cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
সিলেট বন বিভাগের অধীনে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি বনরেঞ্জের কামারছড়া বনবিটের সংরক্ষিত বনের টিলায় টিলায় চলছে বৃক্ষ নিধন। অসাধু বন কর্মকর্তার যোগসাজসে প্রতিদিন এ বনে বৃক্ষ নিধন হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শনিবার সরেজমিনে বনের ভেতরে সেগুন, আকাশমণি সহ অসংখ্য গাছের মোথা পড়ে থাকতে দেখা যায়। বন থেকে পাচার হওয়া এসব গাছের মোথা (গুড়াগুলো) সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। একই সঙ্গে সাবার হচ্ছে সামাজিক বনায়নের মূল্যবান বৃক্ষগুলো।
কামারছড়া বনবিটের সংরক্ষিত বন ও সামাজিক বনায়ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সীমান্ত ঘেষা দূর্গম এলাকার এ বনের টিলায় টিলায় প্রকাশ্য দিবালোকে বড় বড় গাছগুলো কেটে পাচার করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এ বনের গাছ কেটে পাচার করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান। এছাড়া বনের কালিছালিসহ বিশাল এলাকায় সৃজনকৃত সামাজিক বনায়নের গাছগাছালি কেটে ফেলেছে বৃক্ষ ধ্বংসকারীরা। তারা বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাথে হাত মিলিয়ে বনের মুল্যবান বৃক্ষগুলো কেটে পাচার করেছে বলে জানা গেছে। কালিছালি এলাকা থেকে আকাশি, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেওয়ায় টিলাগুলো বৃক্ষশুন্য হয়ে পড়ছে। সংরক্ষিত বনের পাশাপাশি সামাজিক বনায়নে গাছ পাচার অব্যাহত থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই পুরো এলাকা বৃক্ষশুন্য হয়ে পড়বে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা আশংকা করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, কামারছড়া বনবিট কর্মকর্তার জ্ঞাতসারেই বন দেখভালের দায়িত্বে যারা আছে তারাই এসব গাছ কেটে পাচার করছে। দূর্গম বনে টিলা থাকার সুবাধে প্রকাশ্যে দিবালোকে নির্বিঘ্নে তারা গাছ কেটে পাচার করছে। কাঠপাচারকারী স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র বনের বড় বড় গাছ কেটে নিশ্চিহ্ন করেছে। এখন তারা ছোট গাছগুলোও কেটে ধ্বংস করছে। গাছ পাচারের বিষয়ে বন বিট অফিসারকে জানিয়ে কোনো কাজ হয় না। উল্টো তারা হয়রানীর শিকার হন। এ ভয়ে এখন কেউ প্রতিবাদ বা কথা বলতে রাজি হন না।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কামারছড়া বনবিট কর্মকর্তা মীর বজলুর রহমান বলেন, বনে বর্তমানে কোনো গাছ কাটা হচ্ছে না। আগের দু’একটি গাছ কাটা থাকতে পারে। এসব বিষয়ে মামলাও রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে বিট কর্মকর্তা বলেন, সামাজিক বনের গাছ কাটার বিষয়টি তার জানা নেই। গাছগুলো সদ্য কাটা ও তাতে নেই কোনো সীজ হেমার, এমন প্রশ্নের কোন উত্তর মিলেনি বিট কর্মকর্তার কাছে।
এ বিষয়ে রাজকান্দি বন রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, কামারছড়া সামাজিক বন এলাকায় ইতিপূর্বে যে কয়েকটি গাছ কাটা হয়েছে সে বিষয়ে মামলা হয়েছে। কাঠ পাচারে বনবিট কর্মকর্তা জড়িত থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সংশ্লিষ্ট কেউ কাঠ পাচারে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।