সর্বশেষ আপডেট : ৮ ঘন্টা আগে
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১৪ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

পর্তুগালে মহামারির মাঝেও ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের মা’রতিম‌ মুনিজ পার্কে প্রায় ৫ হাজার মু’সল্লি নিয়ে দেশটির সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় লিসবনের বাইতুল মোকারম ম’সজিদ ও মা’রতিম‌ মুনিজ জামে ম’সজিদের উদ্যোগে এই জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ জামাতকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত বলা হচ্ছে।

স্থানীয় পর্তুগিজ নাগরিকসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশসহ মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, আ’মেরিকা, এশিয়া মহাদেশের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টি দেশের ধ’র্মপ্রা’ণ মু’সলিম’রা এবার ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ করেছেন।

প্রবাসে এতো বড় ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পেরে বাংলাদেশি প্রবাসীসহ বিভিন্ন দেশের ধ’র্মপ্রা’ণ মু’সলিম’রা আনন্দে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

নামাজের শুরুতে বালাদেশ ইস’লামিক সেন্টার বায়তুল মোকাররম জামে ম’সজিদের ই’মাম অধ্যাপক মা’ওলানা আবু সাঈদ এবং মাতরতিম মুনিজ ম’সজিদের ই’মাম মা’ওলানা আলাউদ্দিন ঈদুল ফিতর নামাজের তাৎপর্য এবং রমজানের মহিমায় কথা সকলের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের নামাজ আদায় করায় নামাজ শেষে উপস্থিতি মু’সল্লিদের ধন্যবাদ জানান মা’ওলানা মো. আবু সাঈদ। দেশে-বিদেশে সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান তিনি।

মহামা’রির মাঝে এত বড় পরিসরে ঈদুল ফিতরের জামাত আয়োজন সম্পন্ন করেতে পেরে লিসবন প্রশাসনের শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন মা’রতিম‌ মুনিজ জামে ম’সজিদের সেক্রেটারি সাজিদ মোহাম্ম’দ ও বাইতুল মোকারম ম’সজিদের (লিসবন) প্রেসিডেন্ট রানা তাসলিম উদ্দিন।

নামাজ শেষে রানা তাসলিম উদ্দিন বলেন, এত বড় একটি ঈদ জামাত আয়োজন আমাদের জন্য বগ চ্যালেঞ্জ ছিল। আম’রা সেই চ্যালেঞ্জে সফল। আম’রা পর্তুগিজ স্থানীয় পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, শান্তিপূর্ণভাবে আম’রা ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে পারব। অবশেষে আম’রা শান্তিপূর্ণভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করতে পেরেছি। সেজন্য মহান আল্লাহর দরবারে লাখো শুকরিয়া জানাই। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মানুষের উদ্দেশে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই।

খোলা আকাশের নিচে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে পেরে আবেগাপ্লুত হয়ে যান প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

মাত্র ৪ মাস আগে পর্তুগালে আসা নজরুল ইস’লাম বলেন, মনে হচ্ছিল বাংলাদেশের কোন ঈদগাহে নামাজ আদায় করছি। তবে পার্থক্য এই যে, নামাজ শেষে ফিরে প্রিয়জনের সান্নিধ্য পাওয়া হবে না।

মা’রতিম‌ মুনিজ পার্ক ছাড়া পর্তুগালের বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

লিসবন পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় জামে ম’সজিদে সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে এবং সকাল সাড়ে ৮টায় দুইটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

পর্তুগালের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পর্তুতে হযরত হামজা (রা:) ম’সজিদে সকাল ৮টায় এবং সকাল ৯ টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় হযরত বেলাল (র.) ম’সজিদে সকাল পৌনে ৭টায় এবং সকাল ৮টায় আয়েশা সিদ্দিকা ম’সজিদে এবং সোয়া ৭টায় অদিভেলাসে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, প্রবাস জীবনের ঈদের আনন্দটা খুব বেশি দীর্ঘ নয়। কারো কারো কাছে ঈদুল ফিতরের নামাজের মধ্য দিয়েই ঈদ শেষ হয়। ছুটি না থাকায় চলে যেতে হয় কর্মক্ষেত্রে। প্রিয়জনদের মুখে হাসি ফোটানোর উদ্দেশ্যে প্রবাসীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন কর্মযজ্ঞে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: