cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
দেশে যখন করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুরক্ষা এবং তাদের আর্থিক বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, ঠিক তখনই এর বিপরীত চট্টগ্রামের খুলশীর বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল (বিবিএমএইচ)।
চট্টগ্রামের বেসরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি তার নার্স, ক্লিনার ও আয়াসহ মোট ৩৪ জন কর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, নার্সরা মাধ্যমিক পাস নয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় নার্সদের ডিগ্রি না থাকায় তাদের অব্যাহতি দিয়েছে।
চট্টগ্রামের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ইউএসটিসি) অধীনে ছিল বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল। পরে ইউএসটিসি আলাদা করা হয়। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক প্রয়াত ডা. নুরুল ইসলাম।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল ১৯ জন নার্স এবং ১৫ জন আয়া ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এক মাসের সময় দিয়ে নোটিশ বোর্ডে চাকরির অব্যাহতির বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রতিষ্ঠানটি যা আগামী ৫ মে থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।
এদিকে চাকরিচ্যুত হওয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা দীর্ঘসময় ধরে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত। দেশের এমন পরিস্থিতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন আচরণে হতবাক সবাই।
চাকরিচ্যুত এক নার্স বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর কাজ করছি। সকালে এসে নোটিশে দেখি আমাদের চাকরি নেই। ছয় সদস্যের পরিবার চলে আমার আর স্বামীর উপার্জনে। ছেলে-মেয়ে কলেজে পড়ে।
তিনি বলেন, এই সময়ে চাকরি কেড়ে নেওয়া অমানবিক আচরণ। এদের বিরুদ্ধে দেশের সবাই সোচ্চার হোক, যাতে এমন কাজ কেউ করার দুঃসাহস না পায়।
ইউএসটিসি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মানিক মিয়া বলেন, অযৌক্তিক কারণে অব্যাহতি দিয়েছে। তারা যা ইচ্ছে করছে। মোট ৩৪ জনের চাকরি কেড়ে নিয়েছে। এই ৩৪ জনের সঙ্গে ৩৪টি পরিবার জড়িত। কত শত মানুষ এই সময়ে কষ্টে পড়বে।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ওই নোটিশে যাদের নাম আছে সবার বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বিবিএমএইচর পরিচালক (প্রশাসন) ডা. কামরুল হাসান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা রয়েছে নার্সিং ডিপ্লোমা ছাড়া কেউ স্বাস্থ্য সেবা দিতে পারবে না। অব্যাহতি দেওয়া নার্সদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও নেই। তারা পদোন্নতি পেয়ে নার্স হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এখন হাসপাতালে রোগী কম, তাই আয় নেই। তাছাড়া ক্লিনার এবং আয়াদের বয়স হয়েছে তাই তাদেরও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাদের পাওনাও বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ইউএসটিসি কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সোলায়মান বলেন, সরকারি নির্দেশনা তো ডিপ্লোমাধারী নার্স নিয়োগ দিতে বলেছে। কারও চাকরি কেড়ে নিতে নির্দেশনা দেয়নি।
তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক, পুলিশ-র্যাব, মন্ত্রী, মেয়র সবাইকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। আমরা শনিবার বৈঠক করব এ বিষয়ে। সুরাহা না হলে আন্দোলন যাব। তারা সব সময় বিভিন্ন অজুহাতে চাকরিচ্যুত করে আসছে।সূত্র : দেশ রূপান্তর