঁচ মাসে (২০২১ সালের) ১০ হাজার ১শ’ ৫৪ অ’বৈধ অ’ভিবাসন প্রত্যাশীকে ইউরোপ যাওয়াকালে আ’ট’ক করেছে লিবিয়ান কোস্টগার্ড। ১৭৩ জন মা’রা গেছেন। প্রায় ৪শ’ ৫৯ জন এখনো নি’খোঁজ রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তাদের বেশির ভাগেরই সলিল সমাধি ঘটেছে। আন্তর্জাতিক অ’ভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর তথ্য মতে, চলতি বছরে মানব পাচারচক্রের কবল থেকে লিবিয়ায় উ’দ্ধার হওয়া ১৬০ জন বাংলাদেশিকে মে মাসে আইওএম’র সহায়তায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
২০১৫ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত সংস্থাটির সহায়তায় উ’দ্ধার এবং দেশে ফেরানো বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। লিবিয়া রুটে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের তৎপরতা এবং অ’ভিবাসন প্রত্যাশীদের উ’দ্ধার বিষয়ক ডয়েচে ভেলের ১৩ই জুনের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে- বিস্তীর্ণ সাব-সাহারা পাচার রুট ব্যবহার করে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকালে মা’রা যাওয়া কিংবা নি’হতের ঘটনা এতই বেড়েছে যে, তিউনিশিয়া উপকূলের কাছে রীতিমতো একটি সমাধি ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হয়েছে। এদিকে লিবিয়া এবং তিউনিশিয়া উপকূল দিয়ে ইতালি এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মানবপাচার, চো’রাচালান, স’ন্ত্রাসী কর্মকা’ণ্ডের মতো গুরুতর অ’প’রাধ সংঘটনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২৭ রাষ্ট্রের ওই জোট লিবিয়ার চারদিকের বিভিন্ন সীমান্ত সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর সদস্যদের নিরাপত্তা সহায়তা এবং উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বর্ডার এসিস্ট্যান্স মিশন ইন লিবিয়ার মাধ্যমে ওই সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওদিকে এএফপি’র একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার আশা ছাড়াও যু’দ্ধ বিগ্রহ কিংবা বিভিন্ন দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসনের কারণে সাগর পথে ভ’য়াল ইউরোপ যাত্রার প্রবণতা মা’রাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।