সর্বশেষ আপডেট : ৯ ঘন্টা আগে
বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ২০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

বড়লেখায় চার খুন ও এক আত্মহত্যার ঘটনায় বেচে যাওয়া কানন বালার চিকিৎসায় অবহেলা

আব্দুর রব, বড়লেখা:

মৌলভীবাজারের বড়লেখার পাল্লাথল চা বাগানে স্ত্রী শাশুড়ীসহ ৪ জনকে কুপিয়ে হত্যার পর ঘাতকের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত কানন বালার জ্ঞান ফিরেছে ঘটনার ৫৫ ঘন্টা পর মঙ্গলবার দুপুরে। ভর্তির ৩ দিনেও ভাগ্যে জুটেনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি বেড। মাথা চোখসহ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত নিষ্প্রাণ শরীর নিয়ে হাসপাতালের ফ্লোরেই মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ভাগ্যক্রমে বেঁচে থাকা চা শ্রমিক ওই নারী। মঙ্গলবার রাতে ওসমানীতে সরেজমিনে স্বামী, সন্তান, শাশুড়ী ও ননদ হারানো কানন বালার চিকিৎসায় অবহেলার চিত্র লক্ষ করা গেছে। তাকে একনজরেও দেখতে যায়নি বাগান কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কেউ কিংবা কোন জনপ্রতিনিধি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের মহিলা সার্জারী ৬ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে কানন বালাকে ফ্লোরে শোয়ানো চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখা যায়। হাসপাতালের চাদরে যেন লেপ্টে আছে কানন বালার শীর্ণকায় ক্লীষ্ট শরীর। আঘাতের ব্যথায় ছটফট করছেন তিনি। কয়েকবার ডাকার পর তিনি হাত-পা নড়াচড়া করেন এবং চোখ তুলে তাকানোর চেষ্টা করেন। তার ডান চোখে আঘাত থাকায় চোখ মেলতে পারেননি। এসময় কথা বলার চেষ্টা করলেও কথা বলতে পারেননি। হাসপাতালে তার সাথে রয়েছেন এক প্রতিবেশী নারী ও পাল্লাথল চা বাগানের ডিসপেনসারীতে কর্মরত কম্পাউন্ডার অঞ্জন বীর। তিনি অভিযোগ করেন হাসপাতালের একটি বেডের জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। ঘটনার প্রায় ৫৫ ঘন্টা পর কানন বালার জ্ঞান ফিরেছে। চাঞ্চল্যকর সিরিজ মার্ডারের কবল থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া গুরুতর আহত ওই নারীর চিকিৎসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নেই কোন গুরুত্ব। আহত কানন বালার জ্ঞান ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক।
ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কানন বালা নিউরো সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. রাশেদুন্নবী খানের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি জানান, কানন বালার মাথা, চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো স্টেপ ইনজুরী রয়েছে। মাথায় ২৬টি সেলাই দেয়া হয়েছে। ডান হাত ও কবজিতে হাড়ভাঙ্গা ও কাটাছেড়া জখম রয়েছে। মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। দীর্ঘ চিকিৎসায় তার সুস্থ হয়ে ওটার বিষয়ে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার ভোরে বড়লেখা উপজেলার সীমান্তবর্তী পাল্লাথল চা বাগানে পারিবারিক কলহের জের ধরে অস্থায়ী চা শ্রমিক নির্মল কর্মকারের ধালালো অস্ত্রের আঘাতে তার স্ত্রী জলি বোনার্জি (২৮), জলির মা লক্ষী বোনার্জি (৫০), ভাই বসন্ত ভৌমিক (৩৮) ও তার মেয়ে শিউলী ভৌমিক (১২) খুন হন। পরে নির্মল কর্মকার অত্মহত্যা করে। হিংস্র নির্মলের কবল থেকে প্রাণে বেঁচে গেলেও গত ৩ দিন ধরে ওসমানী হাসপাতালের ফ্লোরে কাতরাচ্ছেন নিহত বসন্ত ভৌমিকের স্ত্রী কানন বালা (৩৪)।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: