cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortsনোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ওবায়দুল কাদের দলের বড় দায়িত্বে আছেন, রাজনীতির কারণে তাকে বক্তব্য রাখতে হয়। আর বড় ভাই হিসেবে আমাকে সতর্ক করার অধিকার তার আছে। তবে এলাকার এমপি হিসেবে এখানে সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ ভোট করানো তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
আবদুল কাদের মির্জা বুধবার সকাল ৮টায় তার নির্বাচনী অফিসে লাইভ ভিডিওতে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি মহল নির্বচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা অস্ত্র পাঠিয়েছেন এবং প্রশাসনকে বারবার বলেও কোনো লাভ হচ্ছে না। আর এসবের নাটের গুরু হচ্ছেন ডিসি। তিনি নিরপেক্ষ নন। তিনি এক নেতার মাস্ক পরে প্রমাণ করলেন তিনি তার আদেশে কাজ করেন। তার প্রমাণ হচ্ছে– ডিসি ওই নেতার পরামর্শে জামায়াত-শিবিরের সমর্থকদের নির্বাচন অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ দিয়েছেন।
নোয়াখালীর এক এমপি বিএনপি নেতা হারুনের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা বসুরহাটে পাঠিয়েছেন অভিযোগ করে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, বিএনপি প্রার্থী জিতবেন না জেনেও আওয়ামী লীগের ওই এমপি আমাদের নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য, প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য টাকা পাঠিয়ে অস্ত্র পাঠিয়ে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে মেতে আছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জাতির বিবেক। আপনারা দেখুন, আপনারা লিখুন।
দেশের রাজনীতিবিদরা বিদেশে টাকা পাচার করছে, এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমাদের পাতি নেতারা পর্যন্ত আমেরিকায় গিয়ে গাড়ি কিনেছে, বাড়ি করেছে। সেখানে গিয়ে মাদক, নারী ও ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন। নেত্রী শেখ হাসিনা এ চোরদের কত পাহারা দেবেন?
কাদের মির্জা বলেন, সামান্য বাংলা মদের খেলে আমরা তাদের (মাদকসেবী) পিটাই, জেলে দিই। আর এমপিদের মদের আসরে গিয়ে পুলিশ স্যালুট মারে। পাহারা দেয়।
নির্বাচনে জয়ের আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমি মানুষের শতভাগ সাড়া পাচ্ছি। ভোটে জয়ী হব ইনশাআল্লাহ। এখন আমার চেষ্টা হবে যেন কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, আমার জনগণের রক্ত ঝরাতে না পারে।
আওয়ামী লীগের এই মেয়র প্রার্থী আরও বলেন, ভোটাররা ভোট দেবেন। ভোটের দিন বাইরে কোনো অনিয়ম ঘটলে পুলিশ, প্রশাসন, ডিসি, নির্বাচন অফিসারকে জবাব দিতে হবে। বসুরহাটের জনতা জবাব নিয়ে ছাড়বে।
তিনি বলেন, সন্দ্বীপের হিরোরা মাঠে নামতে পারেন না, ফেনীতে পেশিশক্তি দেখিয়ে কমিশনাররা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় কেন? কেন তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিতর্কের মুখে ফেলেন? কারণ তাদের জনপ্রিয়তা নেই। তাই তারা শক্তি দেখান।
কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালীর অপরাজনীতির কারণে ত্যাগী নেতারা হারিয়ে যাচ্ছেন। একটা গরিবের ছেলেকে চাকরি নিতে ৫-৭ লাখ টাকা ঘুষ লাগে। আমার ভাষণ নিয়ে কে কি বলেছে, তা শোনার সময় আমার নেই। আমার নেত্রী আমার কথায় সমর্থন আছে বলে আমার বিশ্বাস। তা না হলে আমি কাজ করতে পারতাম না। এতটা এগোতে পারতাম না। তাই নেত্রীকে কথা দিচ্ছি– বসুরহাট পৌরসভার সুন্দর নির্বাচন উপহার দিয়ে দলকে জিতিয়ে আনব। সূত্র : যুগান্তর