cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
গত মৌসুমে সিডনি ক্রিকেট ক্লাব মাতিয়ে এবার ব্যাংকসটাউন স্পোর্টস উইমেন্স ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলেছেন বাংলাদেশের জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা। এই ক্লাবে সুমনার সঙ্গী অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। তবে তাদের ছাপিয়ে ব্যাংকসটাউনকে তৃতীয় স্থানে নিয়ে যেতে ব্যাট ও বল হাতে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশি স্পিনিং অলরাউন্ডার। তারই পুরস্কার হিসেবে ক্লাবের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন সুমনা।
ব্যাংকসটাউন স্পোর্টস উইমেন্স ক্রিকেট ক্লাব সিডনির অন্যতম শক্তিশালী দল। ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রথম গ্রেডের প্রিমিয়ার লিগে টানা ৬ মৌসুম নজিরবিহীন সাফল্য পায় দলটি। তবে গত কয়েক বছর ধরে সেই সাফল্যে ভাটা পড়ে। চলতি মৌসুমে শিরোপার স্বপ্ন থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিন নম্বর থেকেই লিগ শেষ করে তারা। এই ক্লাবের হয়ে খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার নারী দলের ৭ ক্রিকেটার- থেরেসে ম্যাকগ্রেগর, মিচেল গোসকো, অলিভিয়া ম্যাগনো, শ্যারন মিলান্টা, অ্যাশলেই গার্ডনার, সারা অ্যালি এবং এরিন বার্নস।
সেই ক্লাবেই ব্যাট-বলে আলো ছড়িয়ে ব্যাংকসটাউন স্পোর্টস উইমেন্স ক্রিকেট ক্লাবের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন সুমনা। এবারের লিগে ১২ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার তিনি। আর ব্যাটিংয়েও দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৯৬ রান করেছেন এই অলরাউন্ডার। আর তাতেই ক্লাবের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতে নেন সুমনা।
১৪ ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে দুটি ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয়। সুমনা ১২ ম্যাচে নেন ২০ উইকেট। যার মধ্যে গর্ডনের বিপক্ষে ৮.৩ ওভারে ২০ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ওটাই সুমনার চলতি মৌসুমের সেরা সাফল্য।
পুরো মৌসুমে দলের সাফল্যে অংশীদার হতে পেরে দারুণ খুশি সুমনা। অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ‘এটা আমার ক্যারিয়ারের অনেক বড় অর্জন। ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত সেরা অর্জন। আমি এই বছরই এই ক্লাবে যোগ দিয়েছি। আবার এই বছরই আমি এই ক্লাবের প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার হতে পেরেছি। এটা আসলে খুব ভালো লাগার বিষয়। ওখানে অস্ট্রেলিয়ার তিন-চারজন মেয়ে ছিল, যারা নিয়মিত খেলেছে। এদের মাঝে আমি বর্ষসেরা হবো, কল্পনাও করিনি। তাদের টপকে এমন প্রাপ্তি আমার জন্য বিশাল অর্জনের।’
সুমনা আরও যোগ করলেন, ‘শুধু এই পুরস্কার নয়, মৌসুমের সেরা বোলিংয়ের পুরস্কারটিও আমি পেয়েছি। সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ, দারুণ সফল একটি মৌসুম শেষ করলাম।’
আগের মৌসুমের ব্যর্থতা সঙ্গী করে ব্যাংকসটাউন এই মৌসুম শুরু করেছিল। বাংলাদেশি সুমনার অলরাউন্ডস পারফরম্যান্সে মৌসুম শেষে তাদের অবস্থান তিন নম্বরে। তবে সেমিফাইনালে বৃষ্টি না হলে শিরোপা জয়ের স্বাদটা হয়তো পেতো সুমনার দল। এটাই এখন সুমনার আক্ষেপ, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমরা ফাইনাল খেলতে পারিনি। সেমিফাইনাল সিডনি ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। যে কারণে ফাইনাল খেলার সম্ভাবনাটা শেষ হয়ে যায়। আমরা যেভাবে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলাম, তাতে করে অন্তত শিরোপা জেতা না হলেও ফাইনাল খেলার সুযোগ ছিল। সেই জায়গা থেকে আমি কিছুটা হতাশ। এটা বাদ দিলে এই বছরটা সত্যিই মনে রাখার মতো কেটেছে।’
অবশ্য সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়লেও ক্লাবটির ম্যানেজমেন্ট দারুণ সন্তুষ্ট ক্রিকেটারদের প্রতি। তেমনটাই জানালেন সুমনা, ‘অন্য দলগুলো ও কোচরা আমাদের দলটা দারুণ বলেছে। আমাদের দলে বেশিরভাগই নবীন ক্রিকেটার। গত মৌসুমে আমি আসার আগে আমাদের দলটির অবস্থান ছিল দশের মধ্যে সাত নম্বরে। সেখান থেকে সেমিফাইনাল খেলাও কম কৃতিত্বের নয়। ক্লাবের সবাই, ক্লাবের অফিসিয়াল অনেক খুশি।’
২০১৬ সালের আগস্টে আয়ারল্যান্ড সফরে প্রথমবার বাংলাদেশ জাতীয় দলে সুযোগ হয় সুমনার। তবে অভিষেকের জন্য অপেক্ষা করতে প্রায় দুই বছর। ২০১৮ সালের মার্চে ২০ বছর বয়সী অলরাউন্ডার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পচেফস্ট্রুমে। ওই সফরে দুটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলেই থেমে যায় সুমনার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার! স্পিনিং অলরাউন্ডার হলেও তিন ম্যাচের কোনোটিতেই বল হাতে দেখা যায়নি তাকে।
দেশের জার্সি আবার গায়ে জড়িয়ে মাঠ মাতানোর স্বপ্ন বুকে লালন করে ২০১৯ সাল থেকে সুমনা অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। গত মৌসুম কেটেছিল সিডনি ক্রিকেট ক্লাবে। সেখানে তিনি প্রমাণ দিয়েছেন, তার ছোঁয়াতেই ক্লাবটি শিরোপা খরা কাটিয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলস প্রিমিয়ার লিগের ওয়ানডে প্রতিযোগিতা জিতে। সিডনিকে চ্যাম্পিয়ন করেই ঠিকানা বদলে ফেলেছিলেন তিনি। ২০২০-২১ মৌসুম ব্যাংকসটাউন ক্লাবের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন। সামনের মৌসুমেও এই ক্লাবের হয়েই খেলবেন। তবে সব ছাপিয়ে সুমনার লক্ষ্য একটাই- ফের বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়ানো।