cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortsকরোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে দেশজুড়ে টিকা প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী-এমপি এবং শীর্ষ আমলারা ইতোমধ্যে টিকা নিয়েছেন। টিকা দেয়ার শুরুর সপ্তাহখানেক হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন মহলে চাউর হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া করোনার টিকা নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক। তবে দলীয় ও পারিবারিক সূত্র বলছে, ‘এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি’। তাছাড়া খালেদা জিয়ার শারীরিক যে জটিলতা রয়েছে, সে বিবেচনায় তিনি টিকা নেয়ার জন্য উপযোগী কি-না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
সত্তরোর্ধ্ব খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে চোখ ও দাঁতের সমস্যা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছেন। তিনি নিয়মিত একাধিক ওষুধও সেবন করেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা করোনার টিকা গ্রহণের বিষয়ে সম্প্রতি বলেছেন, ‘অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসসহ জটিল রোগে ভোগা রোগীরা টিকাদানের বাইরে থাকবেন। তবে শুধু যদি আর্থ্রাটাইটিসজনিত সমস্যা থাকে, সেক্ষেত্রে হেমাটোলজি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘১৮ বছরের নিচে, গর্ভবতী মা, দুগ্ধশিশু, যাদের বেশি অ্যালার্জি-অ্যাজমা আছে এবং মুমূর্ষু রোগীরা করোনার টিকা নিতে পারবেন না।’
মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, ‘অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য জটিল ও মারাত্মক রোগে আক্রান্তরা ছাড়া সবাই করোনার টিকা নিতে পারবেন।’
শারীরিক জটিলতার কারণে দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি থাকা অবস্থায়ই খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে স্বাস্থ্যগত বিবেচনায় সাজা স্থগিত করে তাকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয় সরকার। নিজের ভাড়া বাসা ফিরোজায় অবস্থানরত খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার আলোচনাও চলছে।
গত বছরের শুরুর দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি অবস্থায় হাসপাতালে থাকাকালে তার সঙ্গে দেখা করে বোন সেলিমা ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘তিনি হাত সোজা করতে পারছেন না। তার হাত বাঁকা হয়ে গেছে, আঙুল বাঁকা হয়ে গেছে, খুবই খারাপ অবস্থা এবং দুই হাঁটু অপারেশন করা হয়েছে। হাঁটুতেও ব্যথা, হাঁটু ফুলে গেছে। তিনি পা ফেলতে পারছে না।’
গত ১৮ অক্টোবর বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে ডাক্তার এসে রক্ত পরীক্ষা করাচ্ছেন। তিনি একা চলাফেরা করতে পারছেন না, নরম খাবার খাচ্ছেন। বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে সরকার মানবিক হলে দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে আবারও আবেদন করা হবে।’
খালেদা জিয়ার টিকা নেয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তার চিকিৎসক দলের অন্যতম সদস্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ম্যাডামের টিকা নেয়ার ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তিনি ফুলটাইম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলছেন। এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হলে জানতে পারবেন।’
একই মত দেন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তারও।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ম্যাডামের টিকা গ্রহণের বিষয় নিয়ে দলীয় ফোরামে কোনো আলোচনা হয়নি। এটা তার পরিবার ও চিকিৎসকরা দেখভাল করবেন। টিকা তো নিতে হবে সবাইকে। আমরা টিকা নিয়ে ডিপ্লোম্যাসি করছি না, টিকা নিয়ে রাজনীতি করছি না। টিকা যেহেতু দেয়া হচ্ছে, আমরা সবাই নেব।’ সূত্র : জাগো নিউজ