cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortsদিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নতুন গ্রেফতারকৃত দুজন হলেন ইউএনও অফিসের বরখাস্তকৃত কর্মচারী রবিউল ইসলাম ও নৈশ প্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশ। রবিউল ইসলাম মালি পদে কাজ করতেন।
এদিকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি ও মই উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকালে এক ব্রিফিংয়ে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য এ তথ্য জানান। বলেছেন, অপরাধটির সঙ্গে কারা জড়িত সেটি শনাক্তের জন্য একটি মামলা করা হয়েছে। সম্প্রতি আমরা রবিউল নামের একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছি। তার বাড়ি বিরলের বিজরা গ্রামে। সে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে বক্তব্য প্রদান করেছে। আর তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কিছু আলামতও উদ্ধার করেছি। ব্যবহৃত অস্ত্র হাতুড়িটি একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করেছি। যে সিসিটিভি ফুটেজকে সংগ্রহ করে সেটির সঙ্গে আমরা মিলিয়ে দেখছি। আজকে তাকে আমরা বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করব এবং তার রিমান্ড চাইব। রিমান্ডে নিয়ে এসে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করব। ঘটনার সঙ্গে সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, জড়িতদের শনাক্তের জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। মাননীয় ইন্সপেক্টর জেনারেলের নির্দেশনায় এবং প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আমাদের এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যাদেরকে সন্দেহ করেছি তাদেরকেেই আমরা বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।
দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনার পর থেকে দিনাজপুর পুলিশ বিনিদ্র রজনী পার করছে। একটি দিনের ২৪ ঘণ্টার পুরোটাই তারা তদন্ত কাজে ব্যয় করছেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে রংপুর ডিআইজি বলেন, আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই, আপনারা আমাদের এই তদন্ত কাজটি নির্বিঘ্নে করার সুযোগ দিয়েছেন। কারণ, অনেক সময় দেখা যায় যে, তদন্তে কী হচ্ছে না হচ্ছে সেটা জানার জন্য আপনাদের (সাংবাদিকদের) ব্যকুলতা আমাদের তদন্ত কাজকে বিঘ্নিত করে। কিন্তু আপনারা যে আচরণ করেছেন তাতে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক খুশি।
র্যাবের কাছে স্বীকারুক্তি দেয়া আসাদুলের বিষয়ে তিনি বলেন, আসামি আসাদুলকে রিমান্ডে নেয়ার প্রয়োজন আর মনে করি না।
যেহেতু আসাদুল স্বীকারুক্তি দিয়েছিল র্যাবের কাছে কিন্তু এখন আসাদুলকে স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দি ছাড়াই কেন কারাগারে পাঠানো হলো-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। র্যাবের যিনি কর্মকর্তা ছিলেন, তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও চৌকষ হিসেবেই জানি। হয়তো এ ব্যাপারে কেউ মিসগাইড করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ইউএনওর সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে ভেতরে ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়। ইউএনও ওয়াহিদা খানম ঢাকায় ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন।
আলোচিত ওই হামলার ঘটনায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বড় ভাই শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে দিনাজপুর জেলা ডিবি তদন্ত করছে। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও র্যাব তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনার পর ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।