cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
মৌলভীবাজার জে’লা শহর ও কমলগঞ্জ উপজে’লায় সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার পক্ষে-বিপক্ষে রীতিমতো যু’দ্ধ চলছে। মেডিকেল কলেজ প্রসঙ্গে উত্তাল মৌলভীবাজার। রোববার সম্পূরক বাজেটের উপর আলোচনায় নিজ সংসদীয় এলাকায় একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবি জানিয়ে সংসদে বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক চিফ হুইপ ও জে’লা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ। তার এই বক্তব্য জে’লাজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বক্তব্যটি গত দু’দিন থেকে ‘ট’ক অব দ্য জে’লায়’- পরিণত হয়েছে। এনিয়ে সরগরম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তার ওই বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং জে’লা মেডিকেল কলেজ স্থাপনে প্রতিবন্ধকতার নামান্তর। মেডিকেল কলেজের দাবিতে আ’ন্দোলনকারী ও জে’লার সচেতন নাগরিকরা এমনটিই মন্তব্য করছেন।
তারা বলছেন, আগে থেকেই মেডিকেল কলেজের দাবিতে চলমান আ’ন্দোলনের পক্ষে তিনি নিজেই স্বাক্ষর দিয়েছেন। এমনকি তিনি দেশ ও প্রবাসে (যু’ক্তরাজ্যে) জে’লা শহরে মেডিকেল কলেজের দাবিতে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন। এই দাবি বাস্তবায়নের শান্তিপূর্ণ আ’ন্দোলনের পক্ষে একাত্মতাও জানিয়েছেন। হঠাৎ করে সংসদে তার এই দাবিতে জে’লাবাসী বিস্মিত। জানা গেছে, ২০১৭ সাল থেকেই চলছে মৌলভীবাজার জে’লা শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবিতে আ’ন্দোলন। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত করার দাবিতে দেশ ও প্রবাসে সভা, সেমিনার, গোলটেবিল আলোচনা, স্মা’রকলিপি প্রদান, জে’লাব্যাপী গণস্বাক্ষর, মানববন্ধন, অনশন ও হরতাল কর্মসূচি পালনসহ নানা আ’ন্দোলনে সোচ্চার স্থানীয় সামাজিক সংগঠনগুলো। মেডিকেল কলেজ দাবির আ’ন্দোলনে সক্রিয় থাকা মৌলভীবাজারে মেডিকেল কলেজ চাই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, সম্মিলিত সামাজিক উন্নয়ন পরিষদ ও সচেতন নাগরিক ফোরাম (সনাফ) এর নেতৃবৃন্দ জানান জে’লার ৪ এমপি,
প্রয়াত জে’লা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্ম’দ নাসিম ও অন্যান্য মন্ত্রী এই দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করে আশ্বস্ত করেছেন। চিফহুইপ আ স ম ফিরোজ এর মাধ্যমে তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মা’রকলিপিও দিয়েছেন এবং প্রয়াত জে’লা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আজিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে জে’লাবাসীর এই গুরুত্বপূর্ণ দাবি স’ম্পর্কে অবগত করেছেন। তারা সকলেই আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণানুযায়ী জে’লা সদরে মেডিকেল কলেজ স্থাপন হবে। তিনজন সংসদ সদস্য (সৈয়দা সায়েরা মহসীন,
নেছার আহম’দ ও জোহরা আলাউদ্দিন) জে’লা সদরের ২৫০ শয্যা হাসপাতালকে মেডিকেল কলেজে রূপান্তরিত করার দাবি জাতীয় সংসদে উত্থাপনও করেছেন। সেই আলোকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসা’পাতাল পরিদর্শন করে তারা পজিটিভ রিপোর্ট দিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ জানান, কোভিড-১৯ এর কারণে তাদের সক্রিয় আ’ন্দোলন কর্মসূচি কিছুটা স্থবির হলেও তারা লিখিত ও মৌখিকভাবে নানা স্থানে উচ্চ পর্যায়ে ধরনা দিচ্ছেন। তারা বলেন, কি কারণে জাতীয় সংসদ সদস্য হঠাৎ এমন র’হস্যজনক বক্তব্য দিলেন তা বোধগম্য নয়।
জাতীয় সংসদের ওই বক্তব্যে উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ এমপি তার নির্বাচনী এলাকায় নানা উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন- সন্তোসজনক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, তার নির্বাচনী এলাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৩শ’ ৫৮ একর জমি আছে। তাই সেখানে একটি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ব্যাপারে তিনি বলেন, সেখানে মেডিকেল কলেজ স্থাপন করলে জায়গা অধিগ্রহণ কিংবা ক্রয় করার প্রয়োজন পড়বে না। এই বক্তব্যের পর তার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা উৎফুল্ল হয়ে তাকে অ’ভিনন্দন জানান। অ’পরদিকে ওই বক্তব্যে হতভম্ব হয়ে ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেন মেডিকেল কলেজের দাবিতে আ’ন্দোলনরত জে’লার সর্বস্তরের নাগরিকবৃন্দ।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জের কয়েকজন সচেতন নাগরিক তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমপিকে অ’ভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, তার এমন বক্তব্য ও দাবি যৌক্তিক। তিনি তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পেশাদারিত্ব পালন করছেন। তারা প্রশ্ন রেখে বলেন, এখানে ক্ষোভের কি আছে। কমলগঞ্জ কি জে’লার বাহিরে।
এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক ফোরাম (সনাফ) এর সভাপতি আলহাজ মোয়জ্জেম হোসেন মাতুক, সম্মিলিত সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি খালেদ চৌধুরী ও সহ-সভাপতি এম. মুহিবুর রহমান মুহিব বলেন, জে’লার প্রায় ২৫ লাখ মানুষের প্রা’ণের দাবি মেডিকেল কলেজের। সেই দাবিতে নানা আ’ন্দোলনও চলমান। এখানে বিভাজন সৃষ্টি করে বঞ্চিত হওয়া ছাড়া প্রাপ্তিতে আর কিছুই মিলবে না।
মৌলভীবাজারে মেডিকেল কলেজ চাই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের এডমিন বিশিষ্ট কমিউনিটি লিডার মকিছ মনছুর ও ড. ওয়ালী তছর উদ্দিন তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন- এমন বিভাজনমূলক বক্তব্য ও দাবি কখনই কা’ম্য নয়। এমপি আব্দুস শহীদ ২০১৮ সালে মৌলভীবাজারের রেস্ট ইন হোটেলে ও যু’ক্তরাজ্যের লন্ডন সুরমা সেন্টারে মৌলভীবাজার মেডিকেল কলেজের দাবিতে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখার পর কেন হঠাৎ এমন দাবি। তারা এক দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। সূত্র: মানবজমিন