cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জের ছেলে আসাদ চৌধুরী এ্যানী। সম্প্রতি বিশ্বের নামকরা হারমোনিকা ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজের সুযোগ পাওয়া এ্যানী দেশে পেশাদার হারমোনিকার পরিচয় করানোর চেষ্টা করে চলেছেন বহুবছর থেকে। ফেইসবুক-ইউটিউবে ইন্সট্রুমেন্টাল ভিডিও, হারমোনিকা লেসন, রিভিউ আপলোড করে সেই চেষ্টারই প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন। ফলে পরিচিতি ছড়িয়েছে সর্বত্র ।
সম্প্রতি বিশ্বের নামকরা হারমোনিকা ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজের সুযোগ পাওয়া নিয়ে এ্যানী জানান, Easttop Harmonica Company তাকে অফিশিয়াল হারমোনিকা আর্টিস্ট হওয়ার প্রস্তাব দেয়। বাংলাদেশ থেকে এই প্রথম কেউ ইন্টারন্যাশনাল কোনো হারমোনিকা কোম্পানির অফিশিয়াল আর্টিস্ট হলো। কম বয়সের বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে সখ্য এ্যানীর। তার বাজানো হারমোনিকা, বেহালা, গিটার ও বাঁশি টান দিচ্ছে শেকড়ের দিকে।
অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন নিজে নিজে গিটার বাজানোর চেষ্টা করতেন এ্যানী। সঙ্গে অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের প্রতিও দুর্বলতা ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় দশম শ্রেণিতে একটি সাধারণ হারমোনিকা কেনেন এবং টুকটাক বাজানো শুরু করেন। এক সময় তিনি বুঝতে পারেন, বাংলাদেশের মিউজিকে হারমোনিকার প্রচলন বলতে গেলে হয়-ই না। তখনই পেশাদার হারমোনিকা বাজিয়ে হওয়ার পরিকল্পনা মাথায় আসে।
শিখিয়ে দেওয়ার মতো কেউ না থাকায় এ্যানী নিজেই রাস্তা খুঁজে নেন। স্কেল বেসিক জানা থাকায় প্রথম পর্যায়েই আয়ত্তে চলে আসে। কিন্তু পেশাদার হিসেবে যখন বাজানোর চেষ্টা করেন, তখন বুঝতে পারেন ব্যাপারটা এতটা সহজ নয়। তখন হারমোনিকার পেছনে আরও বেশি সময় দেওয়া শুরু করেন। তিনি বলেন, পরিবার থেকে সব সময় এ বিষয়ে উৎসাহ পেয়েছেন।
একপর্যায়ে বিশ্বের নামকরা বাদকদের শুনতে থাকেন। চেষ্টা করেন তাদের মতো বাজাতে। এভাবে ধীরে ধীরে নিজেকে প্রকাশ করে। সমস্যা দাঁড়িয়ে যায় বাংলাদেশে ভালো প্রফেশনাল সাউন্ডের হারমোনিকা পাওয়া যায় না। তখন এক বড় ভাই ফ্রান্স থেকে এক সেট ভালো হারমোনিকা পাঠান।
এ্যানী জানান, ফেইসবুক ও ইউটিউবে তার বাজানো ছড়িয়ে পড়লে বেড়ে যায় ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীর সংখ্যা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন হারমোনিকার ছাত্রও পেয়ে যান। এ্যানীর ভাষ্য, “এভাবেই শখের বশে শেখা হারমোনিকা আমার পেশা হয়ে ওঠে।”
নিয়মিত হারমোনিকা ইন্সট্রুমেন্টাল আপলোড করায় ‘জলের গান’-এর সঙ্গে যোগাযোগ হয়। গানের দলটির প্রতিষ্ঠাতা রাহুল আনন্দ তাকে খুবই উৎসাহ দিতে থাকেন। সিলেটে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বড় লাইভ প্রোগ্রামে ‘জলের গান’-এর সঙ্গে এ্যানীর হারমোনিকা বাজানোর সুযোগ হয়। করোনাকালীন ফ্রন্টলাইনারদের নিয়ে দলটির প্রকাশিত গানে তার গুরুত্বপূর্ণ হারমোনিকা পার্ট রয়েছে।
এ ছাড়া সিলেটে চার বছর ধরে স্থানীয় ব্যান্ডের সঙ্গে নিয়মিত স্টেজ শো করে আসছেন এ্যানী।
নিজের কাজ ও পরিকল্পনা নিয়ে এ্যানী বলেন, হারমোনিকাকে এ দেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ থেকেও অনেক আন্তর্জাতিক হারমোনিকা বাদক বের হয়ে আসবে সেই স্বপ্নই লালন করি এবং তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।