cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের নানা অব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। দেশে ফিরতে দুই দিন ধরে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাস্তায় রাত কাটানোর পর হঠাৎ করে সহস্রাধিক বাংলাদেশিকে ছেড়ে দেয় পেট্রাপোল চেকপোস্ট। এর ফলে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে শারীরিক পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় বাড়ি ফিরতে পারছেন না তারা। এ ছাড়া ভারতে এখনো আটকে আছে হাজারের বেশি যাত্রী।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আটকে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের এমন অবস্থার কথা জানা গেছে।
তবে বেনাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা দুই দিন ধরে ভারত অংশে দাঁড়িয়েছিল। তবে তারা রাত জেগে কাজ করছেন, যাত্রীদের ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য।
জানা যায়, ভারতে লকডাউনে আটকা পড়েন বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণে যাওয়া কয়েক হাজার বাংলাদেশি। ইচ্ছে থাকলেও লকডাউনের কড়াকড়ির কারণে তারা অনেকে এতদিন ফিরতে পারেননি। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে চলে আসায় তারা দূর-দূরান্ত থেকে কেউ যানবাহনে আবার কেউ পায়ে হেঁটে চেকপোস্টে আসেন।
কিন্তু ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনের কাজের ধীরগতি ও নানান টালবাহনায় এসব যাত্রীরা দুই দিন ধরে খেয়ে না খেয়ে রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাস্তার ওপর রাত কাটিয়েছেন। হঠাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সব যাত্রীকে এক সঙ্গে ছেড়ে দেয়। এতে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় তারা আটকা পড়েছেন।
এদিকে ইমিগ্রেশন ভবনে সংকীর্ণ জায়াগায় ভারত ফেরত এসব যাত্রীদের মধ্যে কোনো সামাজিক দূরত্ব ছিল না। এর ফলে বড় ধরনের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।
ভারত ফেরত পাসপোর্টধারী যাত্রী শেফালী ও জয়ন্তী রানী বলেন, দুই দিন পর বাংলাদেশে ঢুকতে পারলেও তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। ইচ্ছে করেই ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের দাঁড় করিয়ে রাখে। এ সময় তারা না খেয়ে রাস্তায় রাত কাটায়। কেউ তাদের খবর নেয়নি।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার সুবাশিস জানান, ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এসব যাত্রীদের একসঙ্গে সবাইকে ছেড়ে দেওয়ায় ভিড় বেড়ে নানান অসুবিধা হচ্ছে। এত যাত্রীর চাপ কোনোভাবে তাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শেষ করতে রাত জেগে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ফেরত আসা যাত্রীরা আপাতত ইমিগ্রেশন ভবনে অপেক্ষা করছেন। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে তাদের শারিরীক পরীক্ষা ও পাসপোর্টের কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ৮০০ যাত্রীর পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। বাকিদের কাজ চলছে। তবে যাদের কাজ শেষ হয়েছে লকডাউনের কারণে যানবাহন বন্ধ থাকায় তারা ঘরে ফিরতে পারছেন না।