cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ইসরায়েলি বোমায় অগ্নিবলয়ে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা। অব্যাহত হামলায় গতকাল রবিবার এক দিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটেছে। এদিন নিহত হয়েছে ১৩ শিশুসহ অন্তত ৪৩ জন। বোমায় ধ্বংস হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরা ও বার্তা সংস্থা এপির কার্যালয়। গতকাল দিনভর দফায় দফায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে হামাস নেতাদের বাড়ি লক্ষ্য করেও। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এরই মধ্যে উভয়পক্ষকে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তা না হলে আরো বিস্তৃত অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার এবং এতে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করেছেন তিনি। ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ সমাবেশও করছে সহিংসতাবিরোধী মানুষ। সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরবসহ মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসি। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামলা চালিয়ে যাওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলকে সমর্থন জানানোর পরই এমন ঔদ্ধত্য দেখান নেতানিয়াহু।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, গতকাল ভোররাত থেকেই ইসরায়েলি বিমানগুলো দফায় দফায় বোমা হামলা চালানো শুরু করে। এতে এক দিনেই অন্তত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। গত সোমবার শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ১৮৮ জন নিহত হয়েছেন, এদের মধ্যে ৫৫ শিশু। অন্যদিকে হামাস ও গাজার অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর রকেট হামলায় ইসরায়েলে এ পর্যন্ত দুটি শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন, এদের মধ্যে একজন সেনা রয়েছেন। ইসরায়েল ও গাজার লড়াই গতকাল সপ্তম দিনে গড়ালেও সহিংসতা থামার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং দুপক্ষই পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে যাওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাতে হামাস ইসরায়েলের দিকে ১২০টি রকেট ছুড়েছে, এর অধিকাংশই আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী সিস্টেম দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে আর প্রায় ডজন খানেক রকেট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গাজার ভেতরেই পড়েছে। অন্যদিকে গাজার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল ভোর থেকে অন্তত ১৫০ বার বিমান থেকে বোমা ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ভোররাতের হামলাগুলো গাজা সিটির কেন্দ্রস্থলে চালানো হয়েছে। এর আগে গত শনিবার ইসরায়েলি সেনাদের বোমা হামলায় গাজায় অবস্থিত আলজাজিরা ও এপির কার্যালয় ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে।
২০১৪ সালের পর থেকে গত কয়েক বছরের মধ্যে এটিই ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে চলা সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াই। রকেট হামলার সাইরেন শুনে ইসরায়েলের তেল আবিব ও বীরশেবা শহরের বাসিন্দারা তাড়াহুড়া করে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চলে যান। দৌড়ে এসব আশ্রয়স্থলে যাওয়ার সময় প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন বলে দেশটির চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গতকাল ভোররাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনুসে হামাসের আঞ্চলিক নেতা ইয়াহিয়া আল সিনওয়ারের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে তারা। সিনওয়ার ২০১১ সালে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৭ সাল থেকে গাজা অঞ্চলের হামাসের রাজনৈতিক ও সশস্ত্র শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
ওআইসির বৈঠকে ইসরায়েলের নিন্দা :
মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্সের নির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠকে ফিলিস্তিনে চলমান নৃশংসতার জন্য এককভাবে ইসরায়েলকে দায়ী করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। সংস্থাটির সদর দপ্তর সৌদি আরবে অবস্থিত। ওআইসির বৈঠকে ফিলিস্তিনিদের অধিকার ‘নগ্নভাবে লঙ্ঘন’ করায় ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। বৈঠকের শুরুতে রেকর্ড করা ভাষণে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানান এবং সামরিক হামলা বন্ধের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠক শেষে এক টুইট বার্তায় তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু বলেন, ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের রক্ষার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সব পদক্ষেপে নেতৃত্ব অব্যাহত রাখব। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত শনিবার প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফোনে কথা বলেছেন বাইডেন। ফোনালাপে গাজা থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামাসের রকেট হামলা থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকেও ফোন করে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানান। সংঘাত অবসানের কোনো ইঙ্গিত স্পষ্ট না হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