cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
শ্রীমঙ্গল সংবাদদাতা ::
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গত ১৩ জানুয়ারি ফিনলে চা কোম্পানী মালিকাধীন ভুড়ভুরিয়া চা বাগানের ভিতরে গাছের সাথে বাঁধা অবস্থায় শ্রীঙ্গল ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্র মো. ইব্রাহিম মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় তারা।
এই হত্যাকান্ডে দুজনকে গ্রেফতার করলেও ইব্রাহিমের পরিবারের দাবী তাদের ছেলেকে শুধু দুজনই কাবু করে মেরে ফেলতে পারে না। এই হত্যাকান্ডের সাথে আরও কয়েকজন জড়িত ছিলো। তাদের সকলকে গ্রেফতার করে আইনের আওয়াতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট তার বাবা মো. দুলাল মিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে জোড় দাবী জানান।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবে নিহত ইব্রাহীম মিয়া রকির বাবা এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তার মা ও বাবা কান্নায় কাতর হয়ে একমাত্র ছেলের বিচার চেয়ে সংবাদিক ও প্রশাসনের নিকট ছেলে হত্যার সঠিক বিচায় চান এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যদেরকেও গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মো. দুলাল মিয়া বক্তব্যে বলেন, গত ১৩.০১.২০২০ ইং তারিখ রোজ সোমবার আমার বড় ছেলে শ্রীঙ্গল ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনীর ছাত্র মো. ইব্রাহিম মিয়া রকি নিখোজঁ হয়। পর দিন সকাল ১০ ঘটিকায় বধ্যভূমি সংলগ্ন ফিনলে চা কোম্পানী মালিকাধীন ভুড়ভুরিয়া চা বাগানের ভিতরে গাছের সাথে বাঁধা অবস্থায় আমি ও এলাকাবাসী আমার ছেলের মৃতদেহ দেখতে পাই। পরবর্তীতে শ্রীমঙ্গল থানার আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলেকে শুধু দুইজনই হত্যা করেছে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এর সাথে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে তা আমি দৃঢ় বিশ্বাস করি। ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টায় যখন আমার ছেলে বাসা থেকে বাহির হয় আমি তাকে মোবাইলে ফোনে কল করলে সে আমাকে বলে শহরের আফতাব উদ্দিন সড়কে রহমান মিয়ার দোকানের সামনে আছে। তখন আমি সেখানে গিয়ে দেখি আমার ছেলেসহ ৩টি মোটর সাইকেলে তার বন্ধু ৬-৭জন দাঁড়িয়ে আছে। তারা হলেন ১) সজিব, পিতা: মো. জালাল (ড্রাইভার), সাং: গাং পাড় ২) রিফাত রনি, পিতা: মো. সেলিম (ড্রাইভার), সাং: গাংপাড়, ৩) অন্তর, পিতা: গোলাম হোসেন (ড্রাইভার), সাং: গাং পাড়. ৪) রনি (যাত্রা বেটির ছেলে ৫) সাব্বির, পিতা: মো. জামাল (ড্রাইভার), সাং: গাং পাড়, ৬) সাব্বির, পিতা: আবুল মিয়া, সাং: খাসগাঁও, ৭) ফয়সল, পিতা: মখলেছ মিয়া, সাং: খাসগাঁও তাদেরকে আমি আমার ছেলের সাথে দেখতে পাই। আমি তখন আমার ছেলেকে গরু কিনার জন্য তার মায়ের নিকট থেকে ২৫ হাজার টাকা আনতে বাসায় যাওয়ার জন্য বলি। কিছুক্ষন পর কালিঘাট রোডস্থ দুলালের ফ্লেক্সিলোডের দোকানের সামনে সে আমাকে বাসা থেকে টাকা এনে দিলে ২০ হাজার টাকা রেখে আমি ৫হাজার টাকা তার কাছে দিয়ে বাসায় যাওয়ার জন্য বলি। সে তখন আমাকে বলে আমি একটু রেলগেইট পেড়া ভান্ডার মিষ্টির দোকানে যাবো এর পরে বাসায় চলে যাবো বাবা। আমি তখন তাকে বলি তারাতারি বাসায় চলে আসবে।
সেখানে আমি কিছু সময় দরকারী কাজ সেড়ে স্টেশন রোডের দিকে আমি যখন টাকা নিয়ে যাবার পথে তখন শাহজালাল হোটেলের সামনে ঐ তিনটি মোটরসাইকেলে তার উল্লেখিত বন্ধুরা আমাকে অনুসরন করে। আমি তখন কিছু বুঝতে পারি নাই।
এর পর আনুমানিক রাত ৮টায় আমার স্ত্রী ছেলেকে মোবাইলে ফোন করলে সে বলে ভানুগাছ রোডস্থ খাদ্য গোদামের সামনে আছি মা, বাসায় আসতে ২মি. লাগবে। এর ১০মি. পর আমি তাকে আবার ফোন দিলে একবার ফোন রিং হয় কোন রিসিভ করা হয়নি। ঠিক পর পরই আমি তাকে আবার ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাই। এর পর সারা রাত আমিসহ আত্নীয়স্বজনেরা বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখোঁজি করি। এবং শ্রীমঙ্গল থানায়ও অবগত করি। পরদিন সকালে শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করানো হয়।
যখন আমি রাতের বেলা আমার ছেলেকে খোঁজাখোঁজি করি তখন ভানুগাছ রোডস্থ হিলভিউ রেস্ট হাউজের সামনে ঐ ৩টি মোটরসাইকেলের মধ্যে একটি সাইকেলে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় ২জনকে দেখতে পাই। এর পিছনে টমটম গাড়িতে আরও ২জন বসা ছিলো। এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস জাগে শুধুমাত্রই দুইজনই আমার ছেলেকে হত্যা করতে পারে না। কেননা যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে তাদের চেয়ে আমার ছেলে অনেক শক্তিশালী ছিলো। এদুজনই এতো সহজে আমার ছেলেকে কাবু করে তাকে হত্যা করতে পারেনা। এই হত্যাকান্ডের পূর্ব মুহুর্তে আমি স্বচক্ষে তার বন্ধুদের দেখেছি। উপরে উল্লেখিত তার সকল বন্ধুরা পূর্ব পরিকল্পনা করে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
ঘটনার প্রায় দেড় মাস পূর্বে আমার ছেলের সাথে উপরে উল্লেখিত তার বন্ধুদের সাথে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হলে আমি তাদের বাসায় গিয়ে তা সমাধান করে তাদের এক সাথে মিলিয়ে দেই। এর ১৫ দিন গাং পাড় গোলাম হোসেনের বাসার সামনের দোকানের সামনে আমার ছেলেকে রনি, রিফাত রনিসহ কয়েকজন মারধর করার জন্য পথ আটকায়। তখন আমার ছেলে আমাকে ফোন করলে আমি সেখানে দৌঁড়ে যাই এবং তাদেরকে ধমক দিয়ে আমার ছেলেকে বাসায় নিয়ে আসি। পরে আমার ছেলেকে তাদের সাথে আবার মিলিয়ে দেই।
দুলাল মিয়া আরও বলেন, আমার ছেলের হত্যাকান্ডের বিষয়ে যে দুজন স্বীকারোক্তি দিয়েছে তাদেরকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার অন্যান্য যে বন্ধুরা রয়েছে তাদেরকে আটক করলে ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটন হবে। আমি আমার একমাত্র ছেলের নির্মম হত্যাকান্ডের ন্যায় বিচার চাই এবং অন্যান্য অপরাধীরা বিচারের আওয়াতায় আসুক সেই দাবী শ্রীমঙ্গল পুলিশ প্রশাসন, মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার, সিলেট ডিআইজি মহোদয়ের নিকট জোড় দাবী জানাচ্ছি।