cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বৃহত্তর সিলেটের প্রথম সারির মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ও সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম আর নেই। শনিবার ভোরে আমেরিকার স্থানীয় একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি—রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ৪ মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রোববার সকাল ৭টায় সিরাজুল ইসলামের ছেলে আনিসুল ইসলাম তাঁর বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাবা দীর্ঘদিন থেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। গতরাত সাড়ে এগোরাটায় আমার সাথে ফোনে কথা হয়েছে। গত রাতে হঠাৎ অসুস্থবোধ করে মাটিতে পড়ে যান। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, বাবার জানাজার সময় এখনো নির্ধারণ হয়নি। লাশ দেশে আনার চেষ্টা চলছে।
মহান মুক্তিযোদ্ধে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের অবদান ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। তিনি ছিলেন একজন সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা। বৃহত্তর সিলেটের প্রথম সারির একজন মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক। তাঁর ছিল বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বৃহত্তর সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। অত্যন্ত স্বজ্জন, পরিচ্ছন্ন রাজনীতির ধারক ও বাহক, তৃণমুলের সর্বস্থরের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের অত্যন্ত আপনজন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রানিত মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পার্লামেন্ট ইলেকশনে মৌলভীবাজার-৪(বড়লেখা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে তিনি দ্বিতীয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বড়লেখায় তিনি পুলিশের হাতে গুলিবিদ্ধ হন। ১৯৮৮ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নানা কারণে রাজনীতিতে তিনি নিষ্ক্রীয় হয়ে পড়েন। অভিমানী মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ও সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম প্রায় ১৫ বছর ধরে ইউরোপ ও আমেরিকায় নিভৃতচারী জীবন বেঁচে নেন। সর্বশেষ তিনি গত ডিসেম্বর মাসে বড়লেখায় ঘুরে গেছেন।
এদিকে বীর মুক্তিযাদ্ধা সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুতে তাৎক্ষিণকভাবে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বড়লেখা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন, লন্ডন ইউকে-বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ স¤পাদক মুনেজর আহমদ চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আবদুল কাদের তাপাদার, বড়লেখা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।
বিকৃতি দাতা বলেন, সিরাজুল ইসলামের মতো জনঘনিষ্ট রাজনীতিবদ বড়েলখা তথা সিলেটের মাটিত আর জন্ম নেবন না। তিন আক্ষিরক অর্থেই একজন হাকালুকি পারের মাটি ও মানুষের জনেনতা ছিলন। তিনি তার সন্তানদের জন্য আর্থিক স¤পদ না রেখে গেলেও ব্যক্তি সিরাজুল ইসলাম বড়েলখার রাজনীতির একিট প্রতিষ্ঠান। তাঁর অসংখ্য রাজনৈতিক শিষ্য দেশে-বিদেশে জাতীয়ভাবে প্রতিষ্ঠত। ইতিহাস একিদন তাঁকে যথার্থ মূল্যায়ন করেব। বিনয়ী, বিচক্ষন, বাগ্মী এ নেতাকে বড়লেখার মানুষ বহুকাল ভুলবে না।