সর্বশেষ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

ভ’য়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন চীন থেকে আসা বাংলাদেশিরা

চীনের উহানে আ’ট’কা পড়া ৩১৪ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে শনিবার দুপুর ১২টায় একটি বিশেষ বিমান ঢাকার হযরত শাহ’জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তাদের ১৪ দিন রাজধানীর আশকোনা হ’জ ক্যাম্পে রাখা হবে।

এদিকে দেশে ফিরতে পেরে আনন্দ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে চীনের পরিস্থিতির ভ‘‘য়াবহতা তুলে ধরেন চীন ফেরত বাংলাদেশিরা।

চার বছর ধরে গণচীনে বসবাসরত মৌলভীবাজারের রাজনগরের মনসুরনগর ইউপির চেয়ারম্যান মিলন বখতের মে’য়ে আকলিমা বখত আন্নি করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ভ’য়াবহ অ’ভিজ্ঞতা নিয়ে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেন।

চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লিওনিং প্রদেশের একটি মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করেন আন্নি। তিনি জানান, তার যাত্রা বড়ই বিড়ম্বনার, ক’ষ্টের ছিল।

৩০ ঘণ্টা পথেই কাটিয়েছেন তিনি। পথে ভাইরাস আতঙ্কে অন্তত ৬ দফা তার চেকিং হয়েছে।

আন্নির মতে, রেলস্টেশন, বিমানবন্দর তো বটেই, কফি শপেও তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। জ্বর-কাশি নেই এমনটি নিশ্চিত হওয়ার পরই বেইজিং এয়ারপোর্টের স্টারবাকস কফি শপ থেকে এক কাপ কফি কিনতে পেরেছেন।

আন্নি বলেন, বুধবার ভোরে তিনি চীনের লিওনিং প্রদেশের জিনঝু শহর থেকে রওনা দেন। বেইজিংগামী বাস বন্ধ থাকায় তিনি ট্রেন ধরেন। প্রায় সাত ঘণ্টায় রাজধানীতে পৌঁছান। সেখান

থেকে কুয়ালালামপুরগামী বিমানে ওঠেন। রাতের ফ্লাইটে মালয়েশিয়ায় পৌঁছার পর প্রায় চার

ঘণ্টা ট্রানজিট লাউঞ্জে অ’পেক্ষা করতে হয়। মধ্যরাতে ঢাকাগামী ফ্লাইট পান। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ঢাকায় পৌঁছান।

প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় আন্নি বলেন, করোনা ভাইরাস আ‘তঙ্কে অসময়ে দেশে ফিরতে হয়েছে

তাকে। কিন্তু যাত্রাটা বড়ই ক’ষ্টের হয়েছে। তারপরও সান্তনা, তিনি পূর্ণ সুস্থতার সঙ্গে বাবা-

মায়ের কোলে ফিরতে পেরেছেন। কেবল আন্নিই নন, তার মতো আরো অনেকে ভ’য়াবহ অ’ভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরছেন।

তিনি বলেন, এই ক’দিনে অনেকে দেশে ফিরেছে নিজ উদ্যোগে। দেশে থাকা স্বজনদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাই তাদের ফিরিয়ে এনেছে। যদিও তারা চীনের যেসব এলাকায় ছিলেন সেখানে

এখনো ভাইরাসটি ততোটা আ‘‘ঘাত করেনি। পুরো প্রদেশে এ পর্যন্ত চারজন আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে চীনের জিজিয়াং প্রদেশের হোজোউ শহরের অবস্থানরত হোজোউ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স ১ম পর্বের শিক্ষার্থী সিলেটের মে’য়ে শবনম জেবি বলেন, হোজেউতে করোনাভাইরাসে

খুব বেশি আক্রান্ত নেই। এখন পর্যন্ত ছয়জন আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা যাতে না বাড়ে সে জন্য এ সিটিকে লক করে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার তাদের রুমের দরজা-জানালা খোলা ও বিশ্ববিদ্যালয় আঙিনায় হাঁটাহাঁটির জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে মুখে মাস্ক ব্যবহার ও সতর্কতা মেনে চলতে বলা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: