cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
জীবন পাল:: ভোর বেলার আরাম-আয়েশী ঘুমটাকে বিদায় জানিয়ে যে শ্রমিকরা ৭টার মধ্যে নিজ নিজ কাজ বুঝে নিয়ে ১০টা বাজার সাথে সাথে নিজ কর্মস্থলে পৌছে প্রতিদিনের কর্মযুদ্ধ শুরু করাতেই বেশি অভস্থ্য। সেই শ্রমিকরাই আজ বেছে নিয়েছে কর্মবিরতীর মত কঠিন এক পথ। ৩ দিন ধরেই এরকম এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২ ঘন্টার কর্মবিরতি পালন করে নিজেদের মজুরী বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছেন মালিনীছড়া চা বাগানের চা শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারী) ছিল আন্দোলনের ৩য় দিন। যে সময়টা প্রত্যেক শ্রমিকরা নিজ নিজ কর্মস্থলে নিজ কর্ম নিয়ে ব্যস্থ থাকার কথা সে সময়টাতে তারাই এখন ৩ দিন ধরে বাগানের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে দাবি আদায়ের স্লোগানে স্লোগানে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। যে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন চা বাগানের সব বয়সী চা শ্রমিকরা। প্রত্যেকের দাবি একটাই, চা শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি। চা শ্রমিকদেও সাথে কথা বলে জানা যায়,সিলেট ভ্যালীর আরো ৭টি বাগানেও নাকি একই রকম কর্মবিরতি করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। দাবি আদায় না হলে পর্যায়ক্রমে সারা বাংলাদেশের চা বাগানের শ্রমিক নিয়ে জোরালো আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
আন্দোলনরত বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সেক্রেটারী দিলীপ বাউরির মতে,আমাদের এ আন্দোলন অনেক দিনের। ২০১৭ সালের জানুয়ারী থেকে আমাদের এই আন্দোলন চলছে। ২০ দফা দাবি নিয়ে আমরা আমাদের আন্দোলন শুরু করেছি। অথচ এখন পর্যন্ত আমাদের একটা দাবিও পূরন করা হয়নি।
তিনি বলেন,চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে আমরা আমাদের এইসব দাবি পূরনে ২১ দিনের একটি আল্টিমেটাম দিয়েছেলাম। সেই ২১ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও মালিকক্ষ থেকে আমরা আশানুরুপ কোন আশ্বাস পাইনি।
এদিকে ২ ঘন্টার কর্মবিরতি শেষ কওে নিজ কর্মে যুগ দিতে যাওয়া লক্ষী বাড়াইক জানান, চা বাগানের কাজ ছাড়া আমরা কিছু বুঝিনা। রোদ,বৃষ্টি-ঝড়ে কত কষ্ট করি। এই চা বাগানের জন্য আমরা আমাদেও রক্তটাকে পানি কওে দিচ্ছি। অথচ আমাদেও কষ্টটা কেউ বুঝতে চাইনা।
তিনি বলেন,সকাল ৯টায় বাসা থেকে বের হলে কাজ শেষ করে বাড়িতে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা। বাড়িতে ফিওে যখন দেখি নিজের সন্তানদেও ঠিক মত খাবার দিতে পারিনা। শত চেষ্টা করেও ভাল মন্দ খাওয়াতে পারিনা তখন নিজেকে ব্যর্থ অভিভাবক মনে করি।
আমার ছেলে সন্তান নেই। মেয়ে আছে। এক্ষেত্রে আমি নিজেকে আরো অসহায় মনে করি। কেননা,মেয়েকে আমি কাজ করতে দিতে রাজি না। ছেলে থাকলে নির্দ্বিধায় কাজ ধরিয়ে দিয়ে পরিবারের চাহিদাটা পূরন করতে পারতাম। আমার এই অবস্থায় যদি আমাদেও চা শ্রমিকদেও মজুরীটা বৃদ্ধি করা হত তাহলে আমার মত অনেক শ্রমিকের জন্যই একটা বড় সুখের সংবাদ হতো।
