cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortsএমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের দাপটে কাঁপে তার নির্বাচনী এলাকার সরকারি অফিসগুলো। ঠিক তেমনি ঘিওর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসও পুরোপুরি তার নিয়ন্ত্রণে। প্রভাব খাটিয়ে সেখানকার দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছেন নিজের লোককে। তাদের মাধ্যমেই দুর্জয় সেখানে মোটা অংকের চাঁদাবাজি করছেন বলে অভিযোগ আছে।
প্রতিটি দলিল গ্রহণের জন্য মৌজা ভেদে সরকারি ফি নির্ধারণ করা আছে। সপ্তাহে মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার ঘিওরে দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। একেক দিন গড়ে প্রায় ৫০টি দলিল রেজিস্ট্রি হয়। জানা গেছে, প্রতিটি দলিল হওয়ার পর সমিতির নামে তিন শতাধিক টাকা চাঁদা তোলা হয়। আর এ চাঁদাবাজির নেপথ্যে নেতৃত্ব দেন দুর্জয় সিন্ডিকেটের সভাপতি ও সম্পাদক।
দলিল লেখক সমিতিতে নির্বাচন করতে গেলে সরকারি লাইসেন্স থাকতে হয়। কিন্তু ঘিওর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মশিউর ররহমান রশিদের তেমন কোনো লাইসেন্স নেই। দুর্জয়ের বিশ্বস্ত লোক হওয়ার কারণেই প্রভাব খাটিয়ে তাকে সভাপতি করা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রতিটি দলিল রেজিস্ট্রি হওয়ার পর অফিসের দুর্নীতিবাজ কর্মচারীরাও ৫শ টাকা করে চাঁদা দেয়। ফলে দলিলপ্রতি ওই সিন্ডিকেটের হাতে যায় আট শতাধিক টাকা। এর অর্ধেক স্বজনদের মাধ্যমে পেয়ে যান এমপি দুর্জয়, বাকি টাকা নেয় সিন্ডিকেট। সমিতির তহবিলে নামে মাত্র কিছু টাকা জমা দেওয়া হয়। এ নিয়ে সাধারণ দলিল লেখকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক দলিল লেখক এ প্রতিবেদককে বলেন, সমিতির নামে দলিলপ্রতি তিনশ টাকা করে অতিরিক্ত নিচ্ছে। কিছু বলতে সাহস পাই না। কারণ সভাপতি-সম্পাদক দুজনেই এমপির লোক। গত সাত আট মাস আগে ঘিওর দলিল লেখক সমিতির নির্বাচন হয়েছে, যে সভাপতি হয়েছে, তার কোনো ধরনের লাইসেন্স নেই। এমপির প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে তিনি সভাপতি হয়েছেন।
চাঁদা প্রসঙ্গে ঘিওর দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, সভাপতি কোথায় টাকা দেন এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
সভাপতি মশিউর রহমান রশিদ বলেন, দলিল লেখকদের কাছ থেকে যে তিনশ টাকা করে তোলা হয়, তার সবই ব্যয় করা হয় দলিল লেখকদের জন্য।
সরকারি সনদ না থাকলেও আপনি কীভাবে সভাপতি হলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি করেছি। এখন উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক। তার চেয়ে বড় হলো এমপি সাহেব আমাকে ব্যক্তিগতভাবে খুবই পছন্দ করেন। আর সে কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।
দলিলপ্রতি সংসদ সদস্য দুর্জয় কিংবা তার স্বজনদের কত টাকা দিতে হয়- এমন প্রশ্ন করার পর তিনি ফোন কেটে দেন। পরে কল দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।সূত্র: বাংলানিউজ