সর্বশেষ আপডেট : ৬ ঘন্টা আগে
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ খ্রীষ্টাব্দ | ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

যে কারণে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ

দ্রুত ছড়িয়ে পড়া যু’ক্তরাজ্যের করো’নাভাই’রাসের নতুন স্ট্রেইন বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছিল জানুয়ারিতে। তবে তা এতদিন গো’পন ছিল। মা’র্চে এসে তা প্রকাশ করল সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা। এ অবস্থায় দেশে করো’না সংক্রমণ ও মৃ’ত্যু বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যু’ক্তরাজ্যের নতুন স্ট্রেইন দ্রুত ছড়ায়। দুই মাসের বেশি সময় আগে শনাক্ত হয়েছে, এর কারণে দেশে সংক্রমণ বাড়তে পারে। আবার রেসপিরেটরি রুটে একটা ভাই’রাস ঢুকলে অন্য ভাই’রাসকে ঢুকতে দেয় না। শীতকালে আমাদের সর্দি-কাশির মতো অন্যান্য ভাই’রাস খুব বেশি সংক্রমিত হয়েছিল। এসব দেশি ভাই’রাস ঢুকার ফলে হয়তো করো’নাভাই’রাস ঢুকার সুযোগ পায়নি। সে কারণে হয়তো শীতকালে সংক্রমণ কমে গিয়েছিল। এখন শীতকালের ভাই’রাসগুলো কমে গেছে, করো’নাভাই’রাস সুযোগ পেয়ে গেছে। সে কারণেও বাড়তে পারে। তবে বাড়লেও তা ১০ শতাংশের বেশি বাড়ার সম্ভাবনা কম।

রোববার (১৪ মা’র্চ) কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরাম’র্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইস’লাম এবং সার্স ভাই’রাসের কিট উদ্ভাবক ও করো’নাভাই’রাস শনাক্তের ‘জি র্যাপিড ডট ব্লট’ কিটের উদ্ভাবক ড. বিজন কুমা’র শীলের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানতে চাইলে অধ্যাপক নজরুল ইস’লাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘যু’ক্তরাজ্যের ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে জানুয়ারিতে শনাক্ত হয়েছে।’

বর্তমান সময়ে করো’নার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকে স’ন্দেহ করছে যু’ক্তরাজ্যের ভ্যারিয়েন্টের কারণে বাংলাদেশে করো’নার সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু ওই ভ্যারিয়েন্ট সারাদেশে ছড়িয়ে গেছে আগের ভ্যারিয়েন্ট’কে রিপ্লেস করে- এটা এত তাড়াতাড়ি সম্ভব না। সুতরাং এই একটা জিনিস দিয়ে এটাকে ব্যাখ্যা করা যাবে না। আরও অন্য ফ্যাক্টর থাকতে পারে।’

সংক্রমণ বাড়ার আরও কারণ ব্যাখ্যা করে জাতীয় পরাম’র্শক কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘শীতকালে আমাদের অন্যান্য ভাই’রাস খুব বেশি সংক্রমিত হয়েছিল- সর্দি, কাশি, জ্বরজারিতে। রেসপিরেটরি রুটে যদি একটা ভাই’রাস ঢুকে যায়, অন্য ভাই’রাসকে ঢুকতে দেয় না। দেশি ভাই’রাস ঢুকার ফলে হয়তো করো’নাভাই’রাস ঢুকার সুযোগ পায়নি। সে কারণে হয়তো শীতকালে সংক্রমণ কমে গিয়েছিল। এখন গ্রীষ্মকাল আসছে, শীতকালের ভাই’রাসগুলো কমে গেছে। এখন আবার করো’নাভাই’রাস সুযোগ পেয়ে গেছে। আবার সংক্রমণ বাড়ছে। তবে খুব বেশি বাড়বে বলে মনে হয় না, এটা আমাদের ধারণা। বলছি না যে, এটা সত্য, প্রমাণিত। আমা’র ধারণা, এই সংক্রমণ সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত যেতে পারে। তারপর ওইভাবেই থাকবে। গত বছর যেমন ২০, ২২ এমনকি ৩১ শতাংশ পর্যন্ত হয়েছিল; ওই রকম হবে না।’

