cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
হেফাজতে ইস’লামের ডা’কা হরতা’লে সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর জুড়ে তা’ণ্ডবের পর পু’লিশের সঙ্গে সং’ঘর্ষে দুই জন নি’হত হয়েছেন।
নি’হতরা হলেন সরাইল উপজে’লার সৈয়দ টোলার আল আমিন এবং খৈয়াসার এলাকার অ’জ্ঞাত এক ব্যক্তি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতা’লের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পু’লিশ লাইনস এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে হেফাজত কর্মীরা তেড়ে গেলে সেখানে সং’ঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষে কয়েকজন আ’হত হওয়ার পর তাদেরকে হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃ’ত্যু হয়।
টানা দুই দিন সরকারি স্থাপনায় হা’মলা, সং’ঘর্ষের পর হরতা’লেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিং’স হয়ে উঠেছে হেফাজত সম’র্থকরা।
হা’মলা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, ঘরবাড়ি, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়ি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয়ে।
একজোট সহিং’স হেফাজত কর্মীদের মোকাবিলায় পু’লিশ কার্যত কিছুই করতে পারছে না।
সকালে শহরে যান চলাচল শুরু করলেও হেফাজতের সন্ত্রাসে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। গাড়িগুলোকেও নিরাপদে সরিয়ে নেয় মালিকরা।
সকালে শান্ত থাকলেও বেলা ১১টার পর বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসা থেকে মিছিল নিয়ে বের হতে থাকে ছাত্ররা। হেফাজতে ইস’লামের ডা’কা সকাল-সন্ধ্যা হরতা’লে সকাল থেকে লা’ঠি হাতে পুরো শহরে মিছিল করেছে তারা।
বেলা ১১টার দিকে মিছিল করে পুরো শহরের বিভিন্ন জায়গায় রিকশার টায়ার, রাস্তার পাশে রাখা ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীতে আ’গুন দেয় মাদ্রাসা ছাত্ররা।
শহরের নিরাপত্তায় পু’লিশ, রেব মোতায়েন থাকলেও আগের দিনের সহিং’সতার পর আধা সাম’রিক বাহিনী বিজিবিকে দেখা যায়নি। পু’লিশ যেখানে মোতায়েন ছিল, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেখানেও তারা কোনো অ্যাকশনে যায়নি।
জে’লা পরিষদ কার্যালয়ে, পৌরসভা কার্যালয়ে, জে’লা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এবং সাধারণ সম্পাদকের বাড়ি ও কার্যালয়ে, জে’লা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাড়িতে, ভূমি অফিসে, আয়কর আইনজীবী ও আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল হক ভূঁইয়ার কার্যালয়ে, জে’লা সরকারি গণগ্রন্থাগার ও শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ চত্বরে আয়োজিত উন্নয়ন মেলায় আ’গুন দিয়েছে।
ভাঙচুর করেছে জে’লা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কার্যালয়, ব্যাংক এশিয়া, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, সুরসম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতায়ন এবং পরিবার ও পরিকল্পনা কার্যালয়।
এরপর হেফাজত কর্মীরা হা’মলা চালায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে। সেখানে ভাঙচুরের পাশাপাশি ধরিয়ে দেয়া হয় আ’গুন।
শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীমন্দিরেও যায় হা’মলাকারীরা। পূজা চলাকালে তারা মন্দিরের আসবাব ও প্রতীমা ভেঙে দেয়।
হেফাজতকর্মীরা জে’লা প্রেসক্লাবে ভাঙচুর চালানোর সময় আ’হত হয়েছে রিয়াজুদ্দিন জামি। তিনি প্রেস ক্লাবের সভাপতি।
সদর হাসপাতা’লের চিকিৎসক রাব্বি নূর শামস জানান, জামির মা’থায় ছয়টা সেলাই দিতে হয়েছে।
হেফাজত কর্মীদের ইটের আ’ঘাতে এটিএন নিউজের ফটো সাংবাদিক সুমন রায়ের দাঁত ভেঙে গেছে।
এ ছাড়া হরতাল সম’র্থকরা রাস্তার ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে সেগুলোতেও আ’গুন দিয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, শহরের বাইরে থেকে প্রচুর লোক এসে ভাঙচুর ও অ’গ্নিসংযোগ করছে। পুরো এলাকার পরিস্থিতি এখন থমথমে।
সকাল নয়টার পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। এর আগে সকাল সাতটার দিকে একটি মালবাহী ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে এবং এরপর আটটায় পারাবত এক্সপ্রেস সিলেট যায়। এরপর আর কোনো ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে যায়নি।
তা’ণ্ডব চলেছে শুক্র ও শনিবারও
শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে ছাত্রদের সড়ক অবরোধের পর সং’ঘর্ষের এক পর্যায়ে পু’লিশের গু’লিতে পাঁচজন নি’হত হন।
শহরের সুহিলপুর ইউনিয়নের নন্দনপুর এলাকার এ সং’ঘর্ষে নি’হতরা হলেন সদর উপজে’লার সুহিলপুরের জুর আলম, মজলিশপুরের সুজন মিয়া, বুধল গ্রামের বাসিন্দা কাওসার মিয়া ও মোহাম্ম’দ জুবায়ের এবং সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের বাদল মিয়া।
এদের মধ্যে সুজন মিয়া স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়েন।
বাকিদের মধ্যে জুর আলম ওয়ার্কশপের কর্মী আর কাউসার ও জোবায়ের শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।
শুক্রবার হা’মলা ছিল আরও ব্যাপক। সেখানে মাদ্রাসা থেকে মিছিল নিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় শহরের রেলস্টেশন। মৎস্য অধিদপ্তরের কার্যালয় ও আনসার ক্যাম্পে আ’গুন দেয়া হয় পেট্রল ঢেলে। পরে হা’মলা হয় পু’লিশ সুপারের কার্যালয়ে। তখন গু’লি চালায় পু’লিশ। আর এক তরুণ গু’লিবিদ্ধ হয়ে প্রা’ণ হারায়।
স্টেশনে আ’গুনে সংকেত ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দুপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর রেলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটে কোনো ট্রেন আর এই স্টেশনে যাত্রাবিরতি করছে না। বন্ধ হয়ে গেছে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে চলা তিতাস কমিউটারও।
শুক্রবার রাত থেকেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পু’লিশ-রেব মোতায়েন করা হয়। টহল শুরু করে আধাসাম’রিক বাহিনী বিজিবিও।
এদিন হেফাজতের বি’ক্ষোভের ডাক নিয়ে শহরে উদ্বেগ থাকলেও পু’লিশের নিরাপত্তার আয়োজন দেখে বিকাল পর্যন্ত রাজপথে নামেনি মাদ্রাসা ছাত্ররা। তবে সন্ধ্যায় আবার তুলকালাম হয়।
এর মধ্যে হেফাজতের কেন্দ্রের পক্ষ থেকে শুক্রবার প্রতিটি ফোঁটা র’ক্তের বদলা নেয়ার ঘোষণা আসে। আর রোববারের হরতাল সফল করার ডাকও জানানো হয়।