cialis fiyat cialis sipariş http://umraniyetip.org/
Fapperman.com DoEscortscialis viagra viagra cialis cialis viagra cialis20mgsite.com geciktirici sprey azdırıcı damla
শিক্ষাঙ্গন ডেস্ক::
হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেককে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক একটি সংগঠন।
সোমবার লন্ডনে সংবাদ সম্মেলন করে ক্যাম্পেইন ফর দ্য প্রটেকশন অব রিলিজিয়াস মাইনরিটিজ ইন বাংলাদেশের (সিপিআরএমবি) সভাপতি পুষ্পিতা গুপ্ত ও সম্পাদক অজিত সাহা এই আহ্বান জানান। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য সফরের সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের জনসভাস্থলে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে এম এ মালেকের নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম, শেখ হাসিনার বাপের নাম’ বলে স্লোগান দেয়।
সেকুলার বাংলাদেশ মুভমেন্ট ইউকের মুখপাত্র পুষ্পিতা গুপ্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভার বাইরে বিএনপির বিক্ষোভের একটি ভিডিও তাদের কাছে রয়েছে। এতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা শ্লোগান শুনে তারা বিস্মিত হয়ে গেছেন। লন্ডনের ব্যস্ততম এলাকা ওয়েস্ট এন্ডে “হরে কৃষ্ণ হরে রাম” বলে সবসময়ই হিন্দু ধর্মাবলম্বী শ্বেতাঙ্গদের কীর্তন গেয়ে চলাফেরা করতে দেখা যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেছেন, ‘বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মনে এ ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে, তাদের যেকোন মূল্যে বিসিএস দিয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে হবে। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের লাইন লেগে যায়। তাদের হাতে থাকে বিসিএসের বই।’ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ‘জ্ঞানের চর্চা জাগ্রত রাখতে চাইলে বিসিএসের বই বর্জন করতে হবে।’
মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ১৬ টি বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ‘ডিন’স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ঐতিহ্য আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের শিক্ষার্থীদের। এ অনুষদের বর্তমান শিক্ষার্থীদেরও যেকোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এখানে যদি সমঝোতা শুরু হয় তবে বুঝতে হবে শিক্ষার্থীদের যথার্থ জ্ঞান অর্জিত হয় নি।’
ঢাবির এ অধ্যাপক বলেন, ‘কেউ কোন অন্যায় করলে কেন তা মানতে বাধ্য হবে, বরং তোমরা তার প্রতিবাদ করবে। তা না করলে বুঝা যাবে, তোমাদের মধ্যে শিক্ষার যথেষ্ট অভাব আছে। কারণ শিক্ষা মানুষের ভিতরকার সত্তাটাকে জাগ্রত করে। তোমাদের মধ্যে শিক্ষার অভাব না থাকলে নদী দূষণ, সুন্দরবন ধ্বংস নিয়ে কথা বলতে, প্রতিবাদ করতে। কিন্তু আজ এ বিষয়ে তোমাদের কোন ভাষণ নেই। তিনি বলেন, ‘এই উপমহাদেশের রাজনীতি কলুষিত হওয়ার কারণ রাজনীতির সাথে শিক্ষার দুরত্ব বেশি। এ জন্যই এদেশে ক্ষমতার প্রতি মানুষের লোভ বেশি। পড়ালেখার প্রতি কম।’
মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার একটি উদ্দেশ্য হল, তথ্যকে জ্ঞানে রূপান্তর করা এবং জ্ঞানকে প্রজ্ঞায় রূপান্তর করা। প্রজ্ঞা চিরস্থায়ী তাই জ্ঞানের চর্চা সবসময় জাগ্রত রাখতে হবে। মতলবী স্থানে জ্ঞান বাস করতে পারে না। সংস্কৃতি মানুষকে জাগ্রত রাখে এবং জীবনে পরিশুদ্ধতা আনে। সুন্দর ও সৎ জীবন গঠন করতে শিক্ষার আদর্শ অনুযায়ী মাথা উঁচু রাখতে হবে, এজন্য দরকার উদার মানবিক চিন্তা, মূল্যবোধ ও আদর্শ।’
কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ। ধন্যবাদ প্রদান করেন দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সাজাহান মিয়া। কলা অনুষদের প্রাক্তন ডিনবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের অভিভাবকবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদভুক্ত ১৬টি বিভাগের ২০১৫ ও ২০১৬ সালের স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের স্বীকৃতিস্বরূপ ১২৯ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ‘ডিন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। এছাড়াও সেরা গবেষণা গ্রন্থ রচনার জন্য ‘ডিন’স মেরিট অ্যাওয়ার্ড ফর টিচারস’ পান ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার এবং ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আকসাদুল আলম। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন।
এদের কেউ বিষয়টি বুঝতে পারলে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলে বিষয়টি অন্যভাবে মোড় নিতে পারতো।
লিখিত বক্তব্যে অজিত সাহা বলেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির এমন হিন্দু ধর্ম অবমাননাকারী বিদ্বেষ ও ঘৃণাপূর্ণ স্লোগান বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতিকে উসকে দিতে পারে। সকল রাজনৈতিক দল ও দলীয় নেতাকর্মীদের স্পষ্ট অসাম্প্রদায়িক অবস্থান বাংলাদেশে বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মানে ও সাম্প্রদয়িক সহাবস্থানের ভিতকে আরও সুদৃঢ় করবে।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ ক্ষমা না চাইলে তারা যুক্তরাজ্যে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ করবেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান তারা।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ালে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। যে কোনো ধর্মাবলম্বীরাই আইনের এই সুরক্ষা পান।