ভাই’রাসটি দ্রুত ছাড়ায় উল্লেখ করে নজরুল ইস’লাম বলেন, ‘কিন্তু ছড়ানোর জন্য তো একটা সুবিধা থাকতে হবে। একজন আরেকজনের সঙ্গে মিলেমিশে, তারপরই তো ছড়াবে। জানুয়ারি থেকে মা’র্চ মাসে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে, এটা অস্বাভাবিক মনে হয়। তবে সম্ভাবনা আছে। এগুলো সবমিলিয়েই হয়েছে।’

এ বিষয়ে ড. বিজন কুমা’র শীল জাগো নিউজকে বলেন, ‘আজকে সারা’বিশ্বের করো’না সংক্রমণের স্ট্যাটাস দেখতে গিয়ে দেখি যে, হঠাৎ করে সংক্রমণ জাম্প করেছে। বিষয়টা নিয়ে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আলাপ করলাম। তারা বললেন যে, বাংলাদেশে সম্ভবত ব্রিটিশ ভ্যারিয়েন্টটা জানুয়ারি মাসেই আইসিডিডিআরবি শনাক্ত করেছিল। এই ভাই’রাসটা বাংলাদেশে সমস্যা সৃষ্টি করার পর্যায়ে আছে আর কি। আ’মেরিকা, ইউরোপ, জার্মানিতেও এই ভাই’রাস অধিকাংশ ক্ষেত্রে পাওয়া যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভাই’রাসটা যদি দুই মাস আগে পাওয়াই গিয়ে থাকে, তাহলে দেরি করা উচিত হয়নি। আমি যতটুকু শুনেছি, ৫ জানুয়ারি শনাক্ত করা হয়েছিল। তারা হয়তো বলেনি বা উপেক্ষা করে গেছে। এসব ক্ষেত্রে উপেক্ষা করা ঠিক না। যু’ক্তরাজ্যের ভাই’রাস অনেক সময় বিদ্যমান ইমিউন সিস্টেমকে ভেদ করে চলে যেতে পারে।’

ড. বিজন কুমা’র বলেন, ‘এখন দেখার বিষয়- যারা যু’ক্তরাজ্যের ভাই’রাসে আ’ক্রান্ত হয়েছেন, তারা আগে আ’ক্রান্ত হয়েছিলেন কি-না কিংবা কোনো টিকা নেয়া মানুষের মধ্যে এই রোগ দেখা যাচ্ছে কি-না। যারা করো’না থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাদের হয়নি বা যারা টিকা নিয়েছেন তাদের হয়নি। তাহলে অন্ততপক্ষে এটা বলা যাবে যে, এটা অ’তটা ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্তু করো’নায় আ’ক্রান্ত মানুষ যদি আবার যু’ক্তরাজ্যের ভাই’রাসে আ’ক্রান্ত হয়ে থাকেন কিংবা টিকা নেয়া মানুষ যদি যু’ক্তরাজ্যের ভাই’রাসে আ’ক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে কিন্তু বিষয়টা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।’

বাধ্যতামূলক মাস্ক বা স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করে তাহলে হয়তোবা আ’ট’কানো যাবে বলেও মনে করেন ড. বিজন।

নবম সপ্তাহের (২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মা’র্চ) সঙ্গে দশম সপ্তাহের (৭ মা’র্চ থেকে ১৩ মা’র্চ) তুলনায় ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ নমুনা পরীক্ষা, ৬৭ দশমিক ২৭ শতাংশ নতুন রোগী শনাক্ত, ৪২ দশমিক ৪১ শতাংশ সুস্থতা এবং ৪৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ মৃ’ত্যু বেড়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

 

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম
নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
মোবাইল: ০১৭১২ ৮৮৬ ৫০৩
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: