রফিকুল ইসলাম, (হবিগঞ্জ) লাখাই ::

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় স্ত্রীর ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য স্বামী ইকবাল হোসেনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

জানা গেছে, ইকবাল হোসেন লাখাই উপজেলার বামৈ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য এবং নয়াগাঁর গ্রামের মৃত: আব্দুর রউফ-এর পুত্র। একই উপজেলার পূর্ব সিংহগ্রামের রমজান আলীর মেয়ে শারমিন জাহান(৩২) কে ৪ বছর আগে বিয়ে করেন ইকবাল। ইকবাল এবং শারমিন উভয়েই পূর্বে দুটি করে বিবাহ করেন।

স্ত্রী শারমিন জাহান জানান, ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেনের সাথে তাঁর দাম্পত্য জীবন প্রায় ৪ বছরের। হবিহঞ্জ কোর্টের মাধ্যমে স্বামী ইকবালের পাঠানো একটি ডির্ভোস লেটার তার কাছে আসে গত ৭ জানুয়ারি। ডির্ভোস লেটার দেওয়ার পর থেকে তারা আলাদা থাকতে শুরু করেন। ইকবাল প্রায়ই তাদের বাড়িতে যান এবং শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করেন। নিরুপায় হয়ে শারমিন হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
ইউপি সদস্য ইকবালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে শারমিন বলেন, আমার দ্বিতীয় স্বামী আব্দুস সালামের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়ে ইকবাল তাকে সার্বিক সহযোগিতা করে। একসময় নিজে বিবাহের এফিডেভিট কপির মধ্যে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে বিয়ে করে।

গত মঙ্গলবার রাত ১১টায় ইকবাল শারমিনের বাড়িতে যান এবং স্বামীর অধিকার নিয়ে স্ত্রীমিলনে বাধ্য করেন। বিষয়টি শারমিন মোবাইল ফোনে লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ইকবালকে হাতেনাতে ধরে থানায় নিয়ে যায়।

লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম বলেন, মহিলা রাতে আমাকে ফোন দিলে আমি তাৎক্ষানিক এস আই বাশারকে ঘটনাস্থলে যাবার নির্দেশ দেই। সেখানে থেকেই ইকবাল হোসেনকে আটক করা হয়। বুধবার ভিকটিম শারমিন জাহান বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেনকে জেলহাজতে এবং ভিকটিম শারমিন জাহানকে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল