cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণ ফলে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৯৩ পরীক্ষার্থী। সারাদেশে ছয় সহস্রাধিক পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এছাড়াও ফেল থেকে জিপিএ-৫ সহ বিভিন্ন স্তরে জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে। কেউ আবার আবেদন করে পাস থেকে ফেল হয়েছে।
এসব পরিবর্তনের মধ্যে গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে খাতায় বেশি পরিবর্তন হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুন) পুনঃনিরীক্ষণ ফল প্রকাশের পর ১১ শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে সন্তুষ্ট না হয়ে সারাদেশে দুই লাখ ৩৪ হাজার ৪৭১ শিক্ষার্থী চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করে। এ কারণে বিভিন্ন বিষয়ের উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের জন্য মোট চার লাখ ৮১ হাজার ২২২ বিষয়ের ফলে আপত্তি তোলা হয়।
তার মধ্যে ঢাকা বোর্ডে এক লাখ ৪৬ হাজার ২৬০, বরিশালে ২৩ হাজার ৮৫০, চট্টগ্রামে ৫২ হাজার ২৪৬, দিনাজপুরে ৪০ হাজার ৭৫, রাজশাহীতে ৪৪ হাজার ৬১, সিলেটে ২৩ হাজার ৭৯০, কুমিল্লা বোর্ডে ৩৯ হাজার ৩০৩, ময়মনসিংহে ৩১ হাজার ৩৩১, মাদরাসা বোর্ডে ২৮ হাজার ৪৮৪ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১৭ হাজার ৫৩৮টি বিষয়ে খাতা পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করেছে।
এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে আবেদনের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এ বোর্ডে ৫৯ হাজার ৭৯০ আবেদনকারী বিভিন্ন বিষয়ের ফলে আপত্তি জানিয়ে আবেদন করে। আবেদনের পর পুনঃনিরীক্ষণে সবগুলো বোর্ডে ছয় হাজার ২৬৪ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে ৭৯৩ পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড
পুনঃনিরীক্ষণে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছে ১০৫ শিক্ষার্থী। নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯৯ পরীক্ষার্থী। এ বোর্ডে মোট দুই হাজার ২৪৩ পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড
মোট জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে ৩৬৭ জনের, নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫০ জন। ফেল থেকে পাস ৩৫ জন। ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ড
এ বোর্ডের ১৬৫ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ২৩ শিক্ষার্থী। নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০ পরীক্ষার্থী।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড
ফেল থেকে পাস করেছে ৪৭ শিক্ষার্থী। নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৩ জন। উত্তীর্ণ দুই পরীক্ষার্থী আবেদন করে পুনঃপরীক্ষণে ফেল করেছে। মোট ৩৬৪ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড
ফেল থেকে পাস করেছে ৩৪ শিক্ষার্থী। নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪০ জন। পুনঃনিরীক্ষণের ফেল করা তিন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। বোর্ডের ২৫২ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড
চট্টগ্রাম বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছে ৪১ শিক্ষার্থী। নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৩ জন। ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে একজন। আবেদন করে ৬০৯ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ড
ফেল থেকে পাস করেছে ২৫ শিক্ষার্থী। নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন। মোট ১৩৯ পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ড
যশোর ফল পরিবর্তন ১২৩ জন, ফেল থেকে পাস ৪৪ জন এবং নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৫ জন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড
মোট ফল পরিবর্তন হয়েছে ৪৪১ জনের। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬১ জন, ফেল থেকে পাস করেছে ৬২ জনের।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড
কারিগরি বোর্ডে মোট এক হাজার ১৭১ জনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ১২৪ জন ফেল থেকে পাস করেছে। এছাড়া নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ পরীক্ষার্থী।
মাদরাসা বোর্ড
মাদরাসা বোর্ডে জিপিএ পরিবর্তন হয়েছে ৮৭ জনের, মোট ফল পরিবর্তন ২৪৩ জনের, নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩ জন, ফেল থেকে পাস করেছে ১০৫ জন। মোট আবেদনের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৫২২টি আর আবেদনকারীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৭৪৩ জন, জিপিএ পরিবর্তন হলেও ফেল করা দুই শিক্ষার্থীর পুনঃনিরীক্ষণেও ফেল করেছেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, খাতা পুনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সবকটি উত্তরে নম্বর দেয়া হয়েছে কি-না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি-না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে (কম্পিউটারে ফল প্রণয়নে পাঠযোগ্য ফরম) উত্তোলনে ভুল হয়েছে কি-না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট ঠিক আছে কি-না এসব বিষয় পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। পুনঃনিরীক্ষণ ফলে ৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে গণিত ও ইংরেজি বিষয়ের ফল তুলনামূলক বেশি পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি বলেন, পরীক্ষা উত্তরপত্র মূল্যায়নকারী শিক্ষকরা কি কারণে এ ধরনের ভুল করেছেন তার কারণ জানতে চাওয়া হবে। যেসব শিক্ষকের ভুল ধরা পড়ছে তাদের আগামী দুই বছর পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন থেকে বিরত রাখা হবে। কেউ ইচ্ছা করে দায়িত্ব অবহেলা করেছে প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
গত ৩১ মে প্রকাশিত হয় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এবার গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। এ বছর মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮, যা গত বছর পেয়েছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। পরীক্ষার ফলে আপত্তি থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য গত ১ জুন পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়ে ৭ জুন শেষ হয়।