cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
বড়লেখা উপজেলার দৌলতপুর ইটাউরী এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই বিএসএস ব্রিক ফিল্ড তৈরি করছে ইট। আর এ অবৈধ ইটের ভাটায় প্রকাশ্যে পুড়ানো হচ্ছে বনাঞ্চল উজাড় করে সংগৃহীত কাঠ। কাঠ পুড়ানোর বিষাক্ত ধোয়া আর ধুলোবালিতে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটলেও এগুলো যেন দেখার কেউ নেই।
পরিবেশ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলায় মোট ১৩টি নিবন্ধিত ব্রিক ফিল্ড রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি আধুনিক প্রযুক্তির এবং ৩টি সনাতন পদ্ধতির। ২০১৪ সালে সরকার সকল সনাতন পদ্ধতির ব্রিক ফিল্ডকে আধুনিক প্রযুক্তিতে রূপান্তরিত করার নির্দেশ প্রদান করে। ১০ টি আধুনিক পদ্ধতির ব্রিক ফিল্ডের মধ্যে পরিবেশগত কারণে ষাটমা ব্রিক ফিল্ডের ছাড়পত্র বাতিল করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। ছাড়পত্র বাতিল ঘোষণা করলেও পরিবেশ অধিদপ্তরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইট তৈরি করছে ষাটমা ব্রিক মালিক পক্ষ। প্রায় ৬ বছর ধরে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করে সনাতন পদ্ধতিতে ইট পুড়াচ্ছে সুজানগর ইউনিয়নের ভোলারকান্দি গ্রামে নজরুল ব্রিক ও জগডুবায় এনএমএস ব্রিক ফিল্ড। নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর ইটাউরী এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই গত ৬-৭ বছর ধরে অবৈধভাবে ইট পুড়াচ্ছে বিএসএস (বন্ধন সমবায় সমিতি) নামক ব্রিক ফিল্ড। এ ব্রিক ফিল্ডে শুধু অবৈধভাবে ইট তৈরিই হচ্ছে না, ইট তৈরিতে অবৈধভাবে বনাঞ্চল উজাড় করে সংগৃহীত কাঠও পুড়ানো হচ্ছে অনেকটা প্রকাশ্যে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দৌলতপুর-শাহবাজপুর সওজ রাস্তার দক্ষিণ পাশ সংলগ্ন বিএসএস ব্রিক ফিল্ডে ইট তৈরি হচ্ছে। এ ব্রিক ফিল্ডের অদুরে রয়েছে ইউনুছ মিয়া মেমোরিয়েল উচ্চ বিদ্যালয়, পরগনাহী দৌলতপুর আলিম মাদ্রাসা, ইটাউরী মহিলা আলিম মাদ্রাসা, কবিরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ একাধিক মসজিদ ও বাজার। ইটভাটা সংলগ্ন সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী যাতায়াত করেন। ট্রাক-ট্রাক্টরে এ ব্রিক ফিল্ডের মাটি পরিবহন করায় উপচেপড়া মাটি রাস্তায় পড়ে এলাকা ধুলিময় ও কাঠ পুড়ানোয় ধোয়াময় হয়ে মারাত্মক বায়ু দুষণ হচ্ছে। অবৈধভাবে ইট তৈরি ও কাঠ পুড়ানোর কারণে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে প্রতিদিন মারাত্মক দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
বিএসএস ব্রিক ফিল্ডের ম্যানেজার আব্দুল আহাদ জানান, তাদের ব্রিক ফিল্ডের পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে। ইট ভাটায় কাঠ পুড়ানো অবৈধ স্বীকার করে জানান, সকল ফিল্ড মালিকই প্রথম দিকে কিছু না কিছু কাঠ পুড়িয়ে থাকেন। তিনিও সামান্য কাঠ রেখেছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর (মৌলভীবাজার) জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা জানান, সনাতন পদ্ধতি পরিবর্তন না করায় বিএসএস ব্রিক ফিল্ডকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। অবৈধভাবে ইট ও কাঠ পুড়ানোর ব্যাপারে সরেজমিনে অভিযান চালিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।