cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) আবাসিক হলের একটি কক্ষে আটকে রেখে এক শিক্ষার্থীকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাদের বহিষ্কার করা হয়। সাময়িক বহিষ্কার হওয়া দুই ছাত্র হলেন- বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের তাহমিদ জামান নাভিদ এবং ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আল সামাদ শান্ত।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। তবে নাভিদ ও শান্ত নিজেদের ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতেন বলে ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম। অন্য দুই সদস্য হলেন- শেরেবাংলা হলের আবাসিক শিক্ষক সাদমান শাকিব বিন রহমান এবং সহকারী প্রক্টর সুপ্রভাত হালদার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস দুই ছাত্রকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ জালাল ওই দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে শাহ জালালকে ডেকে ১০০১ নম্বর কক্ষে নেয়া হয়। সেখানে হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপাচার্য তার বিশেষ ক্ষমতাবলে ওই দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছেন। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আর সিন্ডিকেট এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস আরও জানান, এছাড়া শেরেবাংলা হলের আবাসিক শিক্ষক ইয়াসিফ আহমদ ফয়সালকে আহ্বায়ক এবং একই হলের আবাসিক শিক্ষক মো. সোহেল রানা ও মো. সাইফুল ইসলামকে সদস্য করে আরও একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। এই কমিটিকেও পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার শাহ জালাল জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি হলের ৪০১৬ নম্বর কক্ষে ছিলেন। এ সময় ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী শান্ত তাকে জরুরি কথা শোনার জন্য ১০০১ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়। কক্ষে ঢোকার পর দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর হাত-পা ও মুখ বেঁধে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
ওই কক্ষে তখন কমপক্ষে ৮ জন শিক্ষার্থী ছিল। একপর্যায়ে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে ৪০১৪ নম্বর কক্ষে আশ্রয় নেন শাহ জালাল। হামলাকারীরা সেখানে গিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যেতে যায়। তবে ওই কক্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা বাধা দিলে হামলাকারীরা চলে যায়।
শাহ জালাল আরও জানান, এর আগে বিকেলে বাংলা বিভাগের নাভিদ ও অর্থনীতি বিভাগের মোহাম্মদ সাইদের মধ্যে হলের কক্ষ পরিবর্তন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সাইদ গ্রুপের চারজন আহত হয়। ওই ঘটনার জের ধরে রাতে সাইদের সহোযোগীরা তার ওপর নির্যাতন চালায়।
এদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবেিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ২৮ ফেব্রুয়ারি