
পরিকল্পনা কমিশন প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৭২ সালে। প্রতিষ্ঠার পাঁচ দশক পেরিয়ে যাচ্ছে অথচ এখনও প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনের কোনও কাঠামো তৈরি করতে পারেনি কমিশন। তবে ডিজিটাল ডাটাবেজ সিস্টেম ও আর্কাইভ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এনইসি-একনেক ও সমন্বয় অনুবিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (প্রথম সংশোধন) প্রকল্পের আওতায় সেই কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে।
সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনের জন্য তৈরি করা খসড়ার ফরম্যাট চূড়ান্ত করতে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) পরিকল্পনা কমিশনে একটি কর্মশালা আয়োজন করা হয়। এতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতরের ৫৮ জন শীর্ষ কর্মকর্তা অংশ নেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ছাড়া প্রকল্প গ্রহণ করা হলে মেয়াদ ও সময় বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হয় না।
কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রথমদিকে এত বেশি প্রকল্প ছিল না। তাই এত বেশি ফিল করিনি আমরা। এ জন্য এটা গড়িয়ে গড়িয়ে এখানে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের একটা ফরমেট থাকবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের। প্রকল্প গ্রহণের সময় পরিকল্পনা কমিশন থেকে ফরম্যাট নিয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই করবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ।
প্রকল্পের সমীক্ষা যাচাইয়ের ফরমেট ইংরেজিতে তৈরি করা হয়েছে। সেটিকে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় করারও পরামর্শ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
এম এ মান্নান বলেন, যখন কোনও প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদনের জন্য আমার কাছে আসে, ডিপিপিতে একটা কলাম থাকে ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়েছে কিনা। বলা থাকে, করা হয়েছে। কিন্তু কোথায় করেছে, কে করেছে, কী করেছে, কোনও কাগজই দেখি না। ফিলাপ করেই শেষ। আমার মনে হয় এটা একটা দুর্বল দিক। ফলে প্রকল্পে টাকা খরচের ব্যাপারে ফিজিবিলিটি স্টাডি করা লাগবে। সূত্র : জাগোনিউজ