cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
মৌলভীবাজারের বড়লেখার উত্তর শাহবাজপুর ইউপির সীমান্তবর্তী পাল্লাথল চা বাগানে স্ত্রী-শ্বাশুড়ীসহ অবিশ্বাস্য ৪ খুন ও ঘাতকের আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। রোববার রাতে মামলা দু’টি দায়ের করেছেন ট্রান্সকম লিমিটেডের মালিকানাধীন পাল্লাথল চা বাগানের ম্যানেজার জাকির হোসেন। তবে হত্যা ও অপমৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কাউকে আসামী করা হয়নি। সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ ময়না তদন্ত শেষে বাগান পঞ্চায়েতের নিকট নিহত ৫ জনের লাশ হস্তান্তর করেছে।
এদিকে, লোমহর্ষক ৪ হত্যাকান্ড ও ঘাতক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় চা বাগানসহ আশপাশের এলাকায় চলছে সুনসান নীরবতা। শোক বিহবল কারো মূখ থেকে যেন কথাই বের হচ্ছে না। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া নিহত জলি বোনার্জির ৮ বছরের শিশু কন্যাও বাকরুদ্ধ। স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও নাতনিকে হারিয়ে পাগলের মতো প্রলাপ করছেন বিষ্ণু বোনার্জী (৬০)।
জানা গেছে, রোববার ভোরে পারিবারিক কলহের জের ধরে অস্থায়ী চা শ্রমিক নির্মল কর্মকার (৩২) সবুজ চা বাগানে রক্তের বন্যা বইয়ে দেয়। দাম্পত্য কলহের একপর্যায়ে সে তার স্ত্রী জলি বোনার্জিকে (২৮) দা দিয়ে কোপাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে সে দৌঁড়ে মা লক্ষী বোনার্জির (৫০) ঘরে আশ্রয় নিলে দু’জনকেই হিংস্র পশুর মতো সে কোপাতে থাকে। তাদেরকে বাচাঁতে গিয়ে নির্মমভাবে খুন হন জলি বোনার্জির ভাই বসন্ত ভৌমিক (৩৮) ও তার মেয়ে শিউলী ভৌমিক (১২)। স্ত্রী, শ্বাশুড়ীসহ ৪ জনকে খুনের পর ঘাতক যুবক নির্মল কর্মকার নিজেই আত্মহত্যা করে। বিকেলে পুলিশ ৫ জনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
সোমবার সন্ধ্যায় নিহতের লাশ নিয়ে পুলিশ চা বাগান এলাকায় প্রবেশ করলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। প্রতিবেশীসহ চা বাগানের সর্বস্তরের শ্রমিক সেখানে ভিড় জমান। অবিশ্বাস্য নির্মম এ হত্যাকান্ড কেউই মেনে নিতে পারছেন না। শোক বিহবল সকলেই যেন ভাষা হারিয়ে বাকরুদ্ধ। স্থানীয় বাসিন্দা লতা রানী কর্মকার জানান, ঘটনাটি সকালে ঘুম থেকে উঠে শোনেন। এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। এরকম ঘটনা কোনোদিনই আমাদের এলাকায় ঘটেনি। আর যারা মারা গেছেন, তাদের সাথে কারো কোনো বিরোধও ছিল না। এত লাশের শোক আমরা কিভাবে সইবো। এই ঘটনায় আমরা বাকরুদ্ধ। কোন শ্রমিকই কাজে যায়নি।
নিহত জলি বোনার্জির বাবা বিষ্ণু বোনার্জী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অন্য একটা চা বাগানে আরেক মেয়ের সাথে তিনি বসবাস করেন। রোববার সকালে খবর পান স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও নাতনিকে মেয়ের জামাই নির্মল কুপিয়ে হত্যা করেছে। পরে সে নিজেও আত্মহত্যা করেছে। তিনি বলেন, প্রায় একবছর আগে নির্মলের সাথে আমার মেয়ে জলির দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। আমি তাদের অনেক বুঝানোর চেষ্টা করতাম।