মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

নিজেদের সতীত্ব নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না মৌলভীবাজারের দুই বান্ধবীর। কলেজ থেকে ফেরার পথে মৌলভীবাজার সরকারী মহিলা কলেজের দ্বাদশ বর্ষের দুই বান্ধবী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গেল মঙ্গলবার বিকেলে জেলা সদরের ওয়াপদা (স্টেডিয়াম) এলাকায় লোমহর্ষক এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার দুজনই মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে, ধর্ষিতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সামনে এসে একটি সিএনজি চালিত অটো রিকশায় এক ছাত্রী (১৮) ও তার বান্ধবী (২০) উঠলে কিছু পরে যাত্রী বেশে চার ছেলে ওই অটোরিক্সাতে উঠে। চলতি গাড়িতে তারা চালককে সিএনজি ঘুরিয়ে নিতে নির্দেশ দিলে চালক তাদের কথামত গাড়ি নিয়ে নির্জনস্থানের দিকে চলতে থাকে। তাৎক্ষণিক ওই চার যুবক গাড়ির পর্দা টেনে দুই বান্ধবীর হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে স্টেডিয়াম এলাকার পেছনে একটি ঝোঁপঝাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের মারধর করে মোবাইল, বই ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েরা কৌশলে সেখান থেকে বেরিয়ে এলে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ ধর্ষিতাদের আত্মীয় স্বজনকে খবর দিয়ে চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে তাদের ভর্তি করে।

এ বিষয়ে ধর্ষিত এক কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে ওই দিনই মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আকাশ ও মুন্না, হুমায়ুন নামে ৩ জনকে আটক করে। আটককৃতরা সদর উপজেলার ১১নং মোস্তফাপুর ইউনিয়নের উত্তর জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমঙ্গীর হোসেন জানান, ওই ঘটনায় মূল ধর্ষনকারী ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে শহরের মধ্যে ধর্ষকদের এমন দুঃসাহসী কর্মকান্ডে হতবাক সচেতন মহল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নিন্দার জড় উঠেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন:

• ফেইসবুক
• টুইটার
• গুগল প্লাস
• ইমেইল