cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
বসনিয়ায় কয়েকমাস আগে জঙ্গলে কোনোক্রমে বাংলাদেশিদের অ পেক্ষায় থাকা দেখে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে আমা র কাছে৷ বাংলাদেশি তরুণদের একাংশের মধ্যে ইউরোপে আসার বাসনা তীব্র৷
সেই বাসনায় তারা দুর্গম, অ বৈধ পথে যাত্রা করছে৷ অথচ চাইলে বৈধ পথেও আসা সম্ভব৷
বসনিয়ার অ ভিজ্ঞতায় দেখেছি, একেকজন বাংলাদেশি তরুণ-যুবা আঠারো থেকে বিশ লাখ টাকা খরচ করছেন কয়েক মাস বা বছর ধরে যাত্রা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোনো একটি দেশে পৌঁছাতে৷ এই যাত্রায় কখনো কখনো তাদের বিরুপ আবহাওয়ার মধ্যে দীর্ঘ পথ হাঁটতে হয়, কখনো উত্তাল সাগর পাড়ি দিতে হয়, কখনো পু লিশের নি র্মম নি র্যা তনের শিকার হতে হয়, কখনো বা মাসের পর মাস লুকিয়ে থাকতে হয় জঙ্গলে বা কোনো গোপন আস্তানায়৷
প্রতিকুল এই যাত্রায় জীবনের ঝুঁ কিও অনেক৷ লিবিয়াতে স ন্ত্রাসীদের গু লিতে কিংবা সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকাডুবিতে মাঝেমাঝেই মা রা যান ইউরোপে আসতে আগ্রহী বাংলাদেশিরা৷ কখনো তাদের ম রদেহটা মেলে, কখনো তা-ও মেলে না৷ অথচ তারপরও হাজার হাজার মানুষ যেকোনো কারণেই হোক বাংলাদেশ ছেড়ে ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখছেন৷
তাদের এই আম রণ চেষ্টার পেছনে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের অ ভিবাসন নীতিও কিছুটা দায়ী৷ ইটালি বা পর্তুগালের মতো দেশগুলোতে কোনোক্রমে যদি কোনো একজন ব্যক্তি পৌঁছাতে পারেন, তাহলে কয়েকবছরের মধ্যেই বৈধ হয়ে যাওয়ার সুযোগ পান৷ যাদের ভাগ্য একান্তই সহায়ক নয়, তারা চলে যান ফ্রান্সে, কারণ সেদেশে অ বৈধভাবে থাকা যায় যুগের পর যুগ৷ এরকম সুযোগ রয়েছে বলে অনেকেই চান ক ষ্ট করে হলেও সেসব দেশে পৌঁছাতে৷
অন্যদিকের বাস্তবতা হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোরও নানা খাতে দক্ষ কর্মী প্রয়োজন৷ ইউরোপ তাই প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষকে বৈধভাবেই ইউরোপে প্রবেশ করার সুযোগ দিচ্ছে৷ সেই সুযোগ নিতে হলে প্রয়োজন একটু পরিকল্পনা এবং খানিকটা পরিশ্রম৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশের একটি সহ জ উপায় হচ্ছে উচ্চশিক্ষার জন্য আসা৷ যে আঠারো বা বিশ লাখ টাকা এবং সময় একজন মানুষ অ বৈধ পথে ইউরোপে আসতে ব্যয় করেছেন, সেই সময় ও অর্থ তিনি ইউরোপে শিক্ষার্থী হিসেবে প্রবেশ করতে ব্যয় করলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল৷ কেননা এই অঞ্চলের বেশিরভাগ দেশেই বিদেশি শিক্ষার্থীরা চাকুরির সুযোগ পায়৷ জার্মানি লেখাপড়া শেষে চাকুরি খোঁজার জন্যও এক বছরের বেশি সময় দেয়৷ মোটের উপর ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ তো রয়েছেই৷ আশার কথা হচ্ছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকহাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হিসেবে ইউরোপের এই দেশটিতে এসেছেন৷
এছাড়া, চাকুরি সূত্রে ইউরোপে প্রবেশের সুযোগও এখন ক্রমশ বাড়ছে৷ জার্মানি কয়েকবছর আগে এ সংক্রান্তআইন শিথিল করেছে৷ ফলে এখন বাংলাদেশে বসেও জার্মানির চাকুরির বাজারে আবেদনের সুযোগ রয়েছে৷ এছাড়া ইউরোপের অন্যান্য দেশেও চাকুরি খোঁজা যায়৷ এই কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমেই করা সম্ভব৷
ইউরোপে বৈধভাবে প্রবেশের আরেকটি বড় উপায় হতে পারে বিভিন্ন সেবা খাত৷ বিশেষ করে কৃষি এবং স্বাস্থ্য সেবা খাতে দক্ষ শ্রমিকের অভাব ইউরোপের দেশগুলোতে প্রকট৷ জার্মানির কথা আমি জানি যেখানে নার্সের হাহাকার রয়েছে৷ ইউরোপের মানে প্রশিক্ষিতরা সহ জেই এই খাতে চাকুরি নিয়ে আসতে পারেন৷ তবে, এজন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে উদ্যোগ নিতে হবে৷ ইউরোপের শ্রম বাজার যে ধরনের প্রশিক্ষিত জনশক্তি চায়, সেরকম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা বাংলাদেশে করা হলে বৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের হার বাড়ানো যাবে৷ বাংলাদেশ সরকার এজন্য চাইলে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় চুক্তি করতে পারে৷
মোদ্দা কথা হচ্ছে, শুধু অ বৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের চিন্তা বাদ দিয়ে বৈধ পথে প্রবেশের পথ খুঁজতে হবে৷ আর এজন্য নিজেকেই তথ্য খুঁজতে হবে, পরিকল্পনা করতে হবে৷ বর্তমানের মোবাইল-ইন্টারনেটের যুগে কাজটি মোটেই কঠিন নয়৷