cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
রফিকুল ইসলাম, লাখাই, হবিগঞ্জ ::
করোনা কালীন কৃষকের দুর্ভোগের কথা ভেবে এবারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)’র আমন বীজেও সরকার ভর্তুকি দিয়েছে। কিন্তু প্রচারণা কম থাকায় ও সচেতনতার অভাবে এবং ওই বিভাগের যুঁতসই পদক্ষেপ ও কিছু অসাধু ডিলারদের অসততার কারণে চাষিরা সরকার কর্তৃক এই ভর্তুকির সুফল পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
অথচ লাখাই উপজেলায় বিএডিসি’র আমন বীজে সরকারকে প্রায় লক্ষ, লক্ষ টাকা ভর্তুকি গুণতে হয়েছে। করোনা সংকট মোকাবিলায় সরকার নানা ধরণের পদক্ষেপ নিচ্ছে। সরকার জনসাধারণের দুর্ভোগ নিরসনে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে জনকল্যাণমূলক কাজ করছে। বিশেষ করে কৃষি ক্ষেত্রে সহজ শর্তে ঋণ এবং বিনামূল্যে সার-বীজ সরবরাহ করছে।
এছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)’র আমন বীজেও সরকার ভর্তুকি দিয়েছে। সেই হিসাবে বিএডিসি’র আমন ধানের বীজে প্রতি কেজি নির্ধারিত মূল্য থেকে ১০ টাকা ভূর্তকি পাবে কৃষক।
এ ব্যাপারে প্রান্তিক কৃষকদের জানানোর প্রয়োজনই মনে করেননি লাখাই উপজেলার কৃষিকর্মকর্তা হাসান হাবিব। ডিলারের দোকানের সামনে ব্যানার টাঙ্গানোর কথা রয়েছে কিন্তু কোনো দোকানেই ব্যানার টাঙ্গানোর নেই। সরকারের নিয়ম নীতিরি তোক্কায় না করেই তারা আমন ধানের বীজ বিক্রি করছে। অথচ উর্ধতন কতৃপক্ষ রয়েছে নিরব ভুমিকায়। কৃষকরা জানান তিনি কৃষি কর্মকর্তা এ উপজেলাতে যোগদানের পর থেকেই অন্যায় অনিয়ম করে যাচ্ছে,কৃষকরা কৃষি কাজের বা ফসলের রোগ-বালাই সম্পর্কে জানার জন্য অফিসে গেলে প্রায়ই অফিসে পাওয়া যায়নি। মাঝে মধ্যে পাওয়া গেলেও পরামর্শ দেওয়াতো দুরের কথা উল্টো কৃষকদের সাথে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে। আরো জানান হাসান হাবিব প্রধান মন্ত্রির পারিবারিক সবজ্বির বাগান স্থাপনের প্রমোদনার নামেও প্রতারনা করেছেন।
উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে মোট ১৯২ জন প্রান্তিক কৃষককে ৪৩৫ টাকার পরিমানে ১৫ প্রকার সবজি বীজ ও ফলের চারা দেওয়ার কথা। কিন্তু নাম মাত্র আংশিক কয়েক প্রকার বীজ বিতরণ করেছে। শুধু তাই নয় বাগান স্থাপনের সার ক্রয়,বেড়া তৈরী ও পরিচর্যা বাবদ ১৯৩৫ টাকা করে সংশ্লিষ্ট কৃষকদের মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে বা ব্যাংকের চেকের মাধ্যমে দেওয়ার কথা থাকলেও তা দিতে অনেক গড়িমশি শুরু করেছিল শেষ পর্যন্ত কৃষকদের চাপের মুখে পড়ে দিতে বাধ্য হলেও তা গত সোমবার থেকে খুব হয়রানি করে মাত্র লাখাই ইউয়িনের ১৫ জন কৃষককে দিয়েছেন। এই টাকা গুলোও আতৎসাত করার প্রায়তারা করছিল বলে কৃষকদের অভিযোগ।
লাখাই উপজেলায় কত হেক্টর জমি ও বীজের লক্ষ্য মাত্রা জানতে চাইলে লাখাই উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ আজহার মাহমুদ তথ্য দিতে সময় ক্ষেপন করে এড়িয়ে যান। লাখাই উপজেলাতে আমন জাতের বিআর-২২, বিআর-৩৯,ও বিনা-৭ বীজের তীব্র সংকট সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কৃষকের অভিযোগ, কৃষি কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে কৃত্রিম সংকট তৈরী করে অতিরিক্ত দামে বীজ বিক্রি করছে ডিলারগণ। কিন্তু ডিলাররা বলছেন চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। কৃষকরা দোকানের পর দোকান ঘুরেও কোন ডিলারের কাছে ন্যায মুল্যে পাচ্ছে না আমনের ৩টি জাতের বীজ। সরকারের নির্ধারিত মুল্যে চাহিদা অনুযায়ী এ জাতের বীজ না পেয়ে দিশেহারা কৃষকরা।
এদিকে বিএডিসির সরবরাহকৃত এ ৩টি জাতের বীজ বাজারে না থাকার সুযোগে ডিলাররা বীজের মূল্য বাড়িয়ে বিক্রি করছে। লাখাই উপজেলাতে সরকারী ভাবে উল্লিখিত জাতের বীজ সরবরাহ না করলে অনেক জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তারা সরকারের নিকট দ্রুত বীজ সরবরাহের দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা হাসান হাবিবের সাথে যোগাযোগ করা হলে,তিনি অতিরিক্ত মুল্যে বীজ ধান বিক্রির কথা জিজ্ঞাসা করলে রহস্যজনক কারণে এড়িয়ে যান। বার বার জিজ্ঞাসার পর বিরক্ত স্বরে বলেন, প্যাকেটের গায়ে যে মূল্য দেওয়া আছে সেই দরেই বিক্রি হওয়ার কথা। এর মধ্যে ৯৫% কৃষকের ফলন ভালো হওয়ায় বিআর-২২, বিআর-৩৯,ও বিনা-৭ জাতের বীজ ধানের চাষাবাদ করেন বেশী। কিন্তু বুল্লা বাজারের ডিলার আব্দুর রহমান, কালাউক বাজারের ডিলার সম্পদ দেব ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো ডিলাররা বলেন আমরা বিএডিসি কর্তৃপক্ষ ও লাখাই উপজেলা কৃষি অফিসের চাহিদা অনুযায়ী বীজ সরবরাহ করেছি। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তাদের দেয়া বীজ ধান গত সপ্তাহে বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানান ডিলাররা।
অনেক কৃষক বলেন, বীজ না পেলে অনেকের জমি অনাবাদি থেকে যাবে। পুরো আষাঢ় মাস জুড়ে আমনের বীজতলা তৈরী করে রেখেছেন। কিন্তু বাজারে বিআর-২২, বিআর-৩৯,বিনা-৭,তিন জাতের বীজের চাহিদা রয়েছে। এ তিন জাতের ধানের বীজে ভালো ফলন হওয়ায় এ বীজের প্রতি কৃষকের আগ্রহ বেশী। কৃষকরা অভিযোগ করেন, ডিলার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষ সিন্ডিকেট করে বাজারে বীজের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে অধিক মূল্যে বীজ বিক্রি করছে। অনেক ডিলার বীজ গুদামজাত করে রেখেছে। তাদের চাহিদামত অতিরিক্ত দামে বীজ বিক্রি করছে। ১০ কেজি প্যাকেটের মূল্য ৩৯০ টাকা। নির্ধারিত মূল্য থেকে কেজিতে ১০ টাকা ভূর্তকি পাবে কৃষক। এতে ভূর্তকি বাদে ১০ কেজি প্যাকেটের মুল্য ২৯০টাকা।
লাখাই উপজেলায় ২৯০ টাকার প্যাকেটের এ বীজ বিক্রি করছে ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা পর্যন্ত। করাব গ্রামের কৃষক ভিংরাজ মিয়া ও আসব আলী বলেন, বিআর-২২ জাতের ও বিআর-৩৯ জাতের বীজের জন্য ডিলারের দোকানে খোজ নিচ্ছে গত এক সপ্তাহ যাবত। কিন্তু এখনো বীজ পাইনি। বীজ আদৌ পাব কিনা না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তারা আরো বলেন, দ্রুত বীজ ধানের ব্যবস্থা না করলে অনেক জমি অনাবাদী থেকে যাবে। বামৈ গ্রামের আলা উদ্দিন(ওয়ারিস) বলেন, ছয় বস্তা বিআর-২২ জাতের ধানের বীজের জন্য উপজেলার সকল বীজের দোকানে ঘুরেছি কোথাও পাইনি। শুধু ডিলাররা আশ্বাস দিচ্ছে বিএডিসি কর্তৃপক্ষ বীজ ধান পাঠাবে।
পুর্ব রুহিতনসী গ্রামের সোলেমান মিয়া বলেন, বিআর-২২ ধানের বীজ উপজেলার কোথাও খুঁজে পাওয়া পাচ্ছে না। যা আছে ডিলাররা গোপনে অধিক মুল্যে বিক্রি করছে। লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সার-বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি লুসি কান্ত হাজং বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসে আমাকে জানালো বীজের কোন সংকট নাই আর যদি কেউ কৃত্রিম সংকট করে তার বিরোদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কেউ অধিক দামে বীজ বিক্রি করে ডকুমেন্ট পেলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।