আন্দোলনরত বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সেক্রেটারী দিলীপ বাউরির মতে,আমাদের এ আন্দোলন অনেক দিনের। ২০১৭ সালের জানুয়ারী থেকে আমাদের এই আন্দোলন চলছে। ২০ দফা দাবি নিয়ে আমরা আমাদের আন্দোলন শুরু করেছি। অথচ এখন পর্যন্ত আমাদের একটা দাবিও পূরন করা হইনি।
তিনি বলেন,চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে আমরা আমাদের এইসব দাবি পূরনে ২১ দিনের একটি আল্টিমেটাম দিয়েছেলাম। সেই ২১ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও মালিকক্ষ থেকে আমরা আশানুরুপ কোন আশ্বাস পাইনি। এখন আমরা ২ ঘন্টার কর্মবিরতী করেছি। যদি মালিক পক্ষ আমাদেও কোন আশস্থ্য না করেন তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচী বলতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করবো। না খেয়ে মরবো,তবু আমরা আমাদেও ন্যায্য দাবি আদায় কওে নিবো।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালী কার্যকমমিটির সভাপতি রাজু গোয়ালা জানান, আমাদের দাবিনামায় ছিল ২৩০ টাকা মজুরী করা। যে দাবিটি ২০১৭ সালের জানুয়ারীতে মালিকপক্ষের কাছে উত্থাপন করা হয়। ২০১৭ সালের মার্চ মাসের ১৫ তারিখ দাবি পূরনের জন্য ২১ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। যে আল্টিমেটামের সময় শেষ হয় এপ্রিলের ৭ তারিখ। ১৮ এপ্রিল এ নিয়ে মালিকপক্ষের সাথে আলোচনার পর তারা ৯০,৯৫ অত:পর ১০০ টাকা মজুরী নির্ধারনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পোষন করলেও বকেয়া টাকা দিতে অসম্মতি জানালে আমরা তা মেনে নিতে অসম্মতি জানাই।
তিনি বলেন, আমরা হিসাব করে দেখলাম ১০০ টাকা মজুরী হিসেবে ধরলে জানুয়ারী থেকে চলমান এপ্রিল মাস পযর্ন্ত শ্রমিকদের ১০০-৮৫= ১৫ টাকা করে ১৬ মাসের বকেয়া রয়েছে। এ বকেয়া না দিয়ে মালিকপক্ষ একটা লামসাম দিতে চেয়েছে। যা শ্রমিকদের ক্ষতি হবে ভেবে আমরা তা মেনে নেই নি। তাছাড়া আমাদের আন্দোলনটা ২৩০ টাকা মজুরী বৃদ্ধির ছিল।
তিনি বলেন, পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আমাদের চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রীবৃন্দের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আমরা আছি।
পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য সেলিনা বেগমের জানান,১২ বছর বয়স থেকে চা বাগানে কাজ করে আসছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলবো, আমাদেও চা শ্রমিকদের মজুরী তেমনভাবে বাড়েনি। প্রতিবার আন্দোলন কওে আমরা আমাদেও মজুরী বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। যদ্ওি তা বেড়েছে ১টাকা,২টাকা হারে। আমরা চাই আমাদের মজুরী বৃদ্ধি পাক আমাদেও চাহিদা অনুযায়ী। আমাদের চাহিদা আকাশ কুসুম নয়। পরিবার সন্তান নিয়ে বাঁচার জন্য যতটুকু প্রয়োজন আমরা ততটুকুই চাচ্ছি।
পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রামভজন কৈরি জানান, আমরা মে দিবসের প্রোগ্রামের আগে কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রীবৃন্দের সাথে বৈঠকে বসে পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিবো। আমরা নতুন যে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করি না কেন তা মে দিবসের প্রোগ্রামে জানিয়ে দেওয়া হবে।