সর্বশেষ আপডেট : ৫ ঘন্টা আগে
শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ | ১৮ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

শাইস্তা মিয়া ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারিতায় নর্থ ইস্ট বালাগঞ্জ কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে

হাজী শাইস্তা মিয়া ও নর্থ ইস্ট বালাগঞ্জ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোস্তফা মিয়ার স্বেচ্ছাচারিতায় কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কলেজের উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো. আব্দুল মতিন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বালাগঞ্জ দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের আলাপুর গ্রামে এলাকার কিছু শিক্ষানুরাগী দানশীল ব্যক্তি এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের সহযোগিতায় ২০১৩ সালে নর্থ ইস্ট বালাগঞ্জ কলেজের যাত্রা শুরু হয়। এর আগে যুক্তরাজ্যে এ কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির তত্ত্বাবধানেই কলেজের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন সিলেট- আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আজিজুর রহমান। বর্তমানে এই এলাকাটি সিলেট-৩ আসনের সাথে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কলেজের জন্য সার্বিক সহযোাগিতা করে যাচ্ছেন। কিন্তু এই কলেজের ভূমিদাতা সদস্য হাজী শাইস্তা মিয়া, তার ভাই আব্দুল মন্নান ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তফা মিয়াকে নিয়ে কলেজটি ধ্বংস করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তারা প্রতিষ্ঠাতাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগে স্মারকলিপি দিচ্ছেন। হাজী শাইস্তা মিয়ার ভাই মো. আব্দুল মান্নান ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি দুই একর জমি দিয়ে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হবেন বলে একটি রিসিট কেটে ছিলেন। কিন্তু অধ্যবধি জমি তিনি কলেজের নামে দান করেননি। সে কারণে আব্দুল মান্নানকে প্রতিষ্ঠাতার তালিকায় রাখা হয়নি। াথচ তিনি রিসিট দেখিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে দাবি করছেন। হাজী শাইস্তা মিয়ার বড় বোন প্রবাসী কমলা বেগমের কাছ থেকে কলেজের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এক একর জমি ক্রয় করা হয়। এই টাকা যুক্তরাজ্যে আরো কিছু প্রতিষ্ঠাতার উপস্থিতিতে কমলা বেগমকে প্রদান করা হয়। কিন্তু তিনি বার বার দেশে আসার পরও এই জমিটি কলেজের নামে রেজিস্ট্রি করে দেননি। হাজী শাইস্তা মিয়া স্বেচ্ছাচারিতা করে কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা মিয়ার সহযোগিতায় তার পরিবারের সদস্য আব্দুল মান্নান, লতিফা খানম ও জামান আহমদকে প্রতিষ্ঠাতা করার পায়তারা করছেন। তিনি লতিফা খানম ও জামান আহমদের ১০ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকা পরিশোধ দেখিয়ে সিলেট শিক্ষাবোর্ডে রিসিট (নম্বর ২২২/২২৫) জমা দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই টাকা কলেজের একাউন্টে জমা হয়নি।

আব্দুল মতিন আরো বলেন, কলেজের যাবতীয় আসবাবপত্র ক্রয়, মাটি ভরাট, বৃক্ষরোপণ, একাডেমিক ভবন নির্মাণ এবং ৪৭ শতক ভূমি ক্রয়সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে তিনি এবং তার পরিবার প্রায় দুই কোটি টাকা খরচ করেছেন। অথচ শাইস্তা মিয়া ও কলেজের অধ্যক্ষ তার বিরুদ্ধে উল্টো দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠাতাদের প্রতিশ্রুতি ছিল প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ৫ বছর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ এবং সকল শিক্ষা উপকরণ ফ্রি দেয়া হবে। কিন্তু সাড়ে তিন বছরের মাথায় হাজী শাইস্তা মিয়া ও তার নিযুক্তি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছেন। নর্থ ইস্ট বালাগঞ্জ কলেজকে রক্ষা করতে আব্দুল মতিন সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজ কমিটির সদস্য আবু আহমদ সাহিদ, আবু সুফিয়ান সাকিব ও আব্দুল কাদির।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: