ডা. রাজাশিস চক্রবর্তী:: হঠাৎ গরম বা ঠাণ্ডাজনিত আবহাওয়ার কারণে সর্দি-কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা হতে পারে। এটি একটি কমন সমস্যা, যাতে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়।
যেসব লক্ষণে বুঝবেন সর্দি-কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা
১. গলা ব্যথা, খুসখুস ভাব, নাক বন্ধ বা অনবরত হাঁচি।
২. মাথাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীর ম্যাজম্যাজ, দুর্বল লাগা ও ক্ষুধামান্দ্য দেখা দেয়া।
৩. জ্বর পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে গেলেও সর্দি বা কাশি কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
৪. সাইনাস, টনসিলে প্রদাহ, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হতে পারে। সর্দি বা কাশির সঙ্গে হলুদাভ কফ থাকতে পারে, যা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণকেই নির্দেশ করে।
৫. অ্যাজমার রোগীদের শ্বাসকষ্টও বেড়ে যেতে পারে।
যেসব বিষয় মেনে চলবেন
১. ঠাণ্ডা বা বাসি খাবার ও পানীয়, ধূমপান পরিহার, ধুলাবালি এড়িয়ে চলা।
২. সতেজ ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান।
৩. চোখ বা নাক মোছার পরপরই হাত ধোয়া।
৪. আদা-লং-এলাচ-লেবু চা, তুলসিপাতা, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে উপকার মেলে।
৫. অ্যান্টিহিস্টামিনজাতীয় ওষুধ, প্রয়োজনে কাশির সিরাপ সেবন বা নাকের ড্রপ ব্যবহার করা যায়।
৬. অ্যাজমার রোগীরা ধুলাবালি বা ঠাণ্ডা এড়িয়ে অ্যালার্জির ওষুধ বা ইনহেলার ব্যবহার করলে ভালো থাকবেন।
৭. গলা ব্যথা বা অস্বস্তির ভাব কাটাতে কুসুম কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে ঘন ঘন গার্গল করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
লেখক : মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, সহযোগী অধ্যাপক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়