cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া এলাকার দুস্থ মানুষের জন্য ত্রাণের তালিকা তৈরিসহ নিজ উদ্যোগে শতাধিক লোকের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের তোপের মুখে পড়েছেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার মাশিকাড়া গ্রামের মো. আশেকে এলাহী নামে এক যুবক। তিনি ওই গ্রামের মৃত আবুল কাসেমের ছেলে।
স্থানীয় ১০ নং (দক্ষিণ) গুনাইঘর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম খান চারজন চৌকিদার পাঠিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে মারধরসহ প্রায় চার ঘণ্টা আটকে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই যুবক। শনিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ওই যুবককে চেয়ারম্যানের কক্ষে ডেকে নিয়ে হুমকি ও কক্ষে আটকে রাখার ভিডিও এবং পরে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ফেসবুক লাইভে ভুক্তভোগীর পুরো ঘটনা বর্ণনার কয়েকটি ভিডিও এরই মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে। তবে চেয়ারম্যান বলছেন- সবই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
ভুক্তভোগী আশেকে এলাহী জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে স্থানীয় ১১০ জনকে কিছু ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছেন। এরপর স্থানীয় আরও অনেকে তার নিকট ত্রাণের জন্য আসলে তাদের ত্রাণ দিতে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম খাঁনকে অনুরোধ জানিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়া ৫৯ জনের একটি তালিকা দেন।। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে যান। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান তাকে বলেন- তুমি কি চেয়ারম্যান হবা নাকি, এমপি হবা নাকি। তোমার এতো দরদ ক্যান। পরে এ নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করার অভিযোগ এনে শনিবার চার চৌকিদার দিয়ে তাকে তুলে নিতে চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম নির্দেশ দেন।
এলাহী বলেন, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে চেয়ারম্যান আমার বাসায় চারজন চৌকিদার পাঠানোয় আমি বাড়ি থেকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যাই। সেখানে যাওয়ার পর প্রথমে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। পরে আমাকে আটকে রেখে তিন দফায় মারধর করেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় এবং ফেসবুকে চেয়ারম্যানের পক্ষে ভিডিও বার্তা দেয়ার পর বিকেল ৪টার দিকে আমাকে সেখান থেকে ছেড়ে দেয়া হয় এবং বাড়াবাড়ি করলে জামায়াত-শিবির বানিয়ে মামলায় জড়ানো হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়।
রাতে মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম খাঁন বলেন, সরকাকিভাবে সব মানুষকে ত্রাণ দেয়া সম্ভব নয়। যারা ন্যায্য ও বিধি মোতাবেক প্রাপ্য তাদের ত্রাণ দেয়া হবে। কিন্তু সে (এলাহী) ত্রাণ নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে নানা অপপ্রচার চালানোর কারণে শনিবার দুপুরে অফিসে ডেকে এনে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। তাকে আটকের বিষয়টি মিথ্যা। তার (এলাহী) করা তালিকার প্রায় অর্ধেক নাম পরিষদের তালিকায়ও রয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন ধরনের ভাতা পান বলে তাদের নাম তালিকায় রাখা হয়নি। কারণ সরকারিভাবে আমাদেরকে বলা আছে- যারা বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা পায় তারা করোনাভাইরাসের কারণে বরাদ্দকৃত সরকারি চাল পাবে না।
তিনি আরও বলেন সে (এলাহী) এক বাড়ি থেকে অনেক লোকের নাম দিয়েছে, সবাইকে ত্রাণ দেয়া কি সম্ভব?
ওই যুবককে মারধরের বিষয়ে দেবিদ্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। সূত্র : জাগো নিউজ