সর্বশেষ আপডেট : ৮ ঘন্টা আগে
রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১৯ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কমলগঞ্জে টিলা কাটা চলছে

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের বনাঞ্চল ও পাহাড়ি টিলা পরিবেষ্টিত কমলগঞ্জ উপজেলা। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে একের পর এক টিলা কেটে সাবাড় হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অব্যাহতভাবে এসব টিলা কাটা চলছে। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে। ইউএনও’র কাছে আবেদন করেই ব্যক্তি স্বার্থে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সরইবাড়ি গ্রামে লিজকৃত টিলা কেটে ফেলা হচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের উবাহাটা গ্রামের আব্দুল কাদির ব্র্যাকের ১টি প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুবিধার অজুহাত দেখিয়ে বিশাল টিলা কেটে সাবাড় করছেন। বিদ্যালয়ের অজুহাত দেখিয়ে পাহাড়ি টিলার লাল মাটি কেটে নিজের বাড়ির ভিটে ভরাট ও মাটি বিক্রি করছেন। গত কয়েকদিন যাবত বনাঞ্চল সংলগ্ন এই টিলা কেটে নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে। উবাহাটা গ্রাম ঘেঁষেই কালাছড়া ও লাউয়াছড়া বনাঞ্চল। কয়েক মাস আগেও ঐ এলাকায় টিলা কাটার ফলে মাটি ধ্বসে এক গৃহিনীর মৃত্যু হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন এসব বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নেয় কয়েক মাস আগে টিলা কাটার অভিযোগ পেয়ে ইউএনও সরেজমিনে গিয়ে মাটি কাটার যন্ত্রাংশ জব্দ করেন।

এছাড়া সদর ইউনিয়নের কালাছড়া বনের টিলা কেটে বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে। রহিমপুর ইউনিয়নের কালেঙ্গা এলাকায়ও পাহাড়ি টিলা কাটার খবর পাওয়া গেছে। তবে গত সপ্তাহে রহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি জানতে পেরে সরেজমিনে গিয়ে টিলা কাটা বন্ধ করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান। অবাধে টিলা কাটার ফলে ধ্বসে পড়ছে টিলার মাটি। তাছাড়া নিচু জমি ভরাট মাটি বিক্রি করা এসব নানা অপতৎপরতার ফলে বিলীন হচ্ছে পাহাড়ি টিলাভূমি।

বন্যপ্রাণির চলাফেরা, খাবার সংগ্রহ, মাটির ক্ষয়রোধ ও পরিবেশের জন্য পাহাড়ি টিলাভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে অব্যাহত গতিতে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি টিলাভূমি কেটে ফেলায় মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে অভিযোগ বিষয়ে উবাহাটা গ্রামের আব্দুল কাদির বলেন, খরিদা সূত্রে টিলার মালিক আমি। তবে ব্র্যাকের প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে ভূমি অফিস ও ইউএনওকে জানিয়ে টিলা কাটছি।

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, টিলা কাটার অনুমতি দেওয়ার আমার কোন অধিকার নেই। কে বা কারা টিলা কাটছে তদন্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মৌলভীবাজার জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: বদরুল হুদা বলেন, পরিবেশ সংরক্ষন আইন ১৯৯৫ এর ছয়ের (খ) অনুযায়ী সরকারী, বেসরকারী, ব্যক্তি মালিকাধীন যেকোন টিলা বা পাহাড় কেউই পাহাড় কাটতে পারবেনা। এছাড়াও বলেন, যেহেতু কমলগঞ্জের পাহাড় কাটার বিষয়টি আমরা এখন জানতে পেরেছি। আমরা এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: